ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

সিরাজগঞ্জের সলংগা গাঢ়ুদহ নদী খননে কৃষকের মুখে হাসি

রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ জেলা  প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ সলংগা গাঢ়ুদহ নদী খননে কৃষকের মাঝে ফিরে এলো স্বস্তির নিঃশ্বাস দেখা দিল হাসির ঝলক। এক সময়ের খরস্রোতা গাঢ়ুদহ নদী তার নাব্যতার যৌবন জৌলুশ হারিয়ে এখন মৃত্যুর দারপ্রান্তে। এই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ঐতিহাসিক সলংগা হাট। এই এলাকার ৩০টি গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল এই গাঢ়ুদহ নদী। এই গ্রাম গুলোর হাজার হাজার কৃষক শুষ্ক মৌসুমে তাদের কৃষি জমিতে সেচ পরিচালনা করে মাঠ জুরে ফসল ফলাতো।
তেমনি বর্ষা মৌসুমে প্লাবিত কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। তবে কালের বিবর্তনে বর্তমান নদীর নাব্যতা ও যৌবন জৌলুশ হারিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে দেখা দিচ্ছে নানামুখী সমস্যা। একদিকে যেমন শুষ্ক মৌসুমে কৃষি জমিতে সেচের প্রয়োজনে দেখা মিলছেনা পানির। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমিতে সৃষ্টি হতো জলাবদ্ধতা এতে ফসল উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। এই এলাকার হাজারো কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে কৃষকের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগিয়ে আসে বিএডিসি সেচ প্রকল্প। রায়গঞ্জ বিএডিসি অফিস সূত্রে জানাযায়, ২০১৯ সালে পাবনা, নাটোর সিরাজগঞ্জ একটি সেচ প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি। এ প্রকল্পের আওতায় ছোট ছোট নদী ও খাল খননের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সলংগা হতে রায়গঞ্জ ফুলজোর নদী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার নদী খননে জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
উক্ত খালটি খননের জন্য মোট ১৮ জন ঠিকাদার দায়িত্ব পায়। গত ফেব্রায়ারি মাসের প্রথম থেকে ঠিকাদাররা নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০% কাজ করতে সখম হয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গুলো। গাঢ়ুদহ নদী পাড়ের বওলাতলা, কালিবাড়ি, কাটর মহলের কৃষক উৎপল কুমার, শফিকুল ইসলাম, আহসান হাবিব, মোকলেছুর রহমানের, নাসির উদ্দিন, মিলন, রফিকসহ অনেকেই রিপোর্টারকে বলেন, আমাদের যেন কৃষি জমির প্রাণ ফিরে এলো। এলাকা ঘুরে দেখা যায় গাঢ়ুদহ নদী খননে কৃষকের চোখে মুখে যেন বইছে হাসির জলক।
নদী খননের বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আনন্দ কুমার বর্মন বলেন, কৃষি জমিতে সেচ ও পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সিরাজগঞ্জের সলংগা গাঢ়ুদহ নদী খননে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় ১২:০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ জেলা  প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ সলংগা গাঢ়ুদহ নদী খননে কৃষকের মাঝে ফিরে এলো স্বস্তির নিঃশ্বাস দেখা দিল হাসির ঝলক। এক সময়ের খরস্রোতা গাঢ়ুদহ নদী তার নাব্যতার যৌবন জৌলুশ হারিয়ে এখন মৃত্যুর দারপ্রান্তে। এই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ঐতিহাসিক সলংগা হাট। এই এলাকার ৩০টি গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল এই গাঢ়ুদহ নদী। এই গ্রাম গুলোর হাজার হাজার কৃষক শুষ্ক মৌসুমে তাদের কৃষি জমিতে সেচ পরিচালনা করে মাঠ জুরে ফসল ফলাতো।
তেমনি বর্ষা মৌসুমে প্লাবিত কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। তবে কালের বিবর্তনে বর্তমান নদীর নাব্যতা ও যৌবন জৌলুশ হারিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে দেখা দিচ্ছে নানামুখী সমস্যা। একদিকে যেমন শুষ্ক মৌসুমে কৃষি জমিতে সেচের প্রয়োজনে দেখা মিলছেনা পানির। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমিতে সৃষ্টি হতো জলাবদ্ধতা এতে ফসল উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। এই এলাকার হাজারো কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে কৃষকের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগিয়ে আসে বিএডিসি সেচ প্রকল্প। রায়গঞ্জ বিএডিসি অফিস সূত্রে জানাযায়, ২০১৯ সালে পাবনা, নাটোর সিরাজগঞ্জ একটি সেচ প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি। এ প্রকল্পের আওতায় ছোট ছোট নদী ও খাল খননের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সলংগা হতে রায়গঞ্জ ফুলজোর নদী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার নদী খননে জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
উক্ত খালটি খননের জন্য মোট ১৮ জন ঠিকাদার দায়িত্ব পায়। গত ফেব্রায়ারি মাসের প্রথম থেকে ঠিকাদাররা নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০% কাজ করতে সখম হয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গুলো। গাঢ়ুদহ নদী পাড়ের বওলাতলা, কালিবাড়ি, কাটর মহলের কৃষক উৎপল কুমার, শফিকুল ইসলাম, আহসান হাবিব, মোকলেছুর রহমানের, নাসির উদ্দিন, মিলন, রফিকসহ অনেকেই রিপোর্টারকে বলেন, আমাদের যেন কৃষি জমির প্রাণ ফিরে এলো। এলাকা ঘুরে দেখা যায় গাঢ়ুদহ নদী খননে কৃষকের চোখে মুখে যেন বইছে হাসির জলক।
নদী খননের বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আনন্দ কুমার বর্মন বলেন, কৃষি জমিতে সেচ ও পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে।
আরো পড়ুন : রায়গঞ্জের পাঙ্গাঁসীতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে মাছের আড়ৎ