ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

১০ কোটিতে ডিসি নিয়োগ, কেলেঙ্কারির স্ক্রিনশট ফাঁস

সম্প্রতি ৫৬ জনকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ১০ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে খোদ জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোখলেসুর রহমান ও যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে প্রতিবেশী দেশের চাহিদা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে আরও ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব এসেছিল। প্রথম ধাপে পাঁচ কোটি টাকা সচিব মোখলেসুরের কাছে এবং পরবর্তীতে আরও কয়েকজনকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

১৯৮৮ সালে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে নিয়োগ পান ড. মো. মোখলেসুর রহমান। ছাত্র-জনতার হাত ধরে পটপরিবর্তনের পর ২৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান সিনিয়র সচিব হিসেবে। যোগদানের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ডিসি নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের অবৈধ লেনদেনের প্রস্তাব দেন যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

জনপ্রশাসনের সরকারি নিয়োগ নথি অনুসারে, সিনিয়র সচিব মোখলেসুর রহমান ও যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিনের কথোপকথন থেকে দেখা যায়, যেখানে রাত ৯টা ৩ মিনিটে জিয়াউদ্দিন সিনিয়র সচিবকে শুভেচ্ছা জানান। সিনিয়র সচিব মোখলেসুর রহমানকে পরের দিন ৩০ আগস্ট পাঁচ কোটি টাকা চাইতে দেখা যায়। বিপরীতে যুগ্ম সচিব তাকে ১০ কোটি টাকা ম্যানেজ করে দেওয়ার কথা বলেন। সেখানে টাকা লেনদেনের আগে গোয়েন্দাদের চোখ এড়িয়ে ডলারে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেন। জবাবে জিয়াউদ্দিন বলেন, গোয়েন্দারা দুর্বল হয়ে গেছে।

এই লেনদেনের কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন। তিনি বলেন, এমন কোনো কথোপকথনে তিনি জড়িত নন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সিনিয়র সচিব মোখলেসুর রহমানের দপ্তরে অনেকবার কথা বলার চেষ্টা হলেও তিনি রাজি হননি। পরে মোবাইলে তিনি জানান, এ বিষয়টি ‘ডেথ কেস’। এ নিয়ে আর কথা বলতে রাজি নন তিনি।

তবে কথোপকথনে জিও রেডি করে রাত বা সকালে গোপনে দেখা করতে বলা হয়। যেখানে ৫০ থেকে ৫২ জনকে প্রতিবেশী দেশের লিস্ট থেকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়। এজন্য ২০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কথোপকথনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের নিয়োগ দিতে দেখা যায়। যাদের নিয়ে একাধিক পত্রিকা জানায়, তারা চিহ্নিত স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং তাদের সহযোগী। কথোপকথনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বঞ্চিতদের থেকে। ১ সেপ্টেম্বর পাঁচ কোটি টাকা পেমেন্টের খবর জানায় জিয়াউদ্দিন।

আরো পড়ুন : সাকিব-শিশিরের ব্যাংক হিসাব তলব

অবৈধপথে ভারতে গেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

১০ কোটিতে ডিসি নিয়োগ, কেলেঙ্কারির স্ক্রিনশট ফাঁস

আপডেট সময় ০৩:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

সম্প্রতি ৫৬ জনকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ১০ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে খোদ জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোখলেসুর রহমান ও যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে প্রতিবেশী দেশের চাহিদা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে আরও ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব এসেছিল। প্রথম ধাপে পাঁচ কোটি টাকা সচিব মোখলেসুরের কাছে এবং পরবর্তীতে আরও কয়েকজনকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

১৯৮৮ সালে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে নিয়োগ পান ড. মো. মোখলেসুর রহমান। ছাত্র-জনতার হাত ধরে পটপরিবর্তনের পর ২৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান সিনিয়র সচিব হিসেবে। যোগদানের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ডিসি নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের অবৈধ লেনদেনের প্রস্তাব দেন যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

জনপ্রশাসনের সরকারি নিয়োগ নথি অনুসারে, সিনিয়র সচিব মোখলেসুর রহমান ও যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিনের কথোপকথন থেকে দেখা যায়, যেখানে রাত ৯টা ৩ মিনিটে জিয়াউদ্দিন সিনিয়র সচিবকে শুভেচ্ছা জানান। সিনিয়র সচিব মোখলেসুর রহমানকে পরের দিন ৩০ আগস্ট পাঁচ কোটি টাকা চাইতে দেখা যায়। বিপরীতে যুগ্ম সচিব তাকে ১০ কোটি টাকা ম্যানেজ করে দেওয়ার কথা বলেন। সেখানে টাকা লেনদেনের আগে গোয়েন্দাদের চোখ এড়িয়ে ডলারে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেন। জবাবে জিয়াউদ্দিন বলেন, গোয়েন্দারা দুর্বল হয়ে গেছে।

এই লেনদেনের কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন। তিনি বলেন, এমন কোনো কথোপকথনে তিনি জড়িত নন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সিনিয়র সচিব মোখলেসুর রহমানের দপ্তরে অনেকবার কথা বলার চেষ্টা হলেও তিনি রাজি হননি। পরে মোবাইলে তিনি জানান, এ বিষয়টি ‘ডেথ কেস’। এ নিয়ে আর কথা বলতে রাজি নন তিনি।

তবে কথোপকথনে জিও রেডি করে রাত বা সকালে গোপনে দেখা করতে বলা হয়। যেখানে ৫০ থেকে ৫২ জনকে প্রতিবেশী দেশের লিস্ট থেকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়। এজন্য ২০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কথোপকথনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের নিয়োগ দিতে দেখা যায়। যাদের নিয়ে একাধিক পত্রিকা জানায়, তারা চিহ্নিত স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং তাদের সহযোগী। কথোপকথনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বঞ্চিতদের থেকে। ১ সেপ্টেম্বর পাঁচ কোটি টাকা পেমেন্টের খবর জানায় জিয়াউদ্দিন।

আরো পড়ুন : সাকিব-শিশিরের ব্যাংক হিসাব তলব

অবৈধপথে ভারতে গেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান