দীর্ঘ ১৬ বছর পর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন রঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আবু সাঈদ মিয়া ও আবু বকর সিদ্দিক কাবুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তেঁতুলিয়া অডিটোরিয়াম চত্বরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন রঞ্জুর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রেজাউল করিম শাহীনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহম্মদ নওশাদ জমির।
প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, বিএনপি নেতা এম এ মজিদ, অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, অ্যাডভোকেট আদম সুফিম জেলা মহিলা দলের সভাপতি লায়লা আঞ্জুমান মুক্তি, অ্যাডভোকেট রইচউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
২০০৯ সালে সর্বশেষ উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ।াধবেশনে সম্মিলিতভাবে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সমাংগঠনিক সম্পাদক পদে অন্য প্রার্থী না থাকায় সর্ব সম্মিলিতভাবে তাদের নির্বাচিত করা হয়।
প্রধান অতিথি ব্যারিষ্টার মুহম্মদ নওশাদ জমির বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রথম বিএনপিই মানুষের কাছে নিয়ে আসেন। এখন সংস্কারের নামে নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। ৩১ দফা সকলকে পড়ে জনগণের দ্বার গোড়ায় পৌছে দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
ব্যারিষ্টার নওশাদ বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে আজকে সার্ক হতো সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) কার্যক্রম গতিশীল থাকলে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হতোনা। আলোচনার মাধ্যমে সবকিছুর সমাধান হতো।
তিনি বলেন, সার্কের স্বপ্নদ্রস্টা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর স্বার্থের কথা চিন্তা করে সার্ক গঠন করেছিলেন। এটা ছিলো জিয়াউর রহমানের সুদুরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তাভাবনা। সার্ক ফেইল করেছে কিছু রাস্ট্র সার্ককে আগাতে দিলো না। সার্কের যে মাহত্ব ছিলো প্রত্যেক বছর দক্ষিণ এশীয় রাস্ট্রগুলো আলোচনায় বসতো। রাস্ট্র নেতারা একটা যায়গায় বসতেন। আজকে এই যে যুদ্ধের দামামা প্রতিবছর যদি নেতারা আলোচনায় বসতেন তাহলে এই যুদ্ধ থেকে আমাদের মুক্তির সুযোগ ছিলো। প্রেসিডেন্ট জিয়া বিশ^াস করতেন হোয়াট টু বি এচিভড সিটিং এক্রোস দ্য টেবিল ক্যান নট এচিভ ইন ওয়ার । আলোচনার মাধ্যমে যে সমস্যার সমাধান সম্ভব সেটা কোন অবস্থাতেই যদ্ধে সম্ভব না। ইরাক ইরান যুদ্ধের সময় ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কে ইরাক ভ্রমণের সময় বাংলাদেশের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মুহম্মদ জমির উদ্দীন সরকার বলেছিলেন জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে আপনাদের যুদ্ধ হতোনা। তিনি আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান দিতেন।
আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের কাতারে সামিল হয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন আজকে সংস্কারের নামে যেসব কমিশন হচ্ছে বিএনপি তার আগেই রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছে। আপনারা ৩১ দফা একটু পড়বেন। আগামীর রাস্ট্র চিন্তা ৩১ দফাতেই আছে।