নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের মালিকানাধীন গাজী টায়ার ফ্যাক্টরির আগুন ২০ ঘণ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় ১৪ জনের মতো জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
রুপগঞ্জের গাজী টায়ার ফ্যাক্টরিটির মালিক সাবেক মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গাজী গ্রুপের এই বিশাল প্রতিষ্ঠানজুড়ে লুটপাট ও ভাঙচুর চালানোর ফলে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে গাজী গোলাম দস্তগীরকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোর পর অবশিষ্ট একটি ৬ তলা ভবনে লুটপাট চালানো শুরু হয় গত রোববার (২৫ আগস্ট)। লুটপাট চলা অবস্থায় রাত ৯টার পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ধারণা করা হচ্ছে– আগুনে যারা পুড়ে মারা গেছে, তারা ওই কারখানার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তারা লুটপাট চালানোর জন্যই গিয়েছিলেন। তবে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজন ফায়ার সার্ভিসের কাছে নাম লিখিয়েছেন।
আগুন লাগার কারণ জানার চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস। সংস্থাটির ১৫০ জনের টিম অগ্নি নির্বাপণে কাজ করছে। তবে স্থানীয়রা বলছে, লুটপাটকারীদের কারণেই ওই ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, কয়েক একর জায়গার ওপর স্থাপিত গাজী টায়ার ফ্যাক্টরিতে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করতো। আর গাজী টায়ার বছরে ১২০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করতো। এখন প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।