সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে সমিতির রায়গঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও ইট নির্মাণ শ্রমিকেরা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেন আকন্দ, সভাপতি আবু হানিফ খান সহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা বলেন, ইটভাটায় কাস্টমস ভ্যাট, আয়কর, বাণিজ্যিক হারে জমির খাজনা, বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ বেশ কিছু লাইসেন্স বাবদ প্রতিবছর রাজস্ব দিয়ে আসছেন তারা। প্রতিটি ইটভাটা পরিচালনার জন্য ব্যাংক ঋণ রয়েছে। শ্রমিকদের অগ্রিম হিসেবে বড় অঙ্কের টাকা ছয় মাস আগে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বড় অঙ্কের জরিমানা ও গুঁড়িয়ে দেওয়ার কারণে ইটভাটা গুলো বন্ধ হয়ে গেলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়বেন ভাটার মালিক ও শ্রমিকেরা। এতে আর্থিক সঙ্কট তৈরি হওয়াসহ শ্রমিকদের জীবিকা নির্বাহ চরমভাবে ব্যাহত হয়ে পড়বে। ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা, ভাংচুর বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলনের আল্টিমেটাম দেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় অবৈধ মোট ১১টি ইট ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১টি ইট ভাটা সম্পূর্ন ভেঙ্গে দিয়ে অপর আরেকটি ইট ভাটা বন্ধ ঘোষণা দিয়ে উপজেলার ৭টি ইট ভাটায় ৩৫ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তুহিন আলম।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রায়গঞ্জ উপজেলায় মোট ইট ভাটা আছে ৫৯টি তার মধ্যে ২২টি ইট ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে।বাকি ইট ভাটার ছাঢ়পত্র না থাকায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সদর দপ্তরের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সিনিয়র সহকারী সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।ভাটা স্থাপন ও ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) এর আলোকে অভিযান পরিচালনা করা হয়।