ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার সরকারের কাজ-কামে দেশবাসী খুবই উদ্বিগ্ন : শামসুজ্জামান দুদু দর্শনায় পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা; নিহত ৩৮

কেমন ছিল শিশুদের কাছে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা

আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দের শুভ সূচনা। বাংলা নববর্ষের আগমন মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ। এই দিনটি আনন্দ, সম্প্রীতি আর ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দিন। বাংলা সনকে বরণ করে নিতে মুখরিত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ।

ভোরের প্রথম সূর্যকিরণের সঙ্গে সঙ্গেই রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে। এই সুরধ্বনির মধ্য দিয়েই বাঙালি স্বাগত জানাচ্ছে নতুন বছরকে।

সকাল ৯ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। যেখানে নানা বয়সের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।

বর্ষবরণের উৎসবে আসা শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখের পড়ার মতো। রঙিন পোশাকে আর রঙের আলপনাতে সেজেছে তারা।

মালিবাগ সাউথ পয়েন্ট স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সারা প্রথমবারের মতো এসেছে আনন্দ শোভাযাত্রায়। তার কাছে নববর্ষ মানে সবই নতুন। সারা বলে, আমি যখন একদম ছোটো ছিলাম তখন আম্মুর কোলে করে এসেছি। এইবার আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। নতুন বছরে সব নতুন নতুন লাগে। নতুন রং, নতুন জামা।

রাইয়ান শাহরিয়ার নামের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলে, আমরা বইতে পড়েছি বাংলা নববর্ষ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। আমাদের নিজস্ব বছরের প্রথম দিন। তাই আমি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আজকের র‍্যালিতে এসেছি।

রাইয়াজ ও রাফাজ দুই ভাই বাবা-মায়ের সঙ্গে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা দেখতে এসেছে। এই আনন্দ শোভাযাত্রা সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও তাদের কাছে এই শোভাযাত্রা অত্যন্ত আনন্দের। রাফাজ জানায়, আমরা দুই ভাই ২টা বাঁশি কিনেছি। বাবা পাখাও কিনে দিয়েছে। খুব ভালো লাগছে আমার।

রাফজ খুশি থাকলেও খুশি নয় রাইয়াজ। কারণ হিসেবে শিশু শ্রেণির এই শিক্ষার্থী বলে, আমি ঘোড়ার গাড়িতে উঠতে পারছি না, বড় বাঘটা আমাকে দেখতে দিচ্ছে না।

ফ্যাসিবাদ অবসানের আহ্বানে শেষ হলো আনন্দ শোভাযাত্রা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

মোংলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা সহ আহত-৩

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

কেমন ছিল শিশুদের কাছে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা

আপডেট সময় ১২:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দের শুভ সূচনা। বাংলা নববর্ষের আগমন মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ। এই দিনটি আনন্দ, সম্প্রীতি আর ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দিন। বাংলা সনকে বরণ করে নিতে মুখরিত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ।

ভোরের প্রথম সূর্যকিরণের সঙ্গে সঙ্গেই রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে। এই সুরধ্বনির মধ্য দিয়েই বাঙালি স্বাগত জানাচ্ছে নতুন বছরকে।

সকাল ৯ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। যেখানে নানা বয়সের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।

বর্ষবরণের উৎসবে আসা শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখের পড়ার মতো। রঙিন পোশাকে আর রঙের আলপনাতে সেজেছে তারা।

মালিবাগ সাউথ পয়েন্ট স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সারা প্রথমবারের মতো এসেছে আনন্দ শোভাযাত্রায়। তার কাছে নববর্ষ মানে সবই নতুন। সারা বলে, আমি যখন একদম ছোটো ছিলাম তখন আম্মুর কোলে করে এসেছি। এইবার আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। নতুন বছরে সব নতুন নতুন লাগে। নতুন রং, নতুন জামা।

রাইয়ান শাহরিয়ার নামের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলে, আমরা বইতে পড়েছি বাংলা নববর্ষ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। আমাদের নিজস্ব বছরের প্রথম দিন। তাই আমি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আজকের র‍্যালিতে এসেছি।

রাইয়াজ ও রাফাজ দুই ভাই বাবা-মায়ের সঙ্গে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা দেখতে এসেছে। এই আনন্দ শোভাযাত্রা সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও তাদের কাছে এই শোভাযাত্রা অত্যন্ত আনন্দের। রাফাজ জানায়, আমরা দুই ভাই ২টা বাঁশি কিনেছি। বাবা পাখাও কিনে দিয়েছে। খুব ভালো লাগছে আমার।

রাফজ খুশি থাকলেও খুশি নয় রাইয়াজ। কারণ হিসেবে শিশু শ্রেণির এই শিক্ষার্থী বলে, আমি ঘোড়ার গাড়িতে উঠতে পারছি না, বড় বাঘটা আমাকে দেখতে দিচ্ছে না।

ফ্যাসিবাদ অবসানের আহ্বানে শেষ হলো আনন্দ শোভাযাত্রা