ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আলোচনায়

পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাই ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি খুঁজছে একজন নতুন নেতৃত্ব। বেশ কিছু জনপ্রিয় মুখ প্রথম সারিতে আছেন যারা ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। আর তার মধ্যেই আছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দের নাম। যিনি বর্তমানে ট্রুডোর মন্ত্রিসভার পরিবহণ মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন।

আজ (৮ জানুয়ারি) বুধবার এনডিটিভি’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার পরিকল্পনা করেছেন ট্রুডো। তাই এই মুহুর্তে তার দলের শীর্ঘ্রই একজন যোগ্য নেতার প্রয়োজন। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে অনেকের মধ্যে উজ্জ্বল মুখ হিসেবে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ।

অনিতা আনন্দ তার কর্মজীবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে ওকভিলের সংসদ সদস্য হিসাবে প্রথম নির্বাচিত, তিনি ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিসেস এবং প্রকিউরমেন্ট মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতি এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে তার মেয়াদকালে, আনন্দ সেনাবাহিনীর মধ্যে যৌন অসদাচরণ মোকাবেলায় সংস্কার বাস্তবায়ন করেছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, তিনি ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখে পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

তার বাবা-মা দুজনেই চিকিৎসক ছিলেন। যদিও তার বাবার পরিবার তামিলনাড়ুর চেন্নাই থেকে। আর তার মা পাঞ্জাবের একটি ছোট শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ তাঁর মা হলেন পাঞ্জাবী এবং বাবা হলেন তামিল। তাঁদের জ্যেষ্ট কন্যা অনিতা আনন্দ। তিনি একজন পণ্ডিত, আইনজীবী এবং গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন।

আগামী ২৪ মার্চ পার্লামেন্ট পুনরায় শুরু হওয়ার আগে লিবারালদের একটি নতুন নেতা নির্বাচন করতে হবে। কারণ তিনটি বিরোধী দলই বলে যে তারা প্রথম সুযোগে অনাস্থা ভোটে লিবারেল সরকারকে ফেলে দেবে, আর তারপরই নির্বাচন হবে। নতুন মুখ হয়তো বেশিদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। তবে তারপরই নতুন করে নির্বাচন হলে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষে যাবে সেই রায়।

ট্রুডো কেন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন? কে হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি?

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আলোচনায়

আপডেট সময় ১২:৪৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাই ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি খুঁজছে একজন নতুন নেতৃত্ব। বেশ কিছু জনপ্রিয় মুখ প্রথম সারিতে আছেন যারা ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। আর তার মধ্যেই আছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দের নাম। যিনি বর্তমানে ট্রুডোর মন্ত্রিসভার পরিবহণ মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন।

আজ (৮ জানুয়ারি) বুধবার এনডিটিভি’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার পরিকল্পনা করেছেন ট্রুডো। তাই এই মুহুর্তে তার দলের শীর্ঘ্রই একজন যোগ্য নেতার প্রয়োজন। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে অনেকের মধ্যে উজ্জ্বল মুখ হিসেবে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ।

অনিতা আনন্দ তার কর্মজীবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে ওকভিলের সংসদ সদস্য হিসাবে প্রথম নির্বাচিত, তিনি ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিসেস এবং প্রকিউরমেন্ট মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতি এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে তার মেয়াদকালে, আনন্দ সেনাবাহিনীর মধ্যে যৌন অসদাচরণ মোকাবেলায় সংস্কার বাস্তবায়ন করেছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, তিনি ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখে পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

তার বাবা-মা দুজনেই চিকিৎসক ছিলেন। যদিও তার বাবার পরিবার তামিলনাড়ুর চেন্নাই থেকে। আর তার মা পাঞ্জাবের একটি ছোট শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ তাঁর মা হলেন পাঞ্জাবী এবং বাবা হলেন তামিল। তাঁদের জ্যেষ্ট কন্যা অনিতা আনন্দ। তিনি একজন পণ্ডিত, আইনজীবী এবং গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন।

আগামী ২৪ মার্চ পার্লামেন্ট পুনরায় শুরু হওয়ার আগে লিবারালদের একটি নতুন নেতা নির্বাচন করতে হবে। কারণ তিনটি বিরোধী দলই বলে যে তারা প্রথম সুযোগে অনাস্থা ভোটে লিবারেল সরকারকে ফেলে দেবে, আর তারপরই নির্বাচন হবে। নতুন মুখ হয়তো বেশিদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। তবে তারপরই নতুন করে নির্বাচন হলে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষে যাবে সেই রায়।

ট্রুডো কেন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন? কে হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি?