ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসিসির সেরার লড়াইয়ে বাংলাদেশের শারমিন

প্রায় দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সিরিজে আলো ঝলমলে পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া শারমিন আক্তারের সামনে দারুণ অর্জনের হাতছানি। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’ এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার। নভেম্বরের সেরার লড়াইয়ে তার সঙ্গে আছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার ড্যানি ওয়াট-হজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ন্যাডাইন ডি ক্লার্ক।

গত মাসের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সেরার লড়াইয়ে জায়গা পাওয়া পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে আইসিসি। ছেলেদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ, পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং অলরাউন্ডার মার্কো ইয়ানসেন।

শারমিন আক্তার (বাংলাদেশ)

প্রথমবারের মতো মাস-সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পাওয়া শারমিন মিরপুরে আয়ারল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে ব্যাট হাতে রাখেন সবচেয়ে বড় অবদান।

প্রথম ম্যাচে ৮৯ বলে ৯৬ রানের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হন তিনি। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নেয় রেকর্ড ১৫৪ রানে। পরের ম্যাচে শারমিনের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। শেষ ম্যাচে ৮৮ বলে ৭২ রানের আরেকটি দারুণ ইনিংস খেলে সিরিজ-সেরার পুরস্কার জেতেন ২৮ বছর বয়সী ব্যাটার। এই ম্যাচটি হয় অবশ্য ডিসেম্বর মাসে।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাস-সেরা হওয়ার হাতছানি শারমিনের সামনে। গত বছরের নভেম্বরে এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার।

ন্যাডাইন ডি ক্লার্ক (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দেশের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও, ব্যাটে-বলে বেশ ভালো করেন ডি ক্লার্ক। সিরিজে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। তিন ম্যাচে ৮০ রান করার পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে উইকেট নেন ৪টি।

ড্যানি ওয়াট-হজ (ইংল্যান্ড)

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখেন ওয়াট-হজ। তিন ম্যাচে ১৪২ রান করে সিরিজের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৭৮ রানের ইনিংস। শেষ ম্যাচে রান তাড়ায় খেলেন ৩১ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস।

জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত)

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের জয়ের নায়ক ছিলেন বুমরাহ। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শার্মার অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া পেসার প্রথম ইনিংসে ৩০ রানে নেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ শিকার ধরেন তিনি ৪২ রান দিয়ে। ভারতের ২৯৫ রানের জয়ে ম্যাচ-সেরা হন তিনিই।

এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আইসিসির টেস্টে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ফেরেন ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

হারিস রউফ (পাকিস্তান)

গত মাসে ১০টি ওয়ানডেতে ১৩ উইকেট ও তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেট নেন রউফ। ২০০২ সালের পর প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজ জয়ে তিনি বড় অবদান রাখেন তিন ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে, জেতেন সিরিজ-সেরার পুরস্কারও। অ্যাডিলেইডে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং গুঁড়িয়ে তিনি ৫ উইকেট নেন স্রেফ ২৯ রান দিয়ে।

মার্কো ইয়ানসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দেশের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হারা টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইয়ানসেন নেন ৩ উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে খেলেন ১৭ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস।

তবে বোলিংয়ে আরও জ্বলে ওঠেন তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডারবান টেস্টে। প্রথম ইনিংসে ১৩ রানে ৭ উইকেট নেন স্রেফ ৪১ বল করে। এক ইনিংসে তার চেয়ে কম বল করে ৭ উইকেট নিতে পারেননি টেস্ট ইতিহাসে আর কেউ। তার সমান ৪১ বলে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হিউ ট্রাম্বল, মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯০৪ সালে।

পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়ানসেন ৭৩ রানে নেন ৪ উইকেট। ২৩৩ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।

সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্মরণীয় জয় বাংলাদেশের

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আইসিসির সেরার লড়াইয়ে বাংলাদেশের শারমিন

আপডেট সময় ০৩:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রায় দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সিরিজে আলো ঝলমলে পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া শারমিন আক্তারের সামনে দারুণ অর্জনের হাতছানি। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’ এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার। নভেম্বরের সেরার লড়াইয়ে তার সঙ্গে আছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার ড্যানি ওয়াট-হজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ন্যাডাইন ডি ক্লার্ক।

গত মাসের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সেরার লড়াইয়ে জায়গা পাওয়া পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে আইসিসি। ছেলেদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ, পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং অলরাউন্ডার মার্কো ইয়ানসেন।

শারমিন আক্তার (বাংলাদেশ)

প্রথমবারের মতো মাস-সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পাওয়া শারমিন মিরপুরে আয়ারল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে ব্যাট হাতে রাখেন সবচেয়ে বড় অবদান।

প্রথম ম্যাচে ৮৯ বলে ৯৬ রানের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হন তিনি। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নেয় রেকর্ড ১৫৪ রানে। পরের ম্যাচে শারমিনের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। শেষ ম্যাচে ৮৮ বলে ৭২ রানের আরেকটি দারুণ ইনিংস খেলে সিরিজ-সেরার পুরস্কার জেতেন ২৮ বছর বয়সী ব্যাটার। এই ম্যাচটি হয় অবশ্য ডিসেম্বর মাসে।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাস-সেরা হওয়ার হাতছানি শারমিনের সামনে। গত বছরের নভেম্বরে এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার।

ন্যাডাইন ডি ক্লার্ক (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দেশের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও, ব্যাটে-বলে বেশ ভালো করেন ডি ক্লার্ক। সিরিজে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। তিন ম্যাচে ৮০ রান করার পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে উইকেট নেন ৪টি।

ড্যানি ওয়াট-হজ (ইংল্যান্ড)

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখেন ওয়াট-হজ। তিন ম্যাচে ১৪২ রান করে সিরিজের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৭৮ রানের ইনিংস। শেষ ম্যাচে রান তাড়ায় খেলেন ৩১ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস।

জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত)

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের জয়ের নায়ক ছিলেন বুমরাহ। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শার্মার অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া পেসার প্রথম ইনিংসে ৩০ রানে নেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ শিকার ধরেন তিনি ৪২ রান দিয়ে। ভারতের ২৯৫ রানের জয়ে ম্যাচ-সেরা হন তিনিই।

এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আইসিসির টেস্টে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ফেরেন ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

হারিস রউফ (পাকিস্তান)

গত মাসে ১০টি ওয়ানডেতে ১৩ উইকেট ও তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেট নেন রউফ। ২০০২ সালের পর প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজ জয়ে তিনি বড় অবদান রাখেন তিন ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে, জেতেন সিরিজ-সেরার পুরস্কারও। অ্যাডিলেইডে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং গুঁড়িয়ে তিনি ৫ উইকেট নেন স্রেফ ২৯ রান দিয়ে।

মার্কো ইয়ানসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দেশের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হারা টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইয়ানসেন নেন ৩ উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে খেলেন ১৭ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস।

তবে বোলিংয়ে আরও জ্বলে ওঠেন তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডারবান টেস্টে। প্রথম ইনিংসে ১৩ রানে ৭ উইকেট নেন স্রেফ ৪১ বল করে। এক ইনিংসে তার চেয়ে কম বল করে ৭ উইকেট নিতে পারেননি টেস্ট ইতিহাসে আর কেউ। তার সমান ৪১ বলে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হিউ ট্রাম্বল, মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯০৪ সালে।

পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়ানসেন ৭৩ রানে নেন ৪ উইকেট। ২৩৩ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।

সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্মরণীয় জয় বাংলাদেশের