ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

পাগলাপীর কলেজে ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ রবিবার সকালে ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের ফরম পূরন বাবদ সরকারী ফি ২৭শত ৮৫ টাকা নেয়ার পরও রশিদে চলতি বছরের বকেয়া খাতে ২৬শত টাকাসহ মোট ৫ হাজার ৩শত ৮৫ টাকা আদায় করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, মফস্বলের একটি কলেজ। অধিকাংশ দরিদ্র শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করে থাকে। এইচএসসি ফরম পূরন বাবদ সরকারী ফি জোগাড় করতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। সেখানে পাগলাপীর স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।
প্রশ্ন উঠেছে এই অতিরিক্ত আদায় করা টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হবে? পাগলাপীর স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেছে, এবার উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় তিনটি বিভাগ থেকে মোট ১১০জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করবে। এইচএসসি ফরম পূরন বাবদ সরকারী ফি বাদ দিয়ে এই ১১০জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে চলতি বছরের বকেয়া খাতে কমপক্ষে ২ হাজার  করে টাকা নেয়া হলে টাকার পরিমান দাঁড়ায় ২ লাখ ২০ হাজার।
অভিভাবকরা বলছেন পাগলাপীর স্কুল ও কলেজ শিক্ষার মান তলানীতে ঠেকে যাওয়ায় শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে বাড়তি টাকা আদায় করা অন্যায়। তাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, এই টাকা ব্যাংকে জমা হবে তো?
উল্লেখ্য যে, পাগলাপীর স্কুল ও কলেজ এর অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন ও সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও শিক্ষক বাণিজ্যে ১ কোটি ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ও  ছাত্র সমর্থনকারীর ব্যানারে করা হয়েছিল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ। পরে অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজহার আলী জানান, আমি পাঁচমাস হলো দায়িত্ব পেয়েছি। অবসরে যাবার পথে। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা নয়। আমি খোঁজ নিচ্ছি।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পাগলাপীর কলেজে ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:২৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ রবিবার সকালে ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের ফরম পূরন বাবদ সরকারী ফি ২৭শত ৮৫ টাকা নেয়ার পরও রশিদে চলতি বছরের বকেয়া খাতে ২৬শত টাকাসহ মোট ৫ হাজার ৩শত ৮৫ টাকা আদায় করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, মফস্বলের একটি কলেজ। অধিকাংশ দরিদ্র শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করে থাকে। এইচএসসি ফরম পূরন বাবদ সরকারী ফি জোগাড় করতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। সেখানে পাগলাপীর স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।
প্রশ্ন উঠেছে এই অতিরিক্ত আদায় করা টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হবে? পাগলাপীর স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেছে, এবার উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় তিনটি বিভাগ থেকে মোট ১১০জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করবে। এইচএসসি ফরম পূরন বাবদ সরকারী ফি বাদ দিয়ে এই ১১০জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে চলতি বছরের বকেয়া খাতে কমপক্ষে ২ হাজার  করে টাকা নেয়া হলে টাকার পরিমান দাঁড়ায় ২ লাখ ২০ হাজার।
অভিভাবকরা বলছেন পাগলাপীর স্কুল ও কলেজ শিক্ষার মান তলানীতে ঠেকে যাওয়ায় শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে বাড়তি টাকা আদায় করা অন্যায়। তাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, এই টাকা ব্যাংকে জমা হবে তো?
উল্লেখ্য যে, পাগলাপীর স্কুল ও কলেজ এর অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন ও সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও শিক্ষক বাণিজ্যে ১ কোটি ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ও  ছাত্র সমর্থনকারীর ব্যানারে করা হয়েছিল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ। পরে অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজহার আলী জানান, আমি পাঁচমাস হলো দায়িত্ব পেয়েছি। অবসরে যাবার পথে। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা নয়। আমি খোঁজ নিচ্ছি।