ফুল ভালবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। আর সেই ফুল প্রেমীদের একজন আব্বাস আলী। তার দীর্ঘ গবেষণা আর পরিশ্রমের পর একটি গাছে বারো রঙয়ের ফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন আব্বাস আলী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রংপুর জেলাধীন বদরগঞ্জ উপজেলার ৯নং দামুদারপুর ইউনিয়নের বানুয়া পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্বাস আলী প্রায় ২ যুগ আগে ছোট আকারে তার বাসতবাড়ীর এক পাশে শুরু করেন নার্সারী। বর্তমানে তার একই নামে চারটি শাখা সহ একটি সেল সেন্টার রয়েছেন। সেখানে কাজ করছেন প্রায় এক’শ শ্রমিক। তিনি তার বাগানে দেশী ফল-মূলের গাছ এর পাশাপাশি বিদেশী ফলের চারাও উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন আব্বাস আলী। শুধু বিদেশী ফলের চারাই নয়। পাশাপাশি বিদেশী ফুলের চারা সহ দেশী ফুলের চারাও পাওয়া যায় তার নার্সারীতে।
সৌরভ নার্সারীতে চারা কিনতে আসা মাসুম মিয়া নামে একজন ক্রেতা বলেন,আমি অনেক নার্সারীতে গিয়ে ছিলাম কিন্তু এনার মত ব্যাতিক্রমি গাছ বা চারা কোথাও পাইনি।তিনি আরো বলেন আমি এখানে একটি গাছে বারো কালারে বাগান বিলাস ফুল ফুটতে দেখে আবাক হয়েছি।
সৌরভ নার্সারীর প্রোপাইটার মোঃ আব্বাস আলী বলেন,আমি আজ থেকে প্রায় ২ যুগ আগে মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে আমার বসতভিটার এক পাশে শুরু করেছিলাম একক উদ্যোগে। তখন সবাই আমাকে নিয়ে উপহাস করেছিল। আমি তাদের উপহাসকে আমার প্রেরণা মনে করেছি। এবং তাদের এই উপহাস আমাকে আরো সফলতার কাজে হেল্প করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমি প্রথমের দিকে ক্ষতি গ্রস্ত হলেও বর্তমানে আমি সফল এবং লাভবান। আমাদের একটি থেকে এখন পাঁচটি শাখা করেছি। সব মিলে আমি প্রায় এক শত পরিবারের কর্ম সংস্থান করতে পেরেছি। তবে আমি যদি সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগীতা এবং কৃষি অধিদপ্তর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতাসহ তাদের পৃষ্টোপোষকতা পাই আরো ভাল কিছু করতে পারব বলে দাবী করেন আব্বাস আলী।
বদরগঞ্জ উপজেলার কৃষি অফিসার মোছাঃ সেলিনা আফরোজ বলেন,আমি সেখানে গিয়েছিলাম এবং দেখে এসেছি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সর্বদা তদারকি করব এবং সর্বদা যে সকল পরামর্শ লাগবে আমরা তা প্রদান করব।