রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের রামজীবনএলাকার বাসিন্দা সুজনারা বেগম নুরানীর পরিবার মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। প্রতিকার চেয়ে রংপুর কোতয়ালী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছে তার স্বামী জয়ফুল ইসলাম। তা আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ তদন্ত শেষে প্রসিকিউসনে পাঠিয়েছে।
লিখিত ডায়েরী সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই এলাকার দৌলোত জামান দুখু গং ২০২১ সালের ১আগষ্ট তারিখ সন্ধ্যায় শিক্ষক জয়ফুল ইসলামেরউপর হামলা চালিয়ে মারপিট করাসহ মাথায় গুরুতর জখম করে বাম হাতের বৃদ্ধা আঙুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ওই ঘটনার পর তার স্ত্রী মোছাঃ সুজনারা বেগম নুরানী বাদী হয়ে রংপুর কোতয়ালীথানায় ১৪৩/ ৮৮৯/ ৮৮৮/ ৩৪১/ ০২৩/ ৩২৮/ ৩২৬/ ০০৯/৬৭ /৩৫৬/ ৪২৭/ ৫০৬/ ১১৪ পেনাল কোড ধারায়একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রহিয়াছে।
উক্ত মামলায় বিবাদী দৌলোতজামান দুখু গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে এসে বাদি ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে আসছে। অন্যথায় বাদির পরিবারের লোকজনের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকী প্রদান করেন। এর ধারাবাহিকতায়গত ৮ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যায় বিবাদী মোঃ দৌলোত জামান দুখু মামলার বাদি সুজনারা বেগম নুরানীর বসতবাড়ীর সামনে রাস্তায় এসে সুজনারা বেগম নুরানীর স্বামী শিক্ষক জয়ফুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করো মামলা তুলে দেওয়ার হুমকী প্রদান করেন। মামলার সাক্ষীদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে হুমকী দিয়া বলে যে, তার বিরুদ্ধে কেউ আদালতে সাক্ষী প্রদান করলে তার বাড়ীঘর ভাংচুর করাসহ মারপিট করবে।
এর প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষক জয়ফুল ইসলাম রংপুর কোতয়ালী সদর থানায় একটিসাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। জিডি নং- ৩৪৬।
এ ব্যাপারে কথা হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ সার্কেল) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান জানান, শিক্ষক জয়ফুল ইসলাম আমার কাছে এসেছিল। তিনি সহায়তা চেয়েছেন। আমরা সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকি। আমি তাকে নিশ্চিন্তে বসবাসেরআশ্বাস দিয়েছি। অপরাধ করে কেউ আইনের ধারা থেকে বাঁচতে পারবে না।