ঢাকা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারাগারেও পান্তা-ইলিশ; স্টাফ-বন্দি মিলে নববর্ষ উদযাপন

স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে ভয়-শঙ্কা কাটিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে এবারের বর্ষবরণ। শুধুমাত্র রাজধানীর শাহবাগ, ঢাবি ক্যাম্পাস বা রমনা পার্ক নয়, এবারের বর্ষবরণ হয়েছে সারাদেশের সকল কারাগারেও। আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখে দেশের ৬৮টি কারাগারে বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

বর্ষবরণ উৎসবকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সারাদেশের কারাগারে পান্তা-ইলিশসহ বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। কারাগারের স্টাফ ও কয়েদিরা মিলেমিশে আল্পনা ও র্যা লি করে। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘নববর্ষকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের ৬৮টি কারাগারেও পালিত হয়েছে বর্ষবরণ। এবার কারাগারে দুই বেলা বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে পান্তা-ইলিশের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরের খাবারে পোলাও, মুরগির মাংস, ডাল, পান-সুপারি, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস দেওয়া হয়। সারাদেশের ৬৮টি কারাগারে ৬৭ হাজার ৭শ ৯ জন বন্দি রয়েছে। সবার জন্য একই খাবারের আয়োজন করা হয়।‘

সহকারী কারা মহাপরিদর্শক আরও বলেন, ’ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সকাল বেলা আসামিরা আলপনা আঁকে। এরপর কারাগারের জেল সুপারের নেতৃত্বে স্টাফরা র্যা লি বের করেন। পহেলা বৈশাখ ঘিরে কারাগারের ভেতর বন্দিদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিল্পী কোনাল গান পরিবেশন করবেন। এতে কারাবন্দি শিল্পীদের পাশাপাশি বাইরের সংগীত শিল্পীও রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, ’কারাগারের মেয়ে স্টাফরা সবাই শাড়ি পরে। ছেলেরা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে। সবাই মিলে কারাগারের ভেতরে র‌্যালির আয়োজন করা হয়। বন্দি ও স্টাফরা মিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এটি আসামিদের মধ্যে মানসিক শক্তি যোগায়।’

এর আগে গত ১০ এপ্রিল কারা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক পত্রে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বাংলা নববর্ষ পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কারা অধিদপ্তরের প্রত্যেক বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর দেওয়া এ পত্রে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বন্দিদের জন্য উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়।

ফ্যাসিবাদ অবসানের আহ্বানে শেষ হলো আনন্দ শোভাযাত্রা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

কারাগারেও পান্তা-ইলিশ; স্টাফ-বন্দি মিলে নববর্ষ উদযাপন

আপডেট সময় ০৫:৩৮:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে ভয়-শঙ্কা কাটিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে এবারের বর্ষবরণ। শুধুমাত্র রাজধানীর শাহবাগ, ঢাবি ক্যাম্পাস বা রমনা পার্ক নয়, এবারের বর্ষবরণ হয়েছে সারাদেশের সকল কারাগারেও। আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখে দেশের ৬৮টি কারাগারে বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

বর্ষবরণ উৎসবকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সারাদেশের কারাগারে পান্তা-ইলিশসহ বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। কারাগারের স্টাফ ও কয়েদিরা মিলেমিশে আল্পনা ও র্যা লি করে। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘নববর্ষকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের ৬৮টি কারাগারেও পালিত হয়েছে বর্ষবরণ। এবার কারাগারে দুই বেলা বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে পান্তা-ইলিশের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরের খাবারে পোলাও, মুরগির মাংস, ডাল, পান-সুপারি, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস দেওয়া হয়। সারাদেশের ৬৮টি কারাগারে ৬৭ হাজার ৭শ ৯ জন বন্দি রয়েছে। সবার জন্য একই খাবারের আয়োজন করা হয়।‘

সহকারী কারা মহাপরিদর্শক আরও বলেন, ’ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সকাল বেলা আসামিরা আলপনা আঁকে। এরপর কারাগারের জেল সুপারের নেতৃত্বে স্টাফরা র্যা লি বের করেন। পহেলা বৈশাখ ঘিরে কারাগারের ভেতর বন্দিদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিল্পী কোনাল গান পরিবেশন করবেন। এতে কারাবন্দি শিল্পীদের পাশাপাশি বাইরের সংগীত শিল্পীও রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, ’কারাগারের মেয়ে স্টাফরা সবাই শাড়ি পরে। ছেলেরা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে। সবাই মিলে কারাগারের ভেতরে র‌্যালির আয়োজন করা হয়। বন্দি ও স্টাফরা মিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এটি আসামিদের মধ্যে মানসিক শক্তি যোগায়।’

এর আগে গত ১০ এপ্রিল কারা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক পত্রে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বাংলা নববর্ষ পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কারা অধিদপ্তরের প্রত্যেক বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর দেওয়া এ পত্রে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বন্দিদের জন্য উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়।

ফ্যাসিবাদ অবসানের আহ্বানে শেষ হলো আনন্দ শোভাযাত্রা