ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ৮ সিনেমা; নির্মাতা চূড়ান্ত বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : প্রেস সচিব পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন আন্দোলনে আহত ১০০ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৪৪ ধারা ভেঙে সচিবালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা, পুলিশের ধাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ সরকার গঠনের পর অভিযুক্ত কাউকে দেশত্যাগ করতে দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রুডো কেন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন? কে হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি? গঠিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’,  ইরানে হিজাব খুলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিবাদ শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

সুন্দরবনে দুই মাস কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা 

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রজনন মৌসুমে রপ্তানি পন্য বিশ্বখ্যাত শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়ার বংশ বৃদ্ধিসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদ-নদী ও খালে কাঁকড়া আহরণে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এসময়ে কোন জেলে ও ব্যবসায়ী কাঁকড়া আহরণ, বিক্রি করতে, সংরক্ষণ করতে বা পরিবহন করতে পারবে না। 
বন বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করে জানায়, সুন্দরবনে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস হচ্ছে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। এই সময়ে শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া এসময়ে ডিম ছেড়ে বংশ বৃদ্ধি করে। এই প্রজনন মৌসুমে বিশেষভাবে সংবেদনশীল থাকে। সহজেই কাঁকড়া আহনরণ করা যায়। এ অবস্থায় কাঁকড়া ধরা চলতে থাকলে প্রজনন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়ে হুমকির মুখে পড়ে কাঁকড়ার বংশ বিস্তার, যা প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যে ভারসাম্য নষ্ট করে। এ কারণে বন বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতি বছর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে থাকে। কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে বন আইনে আপরাধের আওতায় জেল বা জরিমানা করে থাকে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহম্মদ নূরুল করিম জানান, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। এরমধ্যে দেওেশর বিশ্বখ্যাত রপ্তানি পন্য শিলা কাঁকড়া রয়েছে। প্রতিবছর এই ম্যানগ্রোভ বনে পাশ-পারমিট নিয়ে ১০ হাজার জেলে কাঁকড়া আহরণ করে থাকে। সুন্দরবনের কাঁকড়া শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি সুন্দরবনের খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া রক্ষা করা না গেলে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে পুরো সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের উপর। সুন্দরবনে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে জেলেসহ সংশ্লিষ্ট প্রতি বনবিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয। এরপরও কেউ যদি জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এই দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া আহরণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সুন্দরবনে দুই মাস কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা 

আপডেট সময় ১০:১৯:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রজনন মৌসুমে রপ্তানি পন্য বিশ্বখ্যাত শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়ার বংশ বৃদ্ধিসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদ-নদী ও খালে কাঁকড়া আহরণে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এসময়ে কোন জেলে ও ব্যবসায়ী কাঁকড়া আহরণ, বিক্রি করতে, সংরক্ষণ করতে বা পরিবহন করতে পারবে না। 
বন বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করে জানায়, সুন্দরবনে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস হচ্ছে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। এই সময়ে শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া এসময়ে ডিম ছেড়ে বংশ বৃদ্ধি করে। এই প্রজনন মৌসুমে বিশেষভাবে সংবেদনশীল থাকে। সহজেই কাঁকড়া আহনরণ করা যায়। এ অবস্থায় কাঁকড়া ধরা চলতে থাকলে প্রজনন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়ে হুমকির মুখে পড়ে কাঁকড়ার বংশ বিস্তার, যা প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যে ভারসাম্য নষ্ট করে। এ কারণে বন বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতি বছর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে থাকে। কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে বন আইনে আপরাধের আওতায় জেল বা জরিমানা করে থাকে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহম্মদ নূরুল করিম জানান, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। এরমধ্যে দেওেশর বিশ্বখ্যাত রপ্তানি পন্য শিলা কাঁকড়া রয়েছে। প্রতিবছর এই ম্যানগ্রোভ বনে পাশ-পারমিট নিয়ে ১০ হাজার জেলে কাঁকড়া আহরণ করে থাকে। সুন্দরবনের কাঁকড়া শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি সুন্দরবনের খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া রক্ষা করা না গেলে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে পুরো সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের উপর। সুন্দরবনে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে জেলেসহ সংশ্লিষ্ট প্রতি বনবিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয। এরপরও কেউ যদি জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এই দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া আহরণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়।