ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোংলা বন্দরে শতভাগ গাড়ি আমদানির পরিকল্পনা এনবিআর চেয়ার‌ম্যানের

বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোড’র চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রহমান খান বলেছেন, আমরা মোংলা কাস্টমস হাউজ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দুরত্ব রাখতে চাইনা। কাস্টমস এর অপারেশনাল কার্যক্রমকে মোংলা বন্দর সহ সরকারের সহায়তার কাজে লাগাতে চাই। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে ব্যাবসাযীদের আহবান জানান জাতীয় রাজস্ব বোড’র চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, অন্যান্য পন্যের পাশাপাশী বিদেশ থেকে আনা রিকন্ডিশন গাড়ী মোংলা বন্দর দিয়ে শত ভাগ আমাদনী করার পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব র্বোড (এনবিআর)। এরই মধ্যে গাড়ী আমদানীকারক ব্যাবসাযীদের সাথে আলোচনাও সম্পুর্ন হয়েছে। আমরা চাই ব্যাবসায়ী ও কাস্টমস এর মধ্যে দুরত্ব কমাতে। সরেজমিনে এসে দেখছি, ব্যাবসাযীদের কিকি সমস্য রয়েছে, কাস্টমস কর্মকর্তাদের কার্যক্রমে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা তা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমরা মোংলা কাষ্টমস হাউজ এর কার্যক্রমকে আরো গকিশিল ও বেগবান করতে চাই। ব্যাবসাযীরা যেন মোংলা বন্দর ব্যাবহার সহ কাস্টমস এর এমন সুযোগ গ্রহন করেণ।
 মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা বন্দরে পন্য আমদানী-রফতানীকারক ব্যাবসাযীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’র চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
২২ জুলাই মঙ্গলবার সকালে প্রথমে তিনি মোংলা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আয়োজিত মোংলা কাস্টমস হাউ এর সম্মেলন কক্ষে মোংলা বন্দর ব্যাবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি। এসময় মোংলা কাস্টমস কমিশনার ম. শফিউজ্জামান, কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, কাস্টমস কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মুবিনুল কবীর,  সহকারী সচিব আতাউল গনি ওসমানী সহ মোংলা বন্দরের ইষ্টিভিডরস, সি এন্ড এফ এজেন্ট ও আমাদানী-রফতানীকারক ব্যাবসায়ী সহ কাস্টমস এর উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, দেশের অন্য বন্দর গুলো ব্যাবাসায়ীরা বেশী বেশী ব্যাবহার করছে, সেখানের কাজের ব্যাস্ততা ও কর্মচাঞ্চল্যোতর চেয়ে মোংলা বন্দরের কর্মব্যাস্ততা খুবই কম। তাই দেশের আমদানী-রফতানীকারক ব্যাবাসায়ীদের মোংলা বন্দর মুখী করতে পারলে চট্ট্রগ্রাম বন্দরের উপর চাপ কিছুটা কমবে। পাশাপাশী মোংলা বন্দরেও কর্ম ব্যাস্ততা বেড়ে যাবে। সে জন্য অন্যান্য পন্যের পাশাপাশী বিদেশ থেকে আনা নানা ব্র্যান্ডের রিকন্ডিশন গাড়ী শত ভাগ মোংলা বন্দর দিয়ে আমাদনী করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজস্ব বোর্ডের। এরই মধ্যে এসকল বিষয় নিয়ে ব্যাবসায়ী, কাস্টমস ও চট্ট্রগ্রাম বন্দরের সাথে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। মোংলা বন্দরকে গতিশিল ও ব্যাবসাযীদের বন্দর মুখী করতে কাস্টমস’র সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
তাই মোংলা বন্দরের আমদানী-রফতানীকারক ব্যাবসাযী ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোন দুরত্ব রাখতে চাইনা। তাই এখানকার ব্যাবসায়ী ও কাস্টমস’র মধ্যে সকল সমস্য দ্রুত মসমাধান করে বন্দরের কার্যক্রমের গতিশীলতা সহ সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করার উদ্দ্যেশেই মোংলা বন্দরে আমার সফর করা।
এর আগে মোংলা বন্দরে ব্যাবসায়ীদের পন্য আমদানী-রফতানী করণের সনমদস্য মাধানে মোংলা বন্দর ও কাস্টমস হাউজ পরিদর্শন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’র চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রহমান খান।
 পরে তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, খুলনা এবং মোংলা কাস্টমস হাউস এর কর্মকর্তা ও ব্যাবসায়ীদের সাথে ব্যাবসায়ীক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলা বন্দরে শতভাগ গাড়ি আমদানির পরিকল্পনা এনবিআর চেয়ার‌ম্যানের

আপডেট সময় ০৬:২৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোড’র চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রহমান খান বলেছেন, আমরা মোংলা কাস্টমস হাউজ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দুরত্ব রাখতে চাইনা। কাস্টমস এর অপারেশনাল কার্যক্রমকে মোংলা বন্দর সহ সরকারের সহায়তার কাজে লাগাতে চাই। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে ব্যাবসাযীদের আহবান জানান জাতীয় রাজস্ব বোড’র চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, অন্যান্য পন্যের পাশাপাশী বিদেশ থেকে আনা রিকন্ডিশন গাড়ী মোংলা বন্দর দিয়ে শত ভাগ আমাদনী করার পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব র্বোড (এনবিআর)। এরই মধ্যে গাড়ী আমদানীকারক ব্যাবসাযীদের সাথে আলোচনাও সম্পুর্ন হয়েছে। আমরা চাই ব্যাবসায়ী ও কাস্টমস এর মধ্যে দুরত্ব কমাতে। সরেজমিনে এসে দেখছি, ব্যাবসাযীদের কিকি সমস্য রয়েছে, কাস্টমস কর্মকর্তাদের কার্যক্রমে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা তা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমরা মোংলা কাষ্টমস হাউজ এর কার্যক্রমকে আরো গকিশিল ও বেগবান করতে চাই। ব্যাবসাযীরা যেন মোংলা বন্দর ব্যাবহার সহ কাস্টমস এর এমন সুযোগ গ্রহন করেণ।
 মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা বন্দরে পন্য আমদানী-রফতানীকারক ব্যাবসাযীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’র চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
২২ জুলাই মঙ্গলবার সকালে প্রথমে তিনি মোংলা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আয়োজিত মোংলা কাস্টমস হাউ এর সম্মেলন কক্ষে মোংলা বন্দর ব্যাবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি। এসময় মোংলা কাস্টমস কমিশনার ম. শফিউজ্জামান, কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, কাস্টমস কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মুবিনুল কবীর,  সহকারী সচিব আতাউল গনি ওসমানী সহ মোংলা বন্দরের ইষ্টিভিডরস, সি এন্ড এফ এজেন্ট ও আমাদানী-রফতানীকারক ব্যাবসায়ী সহ কাস্টমস এর উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, দেশের অন্য বন্দর গুলো ব্যাবাসায়ীরা বেশী বেশী ব্যাবহার করছে, সেখানের কাজের ব্যাস্ততা ও কর্মচাঞ্চল্যোতর চেয়ে মোংলা বন্দরের কর্মব্যাস্ততা খুবই কম। তাই দেশের আমদানী-রফতানীকারক ব্যাবাসায়ীদের মোংলা বন্দর মুখী করতে পারলে চট্ট্রগ্রাম বন্দরের উপর চাপ কিছুটা কমবে। পাশাপাশী মোংলা বন্দরেও কর্ম ব্যাস্ততা বেড়ে যাবে। সে জন্য অন্যান্য পন্যের পাশাপাশী বিদেশ থেকে আনা নানা ব্র্যান্ডের রিকন্ডিশন গাড়ী শত ভাগ মোংলা বন্দর দিয়ে আমাদনী করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজস্ব বোর্ডের। এরই মধ্যে এসকল বিষয় নিয়ে ব্যাবসায়ী, কাস্টমস ও চট্ট্রগ্রাম বন্দরের সাথে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। মোংলা বন্দরকে গতিশিল ও ব্যাবসাযীদের বন্দর মুখী করতে কাস্টমস’র সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
তাই মোংলা বন্দরের আমদানী-রফতানীকারক ব্যাবসাযী ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোন দুরত্ব রাখতে চাইনা। তাই এখানকার ব্যাবসায়ী ও কাস্টমস’র মধ্যে সকল সমস্য দ্রুত মসমাধান করে বন্দরের কার্যক্রমের গতিশীলতা সহ সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করার উদ্দ্যেশেই মোংলা বন্দরে আমার সফর করা।
এর আগে মোংলা বন্দরে ব্যাবসায়ীদের পন্য আমদানী-রফতানী করণের সনমদস্য মাধানে মোংলা বন্দর ও কাস্টমস হাউজ পরিদর্শন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’র চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রহমান খান।
 পরে তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, খুলনা এবং মোংলা কাস্টমস হাউস এর কর্মকর্তা ও ব্যাবসায়ীদের সাথে ব্যাবসায়ীক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান।