পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তিনি উভয় পক্ষকে ‘যোগাযোগের মাধ্যম খোলা রাখতে এবং উত্তেজনা এড়াতে’ আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে রুবিও জানান, তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের’ জন্য উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই বিবৃতিটি রুবিওর পূর্ববর্তী মন্তব্যের ধারাবাহিকতা, যেখানে তিনি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছিলেন।
এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ভারতের এই পদক্ষেপকে ‘কাপুরুষোচিত আক্রমণ’ আখ্যায়িত করে কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে বুধবার (৭ মে) ভোরে পাকিস্তানে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
পাকিস্তান জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৩৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এই পদক্ষেপকে ইসলামাবাদ ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ হিসেবে অভিহিত করে এর কঠোর এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে লিখেছে, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের পর থেকেই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। ভারত ওই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও ইসলামাবাদ বরাবরই তাদের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের এই সামরিক পদক্ষেপ আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস, নিহত ৩