ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে আটোয়ারীতে স্মরণ সভা

২০২৪ সালের জুলাই- আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শহিদদের স্মরণে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ( ৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাফিউল মাজলুবিন রহমান। ’

জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে এবং আমাদের করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. অফিসার ডা. মোঃ হুমায়ুন কবীর, উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদ, আটোয়ারী থানার নবাগত ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব কুদরত-ই-খুদা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা সেক্রেটারী মোঃ খাদেমুল ইসলাম, জামায়াতের অন্যতম সদস্য মোঃ গোলাম মোর্শেদ, উপজেলা জাগপা সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান ,উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মতিয়র রহমান, রংপুর মহানগরী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম, গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত মিঠুন ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলাম। ছাত্র সমন্বয়ক আবু হাসান(বাবু), মুতাসিন বিল্লাহ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও মোঃ শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে ছাত্র জনতা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সফলতা অর্জন করেছে। এই সফলতা টেকসই করতে সবার মন মানসিকতা বা ধ্যান ধারণা পাল্টাতে হবে। তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

অন্য বক্তরা বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে দিনাজপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের ছেপরাঝাড় গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম ও হোসনেয়ারা বেগম দম্পতির পুত্র মিঠুন ইসলামের গায়ে ৩৬টি রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়। দিনাজপুরে দীর্ঘদিন চিকিৎসায় ৩৫টি রাবার বুলেট শরীর থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এখনো মাথার ভিতরে একটি গুলি রয়েছে। মিঠুন বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। মিঠুনের বাবা -মা স্মরণ সভায় সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

মিঠুনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মাথার ভিতরে একটি গুলি রয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছি, ঔষধ খাচ্ছি, ২/১ দিনের মধ্যে বাড়িতে যাব। আমার জন্য দোয়া করবেন।

স্মরণ সভায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিঠুন ইসলামের চিকিৎসার সহযোগিতা হিসেবে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয় এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

সবশেষে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য সুস্থ্যতা কামনা ও শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওঃ বজলুর রহমান।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে আটোয়ারীতে স্মরণ সভা

আপডেট সময় ০৮:২১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

২০২৪ সালের জুলাই- আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শহিদদের স্মরণে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ( ৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাফিউল মাজলুবিন রহমান। ’

জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে এবং আমাদের করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. অফিসার ডা. মোঃ হুমায়ুন কবীর, উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদ, আটোয়ারী থানার নবাগত ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব কুদরত-ই-খুদা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা সেক্রেটারী মোঃ খাদেমুল ইসলাম, জামায়াতের অন্যতম সদস্য মোঃ গোলাম মোর্শেদ, উপজেলা জাগপা সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান ,উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মতিয়র রহমান, রংপুর মহানগরী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম, গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত মিঠুন ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলাম। ছাত্র সমন্বয়ক আবু হাসান(বাবু), মুতাসিন বিল্লাহ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও মোঃ শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে ছাত্র জনতা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সফলতা অর্জন করেছে। এই সফলতা টেকসই করতে সবার মন মানসিকতা বা ধ্যান ধারণা পাল্টাতে হবে। তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

অন্য বক্তরা বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে দিনাজপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের ছেপরাঝাড় গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম ও হোসনেয়ারা বেগম দম্পতির পুত্র মিঠুন ইসলামের গায়ে ৩৬টি রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়। দিনাজপুরে দীর্ঘদিন চিকিৎসায় ৩৫টি রাবার বুলেট শরীর থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এখনো মাথার ভিতরে একটি গুলি রয়েছে। মিঠুন বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। মিঠুনের বাবা -মা স্মরণ সভায় সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

মিঠুনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মাথার ভিতরে একটি গুলি রয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছি, ঔষধ খাচ্ছি, ২/১ দিনের মধ্যে বাড়িতে যাব। আমার জন্য দোয়া করবেন।

স্মরণ সভায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিঠুন ইসলামের চিকিৎসার সহযোগিতা হিসেবে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয় এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

সবশেষে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য সুস্থ্যতা কামনা ও শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওঃ বজলুর রহমান।