কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে দলটির সভাপতি সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের যদি গ্রেপ্তার করা না হয়, তবে আমাদের নেতাকর্মীরাই তাদের ধরে এনে ব্যবস্থা নেবে ।
রোববার বিকেলে (৫ জানুয়ারি) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন হামলার নেপথ্যে সারজিসের নাম আসছে। তবে আমরা এটি বিশ্বাস করিনা। হামলাকারীরা আজকে প্রেস কনফারেন্স করেছে। সেটার নোটিশ আবার সাংবাদিকদের দিয়েছে সারজিস। আশা করি এবিষয়ে সে তার অবস্থান ক্লিয়ার করবে। এ হামলার পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের প্রোগ্রামে কিভাবে ছুরি আনা হলো? জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অনেক ভূঁইফোড় সংগঠন গঠন করা হচ্ছে, সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমকে আরও সচেতন থাকতে হবে। ছাত্রলীগের স্পাই হিসেবে আন্দোলনে এসে ১০-১২ দিন মিডিয়ার সামনে কথা বলে কেউ কেউ আজকে বড় নেতা হয়ে গেছে। আমরা গত ৭ বছর যাবত লড়াই সংগ্রাম করে আজকে এই পর্যন্ত এসেছি। আমরা কেউ উপদেষ্টা হতে চাইনি,আমরা বলেছি এই সরকারের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নাই, যত দিন সময় লাগে সংস্কারের জন্য এই সরকার সেই সময় নিবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কিভাবে ওবায়দুল কাদের পালিয়ে গেলো? এই দাবি তুললেই হামলা করতে হবে? আমরা গণঅভ্যুত্থান আগে মাইর খেয়েছি। এখন হাসিনার পতন ঘটেছে। আমরা কি এখনো মাইর খাবো? তাহলে এই সরকারের কি দরকার ছিলো? আমাদের রক্তের উপর এই সরকার ক্ষমতা বসেছে। তাদেরকে অবশ্যই জনগণের পক্ষে থাকতে হবে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই, যেসব উপদেষ্টা জনগণের পালস বোঝে না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ করুন। ফারুকের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ঘেরাও করব। তার অপসারণের আন্দোলন করব।
আমাদের স্পষ্ট কথা, ফ্যাসিবাদের সাথে কোন আপোষ নয়। যারা আপোষ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করবো। সিইসি বলেছেন, নিষিদ্ধ না হলে আ.লীগ নির্বাচনে যাবে। কথা ক্লিয়ার, গণহত্যার বিচারের আগে আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেনা। ফারুক হাসানের উপর যে বা যারা হামলা করেছে, তাদেরকে ধরুন, নইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে চেয়ারে রাখা হবেনা।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, হাসান আল মামুন, মাহবুব জনি,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল বন্ধন, সহ আইন সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীন, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা,ঢাবি শাখার সভাপতি সানাউল্লাহ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বারের আহবায়ক এডভোকেট মোমিনুল প্রমুখ।