দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতলে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব নদীর পানি সমতলে আগামী ১ দিন বাড়তে পারে এবং পরবর্তী দুদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সতর্কসীমায় (বিপৎসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে। এই অববাহিকায় আগামী ৩ দিন পর্যন্ত মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র, ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস নিয়ে মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানা হয়।
নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী চার দিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব নদীর পানি সমতলে আগামী ৩ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এই অববাহিকার আগামী ৩ দিন মাঝারি-ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব নদীর পানি সমতলে আগামী চার দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-খজুনা নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী দুদিন মাঝারি-ভারি থেকে ভারি এবং পরবর্তী তিন দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ৫ দিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রংপুর বিভাগের ভিয়া, ধরলা ও সুখকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী ৩ দিন পর্যন্ত মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের করতোয়া, আপার-আত্রাই, যমুনেশ্বরী, পুনর্ভবা ও ঘাঘট নদীর পানি সমতলে বৃষ্টি পাচ্ছে। অপরদিকে টাঙ্গন নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে এবং এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এই অববাহিকায় আগামী এক দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি এবং পরবর্তী দুদিন পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী তিন দিন এসব নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলা ও এর চারপাশের প্রধান নদীসমূহ-বুড়িগঙ্গা ও বালু নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে তুরাগ নদী ও টঙ্গী খালের পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এই অববাহিকায় আগামী ২ দিন পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি এবং পরবর্তী একদিন পর্যন্ত মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩ দিন উক্ত নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী ৫ দিন পর্যন্ত মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব নদীর পানি সমতলে আগামী ৫ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী ৩ দিন মাঝারি-ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব নদীর পানি সমতলে আগামী ৩ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সিলেট বিভাগের মনু নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে এবং এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী ৩ দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ৩ দিন পর্যন্ত সারিগোরাইন ও যাদুকাটা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে মনু, ধলাই, খোয়াই নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ময়মনসিংহ বিভাগের কংস ও জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে। তবে ভুগাই নদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী ৩ দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩ দিন এসব নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।