ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
১৪ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ও সংশ্লিষ্টদের ৩৬৮ কোটি টাকার জমি ক্রোকের নির্দেশ হরতাল হবে না, জনগণ আপনাদের শাস্তির অপেক্ষা করছে : রিজভী গুম-হত্যা মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী ৩ দিনের রিমান্ডে সিরাজগঞ্জে চলন্ত ট্রাকে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ; টাক চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড ইজতেমায় নিরাপত্তা আগের চেয়ে বেশি জোরদার করা হয়েছে: আইজিপি হেডম থাকলে দেশে এসে বিচার করেন, গোলাম রাব্বানীকে হাসনাত যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রীবাহী প্লেনের সাথে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের গুয়ান্তানামো কারাগারে পাঠাবেন ট্রাম্প মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৪৯ শিক্ষার্থী প্রমাণ দেখাতে আসেননি

ছাত্র আন্দোলনে নিহত বিএনপি নেতার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে  গত ৫ আগস্ট গুলিতে নিহত মামুন খন্দকারের (৪৩) মরদেহ ৫ মাস ২৬ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা একটার দিকে নিহতের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া খন্দকার বাড়ি পারিবারিক কবর থেকে এই মরদেহ তোলা হয়।
এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নিহত মামুন খন্দকার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর খন্দকারের ছেলে। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন।
নিহত মামুনের পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা  সরকারের লোক জনের হাতে আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মামুন খন্দকারের স্ত্রী সাথী খন্দকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত মামুন খন্দকারের মরদেহ তোলার আদেশ দেন।
নিহতের ভাই কাজী মাহমুদুল হাসান খন্দকার বলেন, আর্থিক সচ্ছলতার  জন্য পরিবার নিয়ে ঢাকা গিয়েছিলেন। ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আশুলিয়া বাইপাইল থানা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমার ভাই কে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তাদের আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি করছি।
নিহত মামুনের ছোট মেয়ে তাওহিদা বলেন, বাবা ৪ আগস্ট বাসা থেকে বের হয় তারপর আর বাসায় ফেরেনি। আন্দোলনের সময় আমাদের বাসায় এসে লোকজন হুমকি দিয়ে যায়। পরে আমরা শুনতে পাই বাবা গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। বাবাকে যারা মেরেছেন তাদের আমি বিচার চাই।
মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম গণমাধ্যমকে  বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে নিহত মামুন খন্দকারের মরদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

রংপুরে আহত যোদ্ধাদের মাঝে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার চেক বিতরণ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ছাত্র আন্দোলনে নিহত বিএনপি নেতার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

আপডেট সময় ০৭:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে  গত ৫ আগস্ট গুলিতে নিহত মামুন খন্দকারের (৪৩) মরদেহ ৫ মাস ২৬ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা একটার দিকে নিহতের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া খন্দকার বাড়ি পারিবারিক কবর থেকে এই মরদেহ তোলা হয়।
এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নিহত মামুন খন্দকার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর খন্দকারের ছেলে। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন।
নিহত মামুনের পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা  সরকারের লোক জনের হাতে আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মামুন খন্দকারের স্ত্রী সাথী খন্দকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত মামুন খন্দকারের মরদেহ তোলার আদেশ দেন।
নিহতের ভাই কাজী মাহমুদুল হাসান খন্দকার বলেন, আর্থিক সচ্ছলতার  জন্য পরিবার নিয়ে ঢাকা গিয়েছিলেন। ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আশুলিয়া বাইপাইল থানা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমার ভাই কে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তাদের আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি করছি।
নিহত মামুনের ছোট মেয়ে তাওহিদা বলেন, বাবা ৪ আগস্ট বাসা থেকে বের হয় তারপর আর বাসায় ফেরেনি। আন্দোলনের সময় আমাদের বাসায় এসে লোকজন হুমকি দিয়ে যায়। পরে আমরা শুনতে পাই বাবা গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। বাবাকে যারা মেরেছেন তাদের আমি বিচার চাই।
মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম গণমাধ্যমকে  বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে নিহত মামুন খন্দকারের মরদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে।