গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা বলেছেন, ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো গাজার খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। খবর আলজাজিরার।
চিকিৎসকরা বলেছেন, খান ইউনিসের কাছে আল-মাওয়াসিতে একটি তাঁবুর শিবিরে বুধবার ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, হামলায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর বেশ কয়েকটি তাঁবুতে আগুন লেগে যায়।
মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানান, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতরা পর্যাপ্ত চিকিৎসক, চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা ও কর্মী না থাকায় জীবন হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
হানি মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা এটি ঘটতে দেখেছি প্রথমবার নয়। আল-মাওয়াসি অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে হতাশা ক্রমশ বাড়ছে।’
‘ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই যুদ্ধের নামে গণহত্যার শুরুর দিকের সপ্তাহগুলোতে বোমা হামলা এড়াতে তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, এখন তারা বারবার এ ধরনের অপ্রত্যাশিত হামলার শিকার হন’, যোগ করেন আলজাজিরার এই সাংবাদিক।
অন্যদিকে, গাজা শহরের তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্স। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া অনেক লোককে উদ্ধারে অভিযান চলছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গাজার মধ্যাঞ্চলে তিনটি বিমান হামলায় ছয় শিশু ও একজন চিকিৎসকসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। মিসর সীমান্তের কাছে রাফাহ শহরে ট্যাংকের গোলাবর্ষণে আরও ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে টানা পঞ্চম দিনের মতো গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে এ হাসপাতালে গুলিবর্ষণে তিনজন মেডিকেল কর্মী আহত হন, একজনের অবস্থা গুরুতর। পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর।