ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

লাদাখ ভূখণ্ডে চীনের দুই প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা; দিল্লির প্রতিবাদ

চীন সম্প্রতি দুটি নতুন প্রশাসনিক জেলা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে, যেগুলোর কিছু অংশ লাদাখ অঞ্চলের আওতাধীন। এই ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীন কর্তৃক এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা কূটনৈতিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, চীনের শিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকারের পক্ষ থেকে দুটি নতুন জেলা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে – হে’আন জেলা এবং হেকাং জেলা। এই দুটি নতুন জেলার প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকবে হোটান প্রিফেকচার, যা চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাধীর জয়সওয়াল বলেন, এই তথাকথিত জেলাগুলোর কিছু অংশ ভারতের লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আওতাধীন। আমরা কখনোই এই অঞ্চলে চীনের অবৈধ দখল মেনে নেইনি।

তিনি আরও বলেন, নতুন জেলা প্রতিষ্ঠা ভারতের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না এবং চীনের এই পদক্ষেপ অবৈধ দখলকে বৈধতা দেয় না।

এদিকে, চীনের নতুন প্রশাসনিক অঞ্চলের সদর দপ্তর হিসেবে হে’আন জেলায় হংলিউ টাউনশিপ এবং হেকাং জেলায় সেয়িদুলা টাউনশিপ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

ভারত চীনের ব্রহ্মপুত্র নদে নির্মাণাধীন একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে তার উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম “জিনহুয়া” গত ২৫ ডিসেম্বর জানায়, চীন তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ইয়ালুঙ্গ ত্সাংপো নদীতে একটি বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করছে।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, চীন কর্তৃক নির্মাণাধীন এই প্রকল্প সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগ রয়েছে। আমরা চীনের কাছে বারবার এই প্রকল্পের স্বচ্ছতা এবং পরামর্শের বিষয়টি তুলে ধরেছি এবং আশাবাদী যে, চীন নিম্নপ্রবাহী দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা করবে।

ভারত চীনের উদ্দেশ্যে আরও বলেছে, আমরা আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব এবং এই প্রকল্পের প্রভাব মোকাবেলা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

লাদাখ ভূখণ্ডে চীনের দুই প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা; দিল্লির প্রতিবাদ

আপডেট সময় ১১:২১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

চীন সম্প্রতি দুটি নতুন প্রশাসনিক জেলা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে, যেগুলোর কিছু অংশ লাদাখ অঞ্চলের আওতাধীন। এই ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীন কর্তৃক এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা কূটনৈতিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, চীনের শিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকারের পক্ষ থেকে দুটি নতুন জেলা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে – হে’আন জেলা এবং হেকাং জেলা। এই দুটি নতুন জেলার প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকবে হোটান প্রিফেকচার, যা চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাধীর জয়সওয়াল বলেন, এই তথাকথিত জেলাগুলোর কিছু অংশ ভারতের লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আওতাধীন। আমরা কখনোই এই অঞ্চলে চীনের অবৈধ দখল মেনে নেইনি।

তিনি আরও বলেন, নতুন জেলা প্রতিষ্ঠা ভারতের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না এবং চীনের এই পদক্ষেপ অবৈধ দখলকে বৈধতা দেয় না।

এদিকে, চীনের নতুন প্রশাসনিক অঞ্চলের সদর দপ্তর হিসেবে হে’আন জেলায় হংলিউ টাউনশিপ এবং হেকাং জেলায় সেয়িদুলা টাউনশিপ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

ভারত চীনের ব্রহ্মপুত্র নদে নির্মাণাধীন একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে তার উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম “জিনহুয়া” গত ২৫ ডিসেম্বর জানায়, চীন তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ইয়ালুঙ্গ ত্সাংপো নদীতে একটি বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করছে।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, চীন কর্তৃক নির্মাণাধীন এই প্রকল্প সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগ রয়েছে। আমরা চীনের কাছে বারবার এই প্রকল্পের স্বচ্ছতা এবং পরামর্শের বিষয়টি তুলে ধরেছি এবং আশাবাদী যে, চীন নিম্নপ্রবাহী দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা করবে।

ভারত চীনের উদ্দেশ্যে আরও বলেছে, আমরা আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব এবং এই প্রকল্পের প্রভাব মোকাবেলা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।