ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২০২৫-এর মৌসুমে কোনও বাংলাদেশি ক্রিকেটার থাকছেন না। ২০২০ সালের পর এবারই প্রথম আইপিএলের অংশ হচ্ছেন না কোনও বাংলাদেশের ক্রিকেটার।
বাংলাদেশের ১৩ ক্রিকেটারের নাম আইপিএলের আসন্ন সিজনের নিলামের জন্য নিবন্ধিত থাকলেও, তাদের নামে কেউ ‘বিড’ করেননি বা বুলি লাগাননি।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে উত্তেজনা চলছে এই পরিস্থিতিতে আইপিএলে কোনও বাংলাদেশি ক্রিকেট খেলোয়াড়ের বিড না হওয়ার বিষয়টাকে দুই দেশের সম্পর্কের সঙ্গে কেউ কেউ জুড়ছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দক্ষিণপন্থী মতাদর্শী কিছু ব্যক্তি আবার এই পুরো বিষয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের যোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নাম বিড না করার বিষয়ে বিসিসিআই বা আইপিএল কর্তৃপক্ষ কিন্তু কোনও মন্তব্য করেনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, এই বিষয়ের সঙ্গে খেলোয়াড়ের দক্ষতার সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে দু’দেশের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের প্রসঙ্গ টেনে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন ইউজার মন্তব্য করেছেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের সঙ্গে যা ঘটছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আইপিএল দলের মালিকরা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য বিড করার বিষয়ে সতর্ক ছিলেন।”
কেউ কেউ আবার একে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি জয় শাহের সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য করেছেন। কিন্তু যারা একথা বলছেন, তারা কিসের ভিত্তিতে এমন মন্তব্য করছেন, সে বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা করেননি।
মোস্তাফিজুর রহমান একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার যিনি ২০২৪ সালের আইপিএলে স্থান পেয়েছিলেন। ‘চেন্নাই সুপার কিংস’-এর হয়ে নয়টা ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
আইপিএলের আসন্ন সিজনে নিলামের জন্য নথিভুক্ত ছিল ১৫৭৪ জন খেলোয়াড়ের নাম। এর মধ্যে ৫৭৪ জন খেলোয়াড়কে ১০টি দল ‘শর্টলিস্ট’ করেছে। বেছে নেওয়া এই ৫৭৪ জন ক্রিকেটারের তালিকায় যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে ২০৮ জন খেলোয়াড় বিদেশি। কিন্তু সেখানে জায়গা পাননি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই।
আইপিএলের আসন্ন মৌসুমে নিলামের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন বাংলাদেশের ১৩ জন ক্রিকেটার। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে যে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা শর্টলিস্ট হয়েছিলেন তারা হলেন- রিশাদ হোসেন এবং মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু এই দুই খেলোয়াড়ের জন্য আইপিএলের কোনও দলকেই বিড করতে দেখা যায়নি।
আইপিএলের আগের মৌসুমে ‘চেন্নাই সুপারকিংস’-এর হয়ে খেলেছিলেন এবং নয় ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আইপিএলের এবারের নিলামে তার ‘বেস প্রাইস’ ছিল দুই কোটি টাকা কিন্তু কেউই তার জন্য বিড করেননি।
মোস্তাফিজুর রহমানের ‘ভাগ্য সহায় হয়নি’- এমনটাও মনে করছেন অনেকে। কারণ আইপিএল ২০২৫-এর নিলামের দ্বিতীয় দিনে তার নাম এসেছিল। এদিকে, ততক্ষণে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ঝুলি খালি হয়ে এসেছে। এর পাশাপাশি, আইপিএল ২০২৪ চলাকালীন মাঝপথেই তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে, যা তার বিপক্ষে গিয়েছে।
১ কোটি ১০ লাখ রুপিতে ১৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান বৈভাব রাজস্থানে