ঢাকা ০৫:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

‘নবীকে নিয়ে কটূক্তি’ করায় পুলিশ কার্যালয়ের ভেতরেই গণপিটুনি

নবীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে উৎসব মন্ডল নামের ১৫ বছরের এক কিশোর গণপিটুনির শিকার হয়েছে। গণপিটুনিতে গুরুতর আহত ওই কিশোর মারা গেছে বলে শুরুতে বলা হলেও, সে তথ্য নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিবিসিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গণপিটুনিতে গুরুতর আহত ওই কিশোরকে সেনাবাহিনী সাথে করে নিয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ছেলেটি মারা গেছে কী-না, সেটি তিনি নিশ্চিত নন।

তবে, খুলনায় সেনা ক্যাম্পের মুখপাত্রসহ একাধিক কর্মকর্তার নাম্বারে একাধিকবার কল করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।উৎসব মন্ডল হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঠিক কী লেখা হয়েছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার বিকালে স্থানীয় কিছু মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এক কিশোরকে সাথে করে পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

তাদের অভিযোগ, ছেলেটি  ‘নবীকে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে’। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার  জানিয়েছেন, তখন অভিযুক্ত ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার মোবাইল চেক করে ঘটনার সত্যতা পান তারা।

তখন তিনি বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, “ঠিক আছে। প্রচলিত আইনে ওর বিচার হবে, মামলা হবে।” কিন্তু উপ-কমিশনারের এই প্রস্তাব মানতে রাজি হননি ওই শিক্ষার্থীরা। “তাদের দাবি, দেশের প্রচলিত আইনে নয়, বিচার করতে হবে ওদের আইন অনুসারে,” বলেন পুলিশ কমিশনার  ।

“ওরা বলে যে আমাদেরকে পাঁচ মিনিট সময় দেন। আমাদের হাতে তুলে দেন। ওদের প্রচলিত আইন হল কতল করা। আমরা তো সেই পারমিশন দিতে পারি না,” বলেন তিনি।

এই ঘটনাপ্রবাহের মাঝেই ওই শিক্ষার্থীরা অন্যান্য মাদ্রাসার লোকজন খবর দেয়। সাথে ইমাম সমিতির লোকজনও পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে এসে জড়ো হয়।

বিকাল থেকে আস্তে আস্তে ১০ জন, ২০ জন করে বাড়তে বাড়তে একটা সময় পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে কয়েক হাজার লোক জমে যায়।

আরো পড়ুন :জর্জিয়ায় স্কুলে কিশোরের গুলিতে নিহত ৪

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

‘নবীকে নিয়ে কটূক্তি’ করায় পুলিশ কার্যালয়ের ভেতরেই গণপিটুনি

আপডেট সময় ০৫:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নবীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে উৎসব মন্ডল নামের ১৫ বছরের এক কিশোর গণপিটুনির শিকার হয়েছে। গণপিটুনিতে গুরুতর আহত ওই কিশোর মারা গেছে বলে শুরুতে বলা হলেও, সে তথ্য নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিবিসিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গণপিটুনিতে গুরুতর আহত ওই কিশোরকে সেনাবাহিনী সাথে করে নিয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ছেলেটি মারা গেছে কী-না, সেটি তিনি নিশ্চিত নন।

তবে, খুলনায় সেনা ক্যাম্পের মুখপাত্রসহ একাধিক কর্মকর্তার নাম্বারে একাধিকবার কল করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।উৎসব মন্ডল হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঠিক কী লেখা হয়েছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার বিকালে স্থানীয় কিছু মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এক কিশোরকে সাথে করে পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

তাদের অভিযোগ, ছেলেটি  ‘নবীকে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে’। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার  জানিয়েছেন, তখন অভিযুক্ত ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার মোবাইল চেক করে ঘটনার সত্যতা পান তারা।

তখন তিনি বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, “ঠিক আছে। প্রচলিত আইনে ওর বিচার হবে, মামলা হবে।” কিন্তু উপ-কমিশনারের এই প্রস্তাব মানতে রাজি হননি ওই শিক্ষার্থীরা। “তাদের দাবি, দেশের প্রচলিত আইনে নয়, বিচার করতে হবে ওদের আইন অনুসারে,” বলেন পুলিশ কমিশনার  ।

“ওরা বলে যে আমাদেরকে পাঁচ মিনিট সময় দেন। আমাদের হাতে তুলে দেন। ওদের প্রচলিত আইন হল কতল করা। আমরা তো সেই পারমিশন দিতে পারি না,” বলেন তিনি।

এই ঘটনাপ্রবাহের মাঝেই ওই শিক্ষার্থীরা অন্যান্য মাদ্রাসার লোকজন খবর দেয়। সাথে ইমাম সমিতির লোকজনও পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে এসে জড়ো হয়।

বিকাল থেকে আস্তে আস্তে ১০ জন, ২০ জন করে বাড়তে বাড়তে একটা সময় পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে কয়েক হাজার লোক জমে যায়।

আরো পড়ুন :জর্জিয়ায় স্কুলে কিশোরের গুলিতে নিহত ৪