হেজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বোমা হামলায় বৈরুত বিমানবন্দরের ঠিক বাইরে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাদের লক্ষ্য কী ছিল সেটি এখনও স্পষ্ট না। তবে রাজধানীতে বিমানবন্দরের এই দাহিয়েহ এলাকার সীমানা হেজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি।
অন্যদিকে হেজবুল্লাহর বিরুদ্ধে চালানো আক্রমণে লেবাননের দক্ষিণে দেশটির দুই সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তাদের সেনাবাহিনী। আরও ২০টি শহর ও গ্রামকে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এনিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জানিয়েছে যে তাদের সেনারা সীমান্তের কাছে হেজবুল্লাহ যোদ্ধাদের হত্যা করেছে।
হেজবুল্লাহ বলছে, তারা সীমান্তের দুই দিক থেকে ইসরায়েলি সেনাদের নিশানা করেছে। আক্রমণের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে লেবানিজ সেনাবাহিনীর সৈন্যদের ওপর এই প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়।
সেনাবাহিনী বলেছে, “তাইবেহ গ্রামে লেবানিজ রেড ক্রসের সঙ্গে উচ্ছেদ ও উদ্ধার অভিযান চলাকালীন ইসরায়েলি শত্রুর আগ্রাসনের ফলে” প্রথম ঘটনায় একজন সৈন্য নিহত এবং অন্য একজন আহত হয়।
রেড ক্রস জানিয়েছে, তাদের চারজন স্বেচ্ছাসেবকও সামান্য আহত হয়েছে আর তাদের চলাচল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
আর “ইসরায়েলি শত্রুরা বিনতে জবিল এলাকায় একটি সেনা চৌকিকে লক্ষ্যবস্তু করার পর” আরেক সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
লেবাননের সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, “পোস্টে থাকা কর্মীরা আগুন দেখে সাড়া দেয়” এবং নিজেরা জড়িত না থেকেও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার বিরল ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর কেন্দ্রে একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানার ২৪ ঘণ্টা পর বৈরুতে ইসরায়েল সবশেষ বিমান হামলা চালালো। হেজবুল্লাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থাও বলেছে, হামলায় নিহত নয়জনের মধ্যে তাদের সাতজন ছিলেন।
পরে লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান যে গত তিন দিনে ইসরায়েলি আগুনে ৪০ জনেরও বেশি প্যারামেডিক এবং অগ্নিনির্বাপক নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান বাহিনী হেজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দফতর, অস্ত্র উৎপাদন সাইট, অস্ত্র সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হেজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে দুই সপ্তাহের ইসরায়েলি হামলা ও অন্যান্য আক্রমণে লেবাননে ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে এবং এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিবিসি।
আরো পড়ুন : জাতিসংঘ মহাসচিবের উপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা