ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

মমিনপুর ইউপির ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর বেহাল দশা

মোঃ হামিদুর রহমান লিমন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীটির বেহাল দশা দেখার কেউ নেই। ভবনের এক কোনায় ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটির ভ্যান পড়ে আছে। ইঞ্জিন, মোটর ও ব্যাটারি নেই। বই কোথায় আছে জানে না কেউ। এটিকে কুলক্ষণ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় জনগণ।  শিক্ষার্থীরা বলছে, এটি চরমতম ব্যর্থতা।
জানা গেছে, এলজিএসপি-২ প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানবৃদ্ধির জন্য ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটি একটি ভ্যানে তৈরী করা হয়। বই নিয়ে ভ্যানটি নয়টি ওয়ার্ডের পাড়ায় পাড়ায় যাওয়া হতো। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা বই নিয়ে পাঠ করে আবার জমা দিত।
তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা আক্তার কল্পনার ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটির পরিচর্যা করলেও বর্তমান ইউপি চেয়ারমান মোঃ মিনহাজুল ইসলামের সময়ে দিনের পর দিন অবেহেলার আর অব্যবস্থাপনায় হারিয়ে গেছে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটির অস্তিত্ব।
সরেজমিনে গিয়ে ভ্রাম্যমান লাইেব্ররীর অটোভ্যানটির ইঞ্জিন, মোটার কিংবা ব্যাটারি দেখতে পাওয়া যায়নি। আর দীর্ঘদিন  অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে মরিচা পড়ে অটোভ্যানটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর লাইব্রেরীর জন্য বরাদ্দকৃত বইগুলোর খোঁজ নেই।
সিরাজুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এখানে একটি ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী করা হয়েছিল আমরা বাড়ীতে বসে বই নিতে পারতাম। আমাদের সন্তানরাও সেখান থেকে বই নিয়ে পড়তেন এবং উপকৃত হতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই লাইব্রেরীটা বন্ধ হয়ে গেছে এতে অনেকেই বই পড়া থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। তিনি আরো দাবী করে বলেন, ভ্রাম্যমান লাইব্রেটি আবার চালু করা হোক।
দশম শ্রেণীর ছাত্রী তাবাচ্ছুম বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী ছিল কিন্তু এখন নেই। আমরা লাইব্রেরীটি থাকাকালীন উপকৃত হয়েছিলাম। আমরা সেখান থেকে বই নিয়ে একাডেমী শিক্ষার বাইরেও সাধারণ জ্ঞানসহ বাইরের জ্ঞান অজর্ন করতে পারতাম। এখন ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটি বন্ধ হওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কেন এই লাইব্রেরীটা বন্ধ হল আর বই গুলো কোথায় গেল সেটার সঠিক তদন্ত প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বর্তমান মমিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজুল ইসলামের সাথে তার অফিসে গিয়ে এবং পরে তার নিজ ব্যবহৃত নম্বারে বার বার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মমিনপুর ইউপির ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর বেহাল দশা

আপডেট সময় ১০:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
মোঃ হামিদুর রহমান লিমন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীটির বেহাল দশা দেখার কেউ নেই। ভবনের এক কোনায় ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটির ভ্যান পড়ে আছে। ইঞ্জিন, মোটর ও ব্যাটারি নেই। বই কোথায় আছে জানে না কেউ। এটিকে কুলক্ষণ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় জনগণ।  শিক্ষার্থীরা বলছে, এটি চরমতম ব্যর্থতা।
জানা গেছে, এলজিএসপি-২ প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানবৃদ্ধির জন্য ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটি একটি ভ্যানে তৈরী করা হয়। বই নিয়ে ভ্যানটি নয়টি ওয়ার্ডের পাড়ায় পাড়ায় যাওয়া হতো। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা বই নিয়ে পাঠ করে আবার জমা দিত।
তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা আক্তার কল্পনার ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটির পরিচর্যা করলেও বর্তমান ইউপি চেয়ারমান মোঃ মিনহাজুল ইসলামের সময়ে দিনের পর দিন অবেহেলার আর অব্যবস্থাপনায় হারিয়ে গেছে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটির অস্তিত্ব।
সরেজমিনে গিয়ে ভ্রাম্যমান লাইেব্ররীর অটোভ্যানটির ইঞ্জিন, মোটার কিংবা ব্যাটারি দেখতে পাওয়া যায়নি। আর দীর্ঘদিন  অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে মরিচা পড়ে অটোভ্যানটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর লাইব্রেরীর জন্য বরাদ্দকৃত বইগুলোর খোঁজ নেই।
সিরাজুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এখানে একটি ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী করা হয়েছিল আমরা বাড়ীতে বসে বই নিতে পারতাম। আমাদের সন্তানরাও সেখান থেকে বই নিয়ে পড়তেন এবং উপকৃত হতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই লাইব্রেরীটা বন্ধ হয়ে গেছে এতে অনেকেই বই পড়া থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। তিনি আরো দাবী করে বলেন, ভ্রাম্যমান লাইব্রেটি আবার চালু করা হোক।
দশম শ্রেণীর ছাত্রী তাবাচ্ছুম বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী ছিল কিন্তু এখন নেই। আমরা লাইব্রেরীটি থাকাকালীন উপকৃত হয়েছিলাম। আমরা সেখান থেকে বই নিয়ে একাডেমী শিক্ষার বাইরেও সাধারণ জ্ঞানসহ বাইরের জ্ঞান অজর্ন করতে পারতাম। এখন ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটি বন্ধ হওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কেন এই লাইব্রেরীটা বন্ধ হল আর বই গুলো কোথায় গেল সেটার সঠিক তদন্ত প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বর্তমান মমিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজুল ইসলামের সাথে তার অফিসে গিয়ে এবং পরে তার নিজ ব্যবহৃত নম্বারে বার বার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন : আলোচনায় ইকবালের ভোট পরিসংখ্যান