বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বর্তমান সময়ে এসে এই প্ল্যাটফর্মটি সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাই প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের সভাপতি দিলীপ রায় এবং সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গঠিত এই প্ল্যাটফর্ম এখনও চলমান রাখা অযৌক্তিক দাবি জানিয়ে সংগঠনটির নেতারা বলেন, বর্তমানে এই প্ল্যাটফর্মটি একটি কর্তৃত্ববাদী জায়গা পৌঁছেছে। এখন এই প্ল্যাটফর্মের নামে সারা দেশে যা যা চলছে, তা মূলত গণঅভ্যুত্থানের গণআকাঙ্ক্ষাকে ভূলণ্ঠিত করছে।
তারা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে এসে এই প্ল্যাটফর্মটিকে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়করা আনসারদের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে এসে আনসার-শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করান এবং যা পরবর্তী সময়ে সংঘর্ষে রূপান্তরিত হয়। এমন কাজ বিগত ছাত্রলীগের নেতাদের করতে দেখেছি। এছাড়াও আমরা দেখতে পাই সমন্বয়করা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের কর্তৃত্বের এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রশাসনের নানান সিদ্ধান্ত গ্রহণে হস্তক্ষেপ করারও সংবাদ আমারা দেখেছি। শুধু তা-ই নয়, তারা গ্যাং কিলিংয়ে মদদ দিয়েছে, রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নিয়ে সারা দেশে ঘুরে বেড়িয়েছে একান্তই নিজস্ব রাজনৈতিক ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের জন্য।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর নেতারা প্ল্যাটফর্মটির বিলুপ্তির দাবি জানিয়ে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, সারা দেশে যা কিছু ঘটছে তা আমাদের আতঙ্কিত করছে। স্পষ্ট করে তুলছে রাষ্ট্রেরই একটা অংশ গণঅভ্যুত্থানের সাথে বেঈমানী করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ফলে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের যে লড়াই সে লড়াইয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামীদিনে জোরদার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
আরো পড়ুন :
রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে কখন নির্বাচন হবে : ফারুক
নির্বাচনের মাধ্যেমে দেশের মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চায় :দুদু