ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষার্থীদের দাবি ‘অটোপাস’ ভাবছে মন্ত্রণালয়

পরীক্ষার্থীদের দাবি ‘অটোপাস’ ভাবছে মন্ত্রণালয়

কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের কারণে এইচএসসির বেশ কিছু বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সরকার পতনের পর সংশোধিত নতুন সময়সূচি দিয়েও পরীক্ষা নিতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্থগিত আবারও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তাতেও বাধে বিপত্তি। কারণ অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর দাবি, আন্দোলনে অনেক সহপাঠী নিহত হওয়ায় পরীক্ষা দিতে তারা ‘মানসিকভাবে’ অপ্রস্তুত। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অটোপাসের দাবি তাদের। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পরীক্ষার্থী ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর মতামত শুনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পরীক্ষার্থীদের দাবি, তাদের অনেক সহপাঠী আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন। তা ছাড়া বিভিন্ন থানায় রাখা প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশ নিতে চান না তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা অটোপাস চাচ্ছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান বা কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। এজন্য শিক্ষার্থীদের দাবি চিঠি আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করব।

নতুন শিক্ষা সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দুই পক্ষেরই মতামতই শুনেছি। সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সুন্দরবন সফরে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত সহ তিন প্রতিনিধি দল, বনের বনপ্রানী ও প্লাষ্টিক বর্জন নিয়ে আলোচনা

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পরীক্ষার্থীদের দাবি ‘অটোপাস’ ভাবছে মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় ১১:৩৪:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের কারণে এইচএসসির বেশ কিছু বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সরকার পতনের পর সংশোধিত নতুন সময়সূচি দিয়েও পরীক্ষা নিতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্থগিত আবারও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তাতেও বাধে বিপত্তি। কারণ অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর দাবি, আন্দোলনে অনেক সহপাঠী নিহত হওয়ায় পরীক্ষা দিতে তারা ‘মানসিকভাবে’ অপ্রস্তুত। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অটোপাসের দাবি তাদের। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পরীক্ষার্থী ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর মতামত শুনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পরীক্ষার্থীদের দাবি, তাদের অনেক সহপাঠী আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন। তা ছাড়া বিভিন্ন থানায় রাখা প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশ নিতে চান না তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা অটোপাস চাচ্ছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান বা কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। এজন্য শিক্ষার্থীদের দাবি চিঠি আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করব।

নতুন শিক্ষা সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দুই পক্ষেরই মতামতই শুনেছি। সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।