ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ৮ সিনেমা; নির্মাতা চূড়ান্ত বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : প্রেস সচিব পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন আন্দোলনে আহত ১০০ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৪৪ ধারা ভেঙে সচিবালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা, পুলিশের ধাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ সরকার গঠনের পর অভিযুক্ত কাউকে দেশত্যাগ করতে দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রুডো কেন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন? কে হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি? গঠিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’,  ইরানে হিজাব খুলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিবাদ শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

পশ্চিমবঙ্গের মঞ্চে নিষিদ্ধ ‘লজ্জা’, যা বললেন ক্ষুব্ধ তসলিমা

ভারতের নবপল্লী নাট্যসংস্থা মঞ্চে এনেছে তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’। নাটক হিসেবে ইতিমধ্যে দিল্লীতে তিনটি সফল প্রদর্শনীও হয়েছে। সেই নাটকটি প্রদর্শনের জন্য দিল্লীর নবপল্লী নাট্যসংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো পশ্চিমবঙ্গের একটি নাট্যোৎসবে! সেখানেই ঘটে বিপত্তি!

তসলিমা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার ‘লজ্জা’ নাটকটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে! সোমবার বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে তসলিমা নাসরিন বলেন, মমতা ব্যানার্জী আজ আমার ‘লজ্জা’ নাটকটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করলেন।

তসলিমা এসময় বলেন,“গোবরডাঙ্গায় আর হুগলির পাণ্ডুয়ার নাট্যউৎসবে লজ্জা নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। দু’মাস যাবৎ বিজ্ঞাপন যাচ্ছে নাট্যউৎসবের। আর আজ, বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ মমতা ব্যানার্জীর পুলিশ এসে জানিয়ে দিল, সব নাটক মঞ্চস্থ হবে, শুধু লজ্জা ছাড়া।”

তসলিমা আগেও একাধিকবার জানিয়েছেন, তার ‘লজ্জা’ নাটকটির তিনটি প্রদর্শনীই দর্শক গ্রহণ করেছে। এদিনও বললেন,“নবপল্লী নাট্যসংস্থা দিল্লিতে তিনবার নাটকটি মঞ্চস্থ করেছে। তিনবারই প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ ছিল।”

পুলিশ কেন ‘লজ্জা’ নাটকটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো? তসলি এ বিষয়ে লিখেন,“পুলিশ জানিয়েছে লজ্জা মঞ্চস্থ হলে মুসলিমরা নাকি দাঙ্গা বাঁধাবে। মুসলিমরা দাঙ্গা বাঁধাবে এই অজুহাতে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে লেখা আমার মেগাসিরিয়াল ‘দুঃসহবাস’- যেটি টেলিভিশনের ‘আকাশ ৮’ চ্যানেল থেকে সম্প্রচার করার কথা ছিল। সেটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন রাজ্য সরকার। ‘লজ্জা’র ঘটনা বাংলাদেশের। কী কারণে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে দাঙ্গা বাঁধাবে, আমার বোধগম্য নয়।

তসলিমা এসময় ক্ষোভ জানিয়ে লিখেন,“মুসলিমরা দাঙ্গা বাঁধাবে এই অজুহাতে আমাকে এক সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছিল। যারা দাঙ্গা বাঁধাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, শিল্প সাহিত্যকে নিষিদ্ধ করা হয় কেন? শিল্পী সাহিত্যিকের কণ্ঠরোধ করা হয় কেন? এই প্রশ্নটি আর কত যুগ একা একা আমিই করে যাব? আর কারও দায়িত্ব নেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার?”

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পশ্চিমবঙ্গের মঞ্চে নিষিদ্ধ ‘লজ্জা’, যা বললেন ক্ষুব্ধ তসলিমা

আপডেট সময় ১১:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের নবপল্লী নাট্যসংস্থা মঞ্চে এনেছে তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’। নাটক হিসেবে ইতিমধ্যে দিল্লীতে তিনটি সফল প্রদর্শনীও হয়েছে। সেই নাটকটি প্রদর্শনের জন্য দিল্লীর নবপল্লী নাট্যসংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো পশ্চিমবঙ্গের একটি নাট্যোৎসবে! সেখানেই ঘটে বিপত্তি!

তসলিমা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার ‘লজ্জা’ নাটকটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে! সোমবার বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে তসলিমা নাসরিন বলেন, মমতা ব্যানার্জী আজ আমার ‘লজ্জা’ নাটকটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করলেন।

তসলিমা এসময় বলেন,“গোবরডাঙ্গায় আর হুগলির পাণ্ডুয়ার নাট্যউৎসবে লজ্জা নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। দু’মাস যাবৎ বিজ্ঞাপন যাচ্ছে নাট্যউৎসবের। আর আজ, বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ মমতা ব্যানার্জীর পুলিশ এসে জানিয়ে দিল, সব নাটক মঞ্চস্থ হবে, শুধু লজ্জা ছাড়া।”

তসলিমা আগেও একাধিকবার জানিয়েছেন, তার ‘লজ্জা’ নাটকটির তিনটি প্রদর্শনীই দর্শক গ্রহণ করেছে। এদিনও বললেন,“নবপল্লী নাট্যসংস্থা দিল্লিতে তিনবার নাটকটি মঞ্চস্থ করেছে। তিনবারই প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ ছিল।”

পুলিশ কেন ‘লজ্জা’ নাটকটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো? তসলি এ বিষয়ে লিখেন,“পুলিশ জানিয়েছে লজ্জা মঞ্চস্থ হলে মুসলিমরা নাকি দাঙ্গা বাঁধাবে। মুসলিমরা দাঙ্গা বাঁধাবে এই অজুহাতে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে লেখা আমার মেগাসিরিয়াল ‘দুঃসহবাস’- যেটি টেলিভিশনের ‘আকাশ ৮’ চ্যানেল থেকে সম্প্রচার করার কথা ছিল। সেটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন রাজ্য সরকার। ‘লজ্জা’র ঘটনা বাংলাদেশের। কী কারণে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে দাঙ্গা বাঁধাবে, আমার বোধগম্য নয়।

তসলিমা এসময় ক্ষোভ জানিয়ে লিখেন,“মুসলিমরা দাঙ্গা বাঁধাবে এই অজুহাতে আমাকে এক সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছিল। যারা দাঙ্গা বাঁধাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, শিল্প সাহিত্যকে নিষিদ্ধ করা হয় কেন? শিল্পী সাহিত্যিকের কণ্ঠরোধ করা হয় কেন? এই প্রশ্নটি আর কত যুগ একা একা আমিই করে যাব? আর কারও দায়িত্ব নেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার?”