ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

মোংলা বন্দরের নামিদামি ১০৭ গাড়ি নিলামে

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
জাপান থেকে মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০৭টি রিকন্ডিশন  ব্র্যান্ডের গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় মোংলা কাস্টম হাউস গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে। যে কেউ ৫ জুন সকাল থেকে ৬ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটে নিবন্ধন ও বিড করতে পারবেন।

নিলামে ওঠা রিকন্ডিশন  এসব গাড়ির মধ্যে নিশান, পাজারো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, এ্যাকুয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিল্টার, হাইয়েচ, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০৭টি গাড়ি রয়েছে। নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৮. ১৯, ২০, ২১ ও ২২ সালের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি রয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) মোংলা কাস্টমস হাউসের ওয়েবসাইটে নিলামের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ করে। অনলাইনে প্রকাশ পাওয়া গাড়ি ছাড়াও  কিছু গ্যাস সিলিন্ডার এবং অন্যান্য পণ্যও নিলাম করা হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেনি।
এরপর আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেয়ার পরও গাড়ি ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি।
গাড়ির নিলামে অনলাইন থেকে বিড করা যাবে। এ ছাড়া নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিাধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী বলেন, ‘জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৯টি গাড়ি আমদানি করা হয়। যা মোট আমদানি গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলা বন্দরের নামিদামি ১০৭ গাড়ি নিলামে

আপডেট সময় ০৪:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
জাপান থেকে মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০৭টি রিকন্ডিশন  ব্র্যান্ডের গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় মোংলা কাস্টম হাউস গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে। যে কেউ ৫ জুন সকাল থেকে ৬ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটে নিবন্ধন ও বিড করতে পারবেন।

নিলামে ওঠা রিকন্ডিশন  এসব গাড়ির মধ্যে নিশান, পাজারো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, এ্যাকুয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিল্টার, হাইয়েচ, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০৭টি গাড়ি রয়েছে। নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৮. ১৯, ২০, ২১ ও ২২ সালের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি রয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) মোংলা কাস্টমস হাউসের ওয়েবসাইটে নিলামের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ করে। অনলাইনে প্রকাশ পাওয়া গাড়ি ছাড়াও  কিছু গ্যাস সিলিন্ডার এবং অন্যান্য পণ্যও নিলাম করা হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেনি।
এরপর আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেয়ার পরও গাড়ি ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি।
গাড়ির নিলামে অনলাইন থেকে বিড করা যাবে। এ ছাড়া নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিাধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী বলেন, ‘জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৯টি গাড়ি আমদানি করা হয়। যা মোট আমদানি গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।
আরো পড়ুন : মোংলায় সুন্দরবন সহ উপকূল ও বাংলাদেশ বাঁচাও শীর্ষক আলোচনা ও মানববন্ধন