ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আরও সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বাড়তে থাকা সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে আরও সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পেন্টাগন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য ওই অঞ্চলে মোতায়েন করা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে সামান্য সংখ্যক অতিরিক্ত সেনা কর্মী পাঠানো হচ্ছে।’ মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ঠিক কতজন সেনা পাঠানো হবে তাদের কাজ কী হবে,তা জানানো যাচ্ছে না। বর্তমানে ওই অঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।

সোমবার মার্কিন বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান এবং দুটি নৌবাহিনী ধ্বংসকারী ও একটি ক্রুজার ইউরোপের সিক্সথ ফ্লিট এলাকার উদ্দেশ্যে ভার্জিনিয়ার নরফোক থেকে যাত্রা শুরু করে। এছাড়া বর্তমানে আরব সাগরে অবস্থান করছে আরেক রণতরি ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন।

যদিও কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একই সাথে দুটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করা তুলনামূলকভাবে বিরল। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় বাইডেন প্রশাসন নৌবাহিনীকে কয়েক সপ্তাহের জন্য বিমানবাহী রণতরি এবং তাদের যুদ্ধজাহাজগুলিকে একত্রে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

লেবাননের অভ্যন্তরে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ চালানোর পরপরই এমন পদক্ষেপ নিলো যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি ওই হামলায় অন্তত পাঁচশো মানুষ নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া সেখানে আরও অভিযান পরিচালনার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে রাইডার বলেননি যে, অতিরিক্ত বাহিনী মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে সহায়তা করবে কিনা।

এছাড়া ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন বিমানবাহী রণতরি মধ্যপ্রাচ্যে নাকি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অবস্থান করবে সে বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা এবং মার্কিন ও মিত্র কর্মী এবং সম্পদ রক্ষা করতেই মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান উপস্থিতির নকশা করা হয়েছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগর থেকে ওমানের উপসাগর পর্যন্ত নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো ছড়িয়ে রয়েছে এবং বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর ফাইটার জেটগুলো কৌশলগতভাবে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন রয়েছে, যাতে যে কোনও আক্রমণের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।

আরো পড়ুৃন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: পাঁচ শতাংশ জনপ্রিয়তায় এগিয়ে হ্যারিস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

‘জুলাই সনদের’ খসড়া সব রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়েছে: আলী রীয়াজ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আরও সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ১২:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বাড়তে থাকা সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে আরও সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পেন্টাগন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য ওই অঞ্চলে মোতায়েন করা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে সামান্য সংখ্যক অতিরিক্ত সেনা কর্মী পাঠানো হচ্ছে।’ মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ঠিক কতজন সেনা পাঠানো হবে তাদের কাজ কী হবে,তা জানানো যাচ্ছে না। বর্তমানে ওই অঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।

সোমবার মার্কিন বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান এবং দুটি নৌবাহিনী ধ্বংসকারী ও একটি ক্রুজার ইউরোপের সিক্সথ ফ্লিট এলাকার উদ্দেশ্যে ভার্জিনিয়ার নরফোক থেকে যাত্রা শুরু করে। এছাড়া বর্তমানে আরব সাগরে অবস্থান করছে আরেক রণতরি ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন।

যদিও কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একই সাথে দুটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করা তুলনামূলকভাবে বিরল। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় বাইডেন প্রশাসন নৌবাহিনীকে কয়েক সপ্তাহের জন্য বিমানবাহী রণতরি এবং তাদের যুদ্ধজাহাজগুলিকে একত্রে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

লেবাননের অভ্যন্তরে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ চালানোর পরপরই এমন পদক্ষেপ নিলো যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি ওই হামলায় অন্তত পাঁচশো মানুষ নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া সেখানে আরও অভিযান পরিচালনার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে রাইডার বলেননি যে, অতিরিক্ত বাহিনী মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে সহায়তা করবে কিনা।

এছাড়া ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন বিমানবাহী রণতরি মধ্যপ্রাচ্যে নাকি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অবস্থান করবে সে বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা এবং মার্কিন ও মিত্র কর্মী এবং সম্পদ রক্ষা করতেই মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান উপস্থিতির নকশা করা হয়েছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগর থেকে ওমানের উপসাগর পর্যন্ত নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো ছড়িয়ে রয়েছে এবং বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর ফাইটার জেটগুলো কৌশলগতভাবে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন রয়েছে, যাতে যে কোনও আক্রমণের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।

আরো পড়ুৃন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: পাঁচ শতাংশ জনপ্রিয়তায় এগিয়ে হ্যারিস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে