ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাল্যবিয়ে বন্ধ করে খাবার পাঠানো হলো এতিমখানায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামে বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার (১১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণগ্রামের আনোয়ার মিয়ার ১৪ বছর বয়সী দশম শ্রেণির ছাত্রী মেয়ের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কবির মিয়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী ২৫ বছর বয়সী ছেলে তসলিম মিয়ার বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে পারে, মেয়েটি এখনও বিবাহযোগ্য নয় এবং সে চন্ডিদ্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী, ঘটনাটি বাল্যবিয়ে হিসেবে বিবেচনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত মেয়েটির মাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে। সেই সঙ্গে বিয়ের জন্য প্রস্তুত করা খাবার স্থানীয় একটি এতিমখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি এবং রাষ্ট্রের জন্যও ক্ষতিকর। আজকের এই বিয়েটি আমরা বন্ধ করেছি, মেয়ের মাকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং মেয়েটি যেন নিয়মিত স্কুলে যায়, সে বিষয়ে একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

বাল্যবিয়ে বন্ধ করে খাবার পাঠানো হলো এতিমখানায়

আপডেট সময় ১০:৫২:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামে বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার (১১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণগ্রামের আনোয়ার মিয়ার ১৪ বছর বয়সী দশম শ্রেণির ছাত্রী মেয়ের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কবির মিয়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী ২৫ বছর বয়সী ছেলে তসলিম মিয়ার বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে পারে, মেয়েটি এখনও বিবাহযোগ্য নয় এবং সে চন্ডিদ্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী, ঘটনাটি বাল্যবিয়ে হিসেবে বিবেচনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত মেয়েটির মাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে। সেই সঙ্গে বিয়ের জন্য প্রস্তুত করা খাবার স্থানীয় একটি এতিমখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি এবং রাষ্ট্রের জন্যও ক্ষতিকর। আজকের এই বিয়েটি আমরা বন্ধ করেছি, মেয়ের মাকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং মেয়েটি যেন নিয়মিত স্কুলে যায়, সে বিষয়ে একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।