ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ জাতীয় পার্টির মুখোশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে: রাশেদ খান

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে গণঅধিকার পরিষদের  সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান বলেন,আ.লীগ জাতীয় পার্টির মুখোশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

শনিবার ( ১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান। এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

এসময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রাশেদ খান বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আমরা দেখলাম, জাতীয় পার্টির লোকজনও শ্রদ্ধা নিবেদন করলো। কিন্তু এরা জাতীয় পার্টি না, এরা আ.লীগ। আ.লীগ জাতীয় পার্টি বেশে ফিরে এসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জিএম কাদের বলেছে, আমাদের সমাবেশে যদি আ.লীগের কর্মীরা আসে, আমাদের করার কিছু নাই। উন্মুক্ত সমাবেশে তারা আসতেই পারে। তিনি এও বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আ.লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া সুষ্ঠু হবেনা। তার মানে কি? জিএম কাদের আ.লীগকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে। আজকে শ্রদ্ধা নিবেদনের নামে তারা ফিরে আসার মিশন শুরু করেছে। এখানে কেন পর্যাপ্ত পুলিশ নাই? কিভাবে জাতীয় পার্টি ঢুকলো? সারাদেশে তো জাতীয় পার্টির ১০০ জনও সক্রিয় কর্মী নাই। এর আগে তারা লোকভাড়া করে সমাবেশ করেছে। অথচ আজকে ৫০০-৬০০ লোক নিয়ে এসেছে। এগুলো কেউ জাতীয় পার্টি না, এরা আ.লীগ। এদেরকে গ্রেফতার না করে, কেন ঢুকতে দেওয়া হলো? আমাদের স্পষ্ট কথা, আগামী ১৬ ডিসেম্বর আ.লীগ ও জাপা স্মৃতিসৌধে যেতে পারবেনা। তাদেরকে সুযোগ দিলে তারা ধীরে ধীরে ফিরে আসবে। এখনই তাদের টুঁটি চেপে ধরতে হবে। গণহত্যার বিচারের আগে কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম তারা করতে পারবেনা। আর আ.লীগ ও জাতীয় পার্টিকে কেন এখনো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে? এই দেশকে তারা ধ্বংস করেছে। ২০০০ শহীদ, ৩০০০০ আহত, এদের রক্তের সাথে কোন বেইমানি সহ্য করা হবেনা। আরেকটি কথা বলতে চাই, ৭১ এর সাথে ২৪ কে মিলিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করবেন না। ৭১ এ একটি ভূখণ্ডের জন্য যুদ্ধ হয়েছে। এই লড়াইয়ের সাথে অন্য কোনকিছুর তুলনা বেমানান। ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধারা যেদলই করুক না কেন, যে আদর্শেরই হোক না কেন, তাদের নিয়ে বিতর্ক করা যাবেনা। যারা জনগণের পক্ষে এবং কোন অন্যায় করেনি তাদেরকে আজীবন শ্রদ্ধা করতে হবে। সরকারকে বলবো, দ্রুত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনুন। গণহত্যার বিচার করুন। শেখ হাসিনাকে ভারতে রেখে, আ.য়ামী হাইকমান্ডকে গ্রেফতার না করে কিসের বিচার করবেন? বিচারের নামে চুনোপুঁটির বিচার মানা হবেনা। আগে রাঘববোয়াল ধরুন। এমপিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন, ১৪,১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করুন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি জাফর মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহ- স্বাস্থ্য সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সম্পাদক নাজমুল হাসান,সিনিয়র সহ সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি সহ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় ও ইউনিট নেতাকর্মী, যুব অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সহ সভাপতি রাহুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সকাল আহমেদ, সদস্য মোঃ স্বপন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মামুন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিঠু প্রমূখসহ নেতাকর্মীরা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আ.লীগ জাতীয় পার্টির মুখোশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে: রাশেদ খান

আপডেট সময় ০২:০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে গণঅধিকার পরিষদের  সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান বলেন,আ.লীগ জাতীয় পার্টির মুখোশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

শনিবার ( ১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান। এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

এসময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রাশেদ খান বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আমরা দেখলাম, জাতীয় পার্টির লোকজনও শ্রদ্ধা নিবেদন করলো। কিন্তু এরা জাতীয় পার্টি না, এরা আ.লীগ। আ.লীগ জাতীয় পার্টি বেশে ফিরে এসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জিএম কাদের বলেছে, আমাদের সমাবেশে যদি আ.লীগের কর্মীরা আসে, আমাদের করার কিছু নাই। উন্মুক্ত সমাবেশে তারা আসতেই পারে। তিনি এও বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আ.লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া সুষ্ঠু হবেনা। তার মানে কি? জিএম কাদের আ.লীগকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে। আজকে শ্রদ্ধা নিবেদনের নামে তারা ফিরে আসার মিশন শুরু করেছে। এখানে কেন পর্যাপ্ত পুলিশ নাই? কিভাবে জাতীয় পার্টি ঢুকলো? সারাদেশে তো জাতীয় পার্টির ১০০ জনও সক্রিয় কর্মী নাই। এর আগে তারা লোকভাড়া করে সমাবেশ করেছে। অথচ আজকে ৫০০-৬০০ লোক নিয়ে এসেছে। এগুলো কেউ জাতীয় পার্টি না, এরা আ.লীগ। এদেরকে গ্রেফতার না করে, কেন ঢুকতে দেওয়া হলো? আমাদের স্পষ্ট কথা, আগামী ১৬ ডিসেম্বর আ.লীগ ও জাপা স্মৃতিসৌধে যেতে পারবেনা। তাদেরকে সুযোগ দিলে তারা ধীরে ধীরে ফিরে আসবে। এখনই তাদের টুঁটি চেপে ধরতে হবে। গণহত্যার বিচারের আগে কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম তারা করতে পারবেনা। আর আ.লীগ ও জাতীয় পার্টিকে কেন এখনো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে? এই দেশকে তারা ধ্বংস করেছে। ২০০০ শহীদ, ৩০০০০ আহত, এদের রক্তের সাথে কোন বেইমানি সহ্য করা হবেনা। আরেকটি কথা বলতে চাই, ৭১ এর সাথে ২৪ কে মিলিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করবেন না। ৭১ এ একটি ভূখণ্ডের জন্য যুদ্ধ হয়েছে। এই লড়াইয়ের সাথে অন্য কোনকিছুর তুলনা বেমানান। ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধারা যেদলই করুক না কেন, যে আদর্শেরই হোক না কেন, তাদের নিয়ে বিতর্ক করা যাবেনা। যারা জনগণের পক্ষে এবং কোন অন্যায় করেনি তাদেরকে আজীবন শ্রদ্ধা করতে হবে। সরকারকে বলবো, দ্রুত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনুন। গণহত্যার বিচার করুন। শেখ হাসিনাকে ভারতে রেখে, আ.য়ামী হাইকমান্ডকে গ্রেফতার না করে কিসের বিচার করবেন? বিচারের নামে চুনোপুঁটির বিচার মানা হবেনা। আগে রাঘববোয়াল ধরুন। এমপিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন, ১৪,১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করুন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি জাফর মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহ- স্বাস্থ্য সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সম্পাদক নাজমুল হাসান,সিনিয়র সহ সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি সহ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় ও ইউনিট নেতাকর্মী, যুব অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সহ সভাপতি রাহুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সকাল আহমেদ, সদস্য মোঃ স্বপন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মামুন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিঠু প্রমূখসহ নেতাকর্মীরা