ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আটোয়ারীতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজসহ উপকরণ বিতরণ

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বিষয়ে কৃষকদের ব্রিফিং দেওয়া হয়েছে। ব্রিফিং শেষে পেঁয়াজ বীজ সহ বিনামূল্যে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রবিবার ( ১৩ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ৭০ জন প্রান্তিক কৃষককে  এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনে করণীয় বিষয়ে ব্রিফিং দেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,খামারবাড়ী পঞ্চগড়ের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল মতিন।
এন-৫৩ পেঁয়াজ চাষীদের করণীয় ভিডিও চিত্র প্রদর্শন সহ উপস্থাপনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুবোধ চন্দ্র রায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং কৃষকদের উদ্দেশ্যে পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ ফরহাদ হোসেন, কৃষি  সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ আফজাল হোসেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ সহ উপকারভোগী কৃষক-কৃষাণীবৃন্দ।
ব্রিফিং শেষে উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে তালিকাভুক্ত ৭০ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এন-৫৩ পেঁয়াজ বীজ সহ উপকরণসমুহ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ২০২৪ -২৫ অর্থবছরে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় গ্রীষ্মকালীন আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রত্যেককে বিনামূল্যে পৃথক পৃথকভাবে  এক কেজি এন-৫৩ পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার , ২০ কেজি এমওপি সার, ৫০ কেজি ডলোচুন বিতরণ করা হয়। এছাড়াও প্রত্যেককে বালাই নাশক বাবদ বিকাশ নম্বরে ৩৫৫/- টাকা প্রদান করা হচ্ছে।
উপ পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, এ জাতের পেঁয়াজ আবাদে আশানুরূপ সাফল্য আর্জন করতে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক মাঠ পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শের পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তারাও  এ কাজে কৃষকদের সহায়তা করবেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বাম্পার ফলন আশা করেন তিনি। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও প্রনোদনার মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের তদারকি ও কৃষকদের প্রচেষ্টায় নিশ্চয়ই পেঁয়াজ চাষে সফলতা আসবে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সকল কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠলে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজনীয়তা কমে দেশ স্বনির্ভর হয়ে উঠবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনলো বাংলাদেশ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আটোয়ারীতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজসহ উপকরণ বিতরণ

আপডেট সময় ০৫:৫৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বিষয়ে কৃষকদের ব্রিফিং দেওয়া হয়েছে। ব্রিফিং শেষে পেঁয়াজ বীজ সহ বিনামূল্যে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রবিবার ( ১৩ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ৭০ জন প্রান্তিক কৃষককে  এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনে করণীয় বিষয়ে ব্রিফিং দেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,খামারবাড়ী পঞ্চগড়ের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল মতিন।
এন-৫৩ পেঁয়াজ চাষীদের করণীয় ভিডিও চিত্র প্রদর্শন সহ উপস্থাপনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুবোধ চন্দ্র রায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং কৃষকদের উদ্দেশ্যে পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ ফরহাদ হোসেন, কৃষি  সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ আফজাল হোসেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ সহ উপকারভোগী কৃষক-কৃষাণীবৃন্দ।
ব্রিফিং শেষে উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে তালিকাভুক্ত ৭০ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এন-৫৩ পেঁয়াজ বীজ সহ উপকরণসমুহ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ২০২৪ -২৫ অর্থবছরে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় গ্রীষ্মকালীন আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রত্যেককে বিনামূল্যে পৃথক পৃথকভাবে  এক কেজি এন-৫৩ পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার , ২০ কেজি এমওপি সার, ৫০ কেজি ডলোচুন বিতরণ করা হয়। এছাড়াও প্রত্যেককে বালাই নাশক বাবদ বিকাশ নম্বরে ৩৫৫/- টাকা প্রদান করা হচ্ছে।
উপ পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, এ জাতের পেঁয়াজ আবাদে আশানুরূপ সাফল্য আর্জন করতে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক মাঠ পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শের পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তারাও  এ কাজে কৃষকদের সহায়তা করবেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বাম্পার ফলন আশা করেন তিনি। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও প্রনোদনার মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের তদারকি ও কৃষকদের প্রচেষ্টায় নিশ্চয়ই পেঁয়াজ চাষে সফলতা আসবে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সকল কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠলে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজনীয়তা কমে দেশ স্বনির্ভর হয়ে উঠবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।