ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

রাস্তা তো নয়, যেন মরণ ফাঁদ

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার হাটপাঙ্গাসী  ইউনিয়নের অন্তর্গত নাড়ুয়া ও রামেশ্বর গাতী দুটি জনবহুল গ্রাম। গ্রাম দুটিতে প্রায় আঠারো থেকে প্রায় বিশ  হাজার মানুষের বসবাস। গ্রাম দুটির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে একটি রাস্তা। কিন্তু রাস্তাটি আজও কাঁচা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছে। বর্তমান সরকার যখন দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই উল্লেখিত গ্রামগুলো ডিজিটাল বাংলাদেশের বেশির ভাগ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রাস্তাটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। 
শুষ্ক মৌসুমে যেমন রাস্তা ধূলিময় হয় তেমনি বর্ষাকালেও রাস্তায় একহাটু কাঁদা জমে। উল্লেখিত গ্রামগুলোতে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় নানাবিধ সমস্যা। গ্রাম দুটির অবস্থান কিছুটা নিচু এলাকায় হওয়ায় বন্যার সময় পানিতে রাস্তা প্লাবিত হয়ে যায়, বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যার পানি কমে গেলে পুণরায় রাস্তা সংস্কার করতে হয়। ফলে, গ্রামের জনসাধারণের নানাবিধ ভোগান্তির শিকার হতে হয়।গ্রামের আশেপাশে কোনো বাজার গড়ে ওঠেনি। তাই, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির প্রয়োজনে দীর্ঘ ৩-৪ কিলোমিটার দূরবর্তী বাজারে যেতে হয়।
গ্রামবাসী কৃষিনির্ভরশীল হওয়ায় তাদের কৃষিজাত পণ্য বাজারজাতকরণেও এই রাস্তাটি ব্যবহৃত হয়। রাস্তাটি জরাজীর্ণ হওয়ায় বিভিন্নরোগে রোগাক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভবপর হয় না। ফলে অধিকাংশ রোগী পথিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয়দের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি  দিতে রাস্তাটি পাকাকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছে গ্রামবাসি ও এলাকার সকল স্তরের জনগণ।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

রাস্তা তো নয়, যেন মরণ ফাঁদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রাস্তা তো নয়, যেন মরণ ফাঁদ

আপডেট সময় ০৯:৫২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার হাটপাঙ্গাসী  ইউনিয়নের অন্তর্গত নাড়ুয়া ও রামেশ্বর গাতী দুটি জনবহুল গ্রাম। গ্রাম দুটিতে প্রায় আঠারো থেকে প্রায় বিশ  হাজার মানুষের বসবাস। গ্রাম দুটির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে একটি রাস্তা। কিন্তু রাস্তাটি আজও কাঁচা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছে। বর্তমান সরকার যখন দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই উল্লেখিত গ্রামগুলো ডিজিটাল বাংলাদেশের বেশির ভাগ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রাস্তাটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। 
শুষ্ক মৌসুমে যেমন রাস্তা ধূলিময় হয় তেমনি বর্ষাকালেও রাস্তায় একহাটু কাঁদা জমে। উল্লেখিত গ্রামগুলোতে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় নানাবিধ সমস্যা। গ্রাম দুটির অবস্থান কিছুটা নিচু এলাকায় হওয়ায় বন্যার সময় পানিতে রাস্তা প্লাবিত হয়ে যায়, বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যার পানি কমে গেলে পুণরায় রাস্তা সংস্কার করতে হয়। ফলে, গ্রামের জনসাধারণের নানাবিধ ভোগান্তির শিকার হতে হয়।গ্রামের আশেপাশে কোনো বাজার গড়ে ওঠেনি। তাই, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির প্রয়োজনে দীর্ঘ ৩-৪ কিলোমিটার দূরবর্তী বাজারে যেতে হয়।
গ্রামবাসী কৃষিনির্ভরশীল হওয়ায় তাদের কৃষিজাত পণ্য বাজারজাতকরণেও এই রাস্তাটি ব্যবহৃত হয়। রাস্তাটি জরাজীর্ণ হওয়ায় বিভিন্নরোগে রোগাক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভবপর হয় না। ফলে অধিকাংশ রোগী পথিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয়দের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি  দিতে রাস্তাটি পাকাকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছে গ্রামবাসি ও এলাকার সকল স্তরের জনগণ।