ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

জনস্বার্থে বন্ধ করতে হবে অবৈধ ফার্মেসী

সাইফুল ইসলাম, কোনাবাড়ী, গাজীপুর:
আর্থিক এবং সামাজিক মান মর্যাদার দিক  বিবেচনায় ওষুধের ব্যবসা একটি স্মার্ট ব্যবসা সর্বকালের বিবেচনায়। অনেকে আবার এটাকে চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সর্বোপরি এই ব্যবসাতে শিক্ষিত এবং সচেতন লোকজনেরই অবস্থান দেখা যায়। যারা ওষুধ ব্যবসা করে লোকজন এদেরকে  ডাক্তারসাব বলেও সম্বোধন করেন।

এই স্মার্ট ব্যবসাটি পরিচালিত করতে গেলে তাকে যোগ্য এবং দক্ষ হতে হয়। অন্যান্য সাধারণ ব্যবসায়ীদের মতো একটি ট্রেড লাইসেন্স হলেই এই ব্যবসাটি  করা যায় না।কারণ এখানে রয়েছে মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন এবং রাখতে হয় প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাপারে অগাধ জ্ঞান।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী শুধু শিক্ষিত হলেই চলবে না বরং ন্যূনতম একটি ছয় মাসের  ফার্মাসিস্ট কোর্স করতে হবে, তারপর ড্রাগ লাইসেন্স করতে হবে,ট্রেড  লাইসেন্স করতে হবে। আবার এই লাইসেন্স গুলো নিয়মিত নবায়ন করতে হবে।

কিন্তু আমাদের দেশে দেখতে পাচ্ছি ঠিক এর উল্টো চিত্রটি। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চল এবং বস্তি এলাকাতে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা  না করে বেশিরভাগ মানুষই ইচ্ছেমতো ফার্মেসী দিয়ে ওষুধ ব্যবসা শুরু করে। এমনকি গার্মেন্টস কর্মীরাও রুচি বর্ধক এবং শক্তিবর্ধক ওষুধগুলো ফ্যাক্টরির ভিতরে কেনাবেচা করেন যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে থাকে।

এইভাবে অপরিকল্পিতভাবে ওষুধের ইচ্ছে মতো ব্যবহার হতে থাকলে একসময় বাংলাদেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাবে,ভয়ংকর ক্ষতির সম্মুখীন হবে দেশ ও জাতি। সুতরাং এখনই  যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওষুধ ক্রয় এবং বিক্রয়ের ব্যাপারে যথাযথ  পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, জনসাস্থ্যের অবস্থা দিন দিন আরো অবনতির দিকে ধাবিত হবে। বিশেষ করে ব্যাঙের ছাতার মত যত্রতত্র বেআইনি ফার্মাসির লাগাম টানতে হবে।

আরো পড়ুন : ভৈরবে মাজারের খাদেমকে পিটিয়ে হত্যা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

জনস্বার্থে বন্ধ করতে হবে অবৈধ ফার্মেসী

আপডেট সময় ১০:৫৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

সাইফুল ইসলাম, কোনাবাড়ী, গাজীপুর:
আর্থিক এবং সামাজিক মান মর্যাদার দিক  বিবেচনায় ওষুধের ব্যবসা একটি স্মার্ট ব্যবসা সর্বকালের বিবেচনায়। অনেকে আবার এটাকে চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সর্বোপরি এই ব্যবসাতে শিক্ষিত এবং সচেতন লোকজনেরই অবস্থান দেখা যায়। যারা ওষুধ ব্যবসা করে লোকজন এদেরকে  ডাক্তারসাব বলেও সম্বোধন করেন।

এই স্মার্ট ব্যবসাটি পরিচালিত করতে গেলে তাকে যোগ্য এবং দক্ষ হতে হয়। অন্যান্য সাধারণ ব্যবসায়ীদের মতো একটি ট্রেড লাইসেন্স হলেই এই ব্যবসাটি  করা যায় না।কারণ এখানে রয়েছে মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন এবং রাখতে হয় প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যাপারে অগাধ জ্ঞান।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী শুধু শিক্ষিত হলেই চলবে না বরং ন্যূনতম একটি ছয় মাসের  ফার্মাসিস্ট কোর্স করতে হবে, তারপর ড্রাগ লাইসেন্স করতে হবে,ট্রেড  লাইসেন্স করতে হবে। আবার এই লাইসেন্স গুলো নিয়মিত নবায়ন করতে হবে।

কিন্তু আমাদের দেশে দেখতে পাচ্ছি ঠিক এর উল্টো চিত্রটি। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চল এবং বস্তি এলাকাতে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা  না করে বেশিরভাগ মানুষই ইচ্ছেমতো ফার্মেসী দিয়ে ওষুধ ব্যবসা শুরু করে। এমনকি গার্মেন্টস কর্মীরাও রুচি বর্ধক এবং শক্তিবর্ধক ওষুধগুলো ফ্যাক্টরির ভিতরে কেনাবেচা করেন যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে থাকে।

এইভাবে অপরিকল্পিতভাবে ওষুধের ইচ্ছে মতো ব্যবহার হতে থাকলে একসময় বাংলাদেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাবে,ভয়ংকর ক্ষতির সম্মুখীন হবে দেশ ও জাতি। সুতরাং এখনই  যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওষুধ ক্রয় এবং বিক্রয়ের ব্যাপারে যথাযথ  পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, জনসাস্থ্যের অবস্থা দিন দিন আরো অবনতির দিকে ধাবিত হবে। বিশেষ করে ব্যাঙের ছাতার মত যত্রতত্র বেআইনি ফার্মাসির লাগাম টানতে হবে।

আরো পড়ুন : ভৈরবে মাজারের খাদেমকে পিটিয়ে হত্যা