ঢাকা ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ৮ সিনেমা; নির্মাতা চূড়ান্ত বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : প্রেস সচিব পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন আন্দোলনে আহত ১০০ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৪৪ ধারা ভেঙে সচিবালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা, পুলিশের ধাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ সরকার গঠনের পর অভিযুক্ত কাউকে দেশত্যাগ করতে দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রুডো কেন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন? কে হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি? গঠিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’,  ইরানে হিজাব খুলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিবাদ শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

মঠবাড়িয়ায় জমির বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মিরুখালী মৌজার বিরোধী জমির তদন্ত কালীন সময়ে  ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয় দরখাস্তকারী গোলাম কবির (৫৮) এর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা ও অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে মিরুখালী ইউনিয়নের ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তার জিল্লুর হোসেনের (তহসিলদার)কার্যালয় এ ঘটনা ঘটে।মঠবাড়িয়ার সেনাবাহিনীর দরখাস্তকারীকে অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন। দরখাস্তকারী গোলাম কবির মিরুখালী গ্রামের মৃত মোঃ নুরুল ইসলাম এর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোলাম কবির গত ১২ আগষ্ট ২৪’উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর বরাবরে বাদী হয়ে একই এলাকার প্রতিপক্ষ হাবিবুর রহমান, মনজুরুল হক মহারাজ, ইলিয়াস উদ্দিন, এ কে এম মাসুম বিল্লাহ, একেএম শহীদুল্লাহকে বিবাদী করে তাদের বিরুদ্ধে ১ একর ৫০ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ এনে দরখাস্ত দেয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই দরখাস্ত খানা মিরুখালী ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) জিল্লুর হোসেনকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা জিল্লুর হোসেন বিবাদীদের পর পর দুইবার নোটিশ করলেও প্রতিপক্ষ বিবাদীগণ তদন্তের বিষয়টির গুরুত্ব না দিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করেন।পুনরায় নোটিশ দেওয়া হলে গত সোমবার বিকেলে তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন সময় প্রতিপক্ষ মৃত একেএম সেলিম মুন্সির ছেলে একেএম মাসুম বিল্লাহ দরখাস্তকারী গোলাম কবিরের ওপর হামলা করে ও হত্যার হুমকি দেয়।
এ সময় প্রতিপক্ষের ভয়ে অবরুদ্ধ করে পড়ে গোলাম কবির। অবরুদ্ধ অবস্থায় মঠবাড়িয়া সেনা ক্যাম্পে ফোন দিলে তাকে সেনাবাহিনীর উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
গোলাম কবির জানান, আমি ঢাকায় থাকি। বিবাদীগন বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে আমার ১ একর ৫০ শতাংশ জমি জবর দখল করে নেয়। বর্তমানে আমার জীবনের নিরাপত্তা নেই। বিবাদীরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। যে কোন সময় আমাকে হত্যা করতে পারে।
হামলাকারী একেএম মাসুম বিল্লাহ’র সাথে  যোগাযোগ করেও তাকা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় গোলাম কবির মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) বিকেলে মঠবাড়িয়া সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার বরাবরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও প্রতিপক্ষ কর্তৃক জবরদখল হওয়া এক ১ একর ৫০ শতাংশ জমি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মঠবাড়িয়ায় জমির বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা

আপডেট সময় ১১:০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মিরুখালী মৌজার বিরোধী জমির তদন্ত কালীন সময়ে  ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয় দরখাস্তকারী গোলাম কবির (৫৮) এর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা ও অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে মিরুখালী ইউনিয়নের ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তার জিল্লুর হোসেনের (তহসিলদার)কার্যালয় এ ঘটনা ঘটে।মঠবাড়িয়ার সেনাবাহিনীর দরখাস্তকারীকে অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন। দরখাস্তকারী গোলাম কবির মিরুখালী গ্রামের মৃত মোঃ নুরুল ইসলাম এর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোলাম কবির গত ১২ আগষ্ট ২৪’উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর বরাবরে বাদী হয়ে একই এলাকার প্রতিপক্ষ হাবিবুর রহমান, মনজুরুল হক মহারাজ, ইলিয়াস উদ্দিন, এ কে এম মাসুম বিল্লাহ, একেএম শহীদুল্লাহকে বিবাদী করে তাদের বিরুদ্ধে ১ একর ৫০ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ এনে দরখাস্ত দেয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই দরখাস্ত খানা মিরুখালী ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) জিল্লুর হোসেনকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা জিল্লুর হোসেন বিবাদীদের পর পর দুইবার নোটিশ করলেও প্রতিপক্ষ বিবাদীগণ তদন্তের বিষয়টির গুরুত্ব না দিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করেন।পুনরায় নোটিশ দেওয়া হলে গত সোমবার বিকেলে তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন সময় প্রতিপক্ষ মৃত একেএম সেলিম মুন্সির ছেলে একেএম মাসুম বিল্লাহ দরখাস্তকারী গোলাম কবিরের ওপর হামলা করে ও হত্যার হুমকি দেয়।
এ সময় প্রতিপক্ষের ভয়ে অবরুদ্ধ করে পড়ে গোলাম কবির। অবরুদ্ধ অবস্থায় মঠবাড়িয়া সেনা ক্যাম্পে ফোন দিলে তাকে সেনাবাহিনীর উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
গোলাম কবির জানান, আমি ঢাকায় থাকি। বিবাদীগন বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে আমার ১ একর ৫০ শতাংশ জমি জবর দখল করে নেয়। বর্তমানে আমার জীবনের নিরাপত্তা নেই। বিবাদীরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। যে কোন সময় আমাকে হত্যা করতে পারে।
হামলাকারী একেএম মাসুম বিল্লাহ’র সাথে  যোগাযোগ করেও তাকা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় গোলাম কবির মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) বিকেলে মঠবাড়িয়া সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার বরাবরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও প্রতিপক্ষ কর্তৃক জবরদখল হওয়া এক ১ একর ৫০ শতাংশ জমি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
আরো পড়ুন : মঠবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত