ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি চায় বাংলাদেশ বিয়ের প্রলোভনে যৌনসম্পর্ক বিষয়ক প্রচলিত আইন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিপিএম পদক পেলেন আন্দোলন দমনে কৌশল প্রয়োগকারী রিয়াদ শুল্ক স্থগিতের অনুরোধ করে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি আজ থেকে শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুল্ক নীতিতে ট্রাম্পের অনড় অবস্থানের কারণে বিশ্ব শেয়ারবাজারে ধস আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস এবারের ঈদযাত্রা হয়েছে স্বস্তির ও নির্বিঘ্ন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের শঙ্কা, সতর্কতা জারি ডিসির বাংলো থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১০০ বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধার

রোজায় পেটের সমস্যা হলে যা করতে হবে

রমজানে সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা, শক্তির ঘাটতি ও ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। রোজায় আরও যে সমস্যাটি প্রায় সবার দেখা দেয় তা হচ্ছে পেটের সমস্যা।

রমজান মাসে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে অনেকেরই হজমজনিত সমস্যা হয়। বিশেষ করে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যাগুলো শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং রোজা পালন কঠিন করে তুলতে পারে। তাই রোজায় পেটের সমস্যা হলে কী করবেন এবং কী খাবেন, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।

রোজায় ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হলে করণীয়
ডায়রিয়া হলে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, যা রোজায় দুর্বলতা বাড়াতে পারে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া, বাসি বা দূষিত খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, দই বা দুধজাতীয় খাবার ঠিকমতো না খাওয়া ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ।

এজন্য সেহরিতে ও ইফতারের পরে বেশি করে পানি পান করুন। ওআরএস বা লবণ-চিনির মিশ্রণ পান করুন। এটি শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখবে। মসলাযুক্ত ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ইসুবগুলের ভুসি খান। এটি হজমে সহায়তা করে এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে। কলা, টোস্ট ও সিদ্ধ আলু খান। এগুলো সহজে হজম হয় ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে করণীয়
অনেকেই রোজায় অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, যা মূলত খালি পেটে অ্যাসিড নিঃসরণের কারণে হয়। খালি পেটে বেশি সময় থাকা, ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া, সেহরিতে চা, কফি বা অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার অন্যতম কারণ।

এজন্য সেহরিতে এবং ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ইফতারে খেজুর, শসা ও দই রাখুন। এগুলো হজমে সাহায্য করে এবং এসিড নিয়ন্ত্রণ করে। লেবু-পানি বা তোকমার শরবত পান করুন। এটি পেটকে ঠাণ্ডা রাখবে। চা, কফি ও সফট ড্রিংক এড়িয়ে চলুন। সেহরিতে আঁশযুক্ত খাবার খান, যেমন-ওটস, ডালিয়া ও সবজি।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়
দীর্ঘ সময় পানিশূন্যতা থাকার কারণে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়, যা পেট ফেঁপে যাওয়া ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে। আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, বেশি ভাজাপোড়া ও মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

এজন্য সেহরি ও ইফতারে বেশি করে পানি ও ফলের রস পান করুন। পেঁপে, আম, কলা, কমলা, খেজুর ও শাকসবজি খান।ইসুবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে পান করুন। ইফতারে বেশি করে সালাদ ও ডাল রাখুন।

পেটে গ্যাস ও ফোলাভাব হলে করণীয়
অনেকেই রোজায় পেট ফাঁপা ও ভারী লাগার সমস্যায় ভোগেন, যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ইফতারে কার্বোনেটেড ড্রিংকস (কোল্ড ড্রিংক) পান করা, খুব দ্রুত খাবার খাওয়া, ডাল বা বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস ও ফোলাভাব হতে পারে।

ধীরে ধীরে খাবার খান ও ভালোভাবে চিবিয়ে খান। সেহরিতে জিরা-গুঁড়া বা আদা-চা পান করুন। এটি গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।ইফতারে চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন ও লেবু-পানি পান করুন। ইফতারে বেশি পরিমাণে প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার খান।

রোজা রাখার ফলে শরীরে যা ঘটে

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আটোয়ারীতে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপন

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রোজায় পেটের সমস্যা হলে যা করতে হবে

আপডেট সময় ১২:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

রমজানে সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা, শক্তির ঘাটতি ও ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। রোজায় আরও যে সমস্যাটি প্রায় সবার দেখা দেয় তা হচ্ছে পেটের সমস্যা।

রমজান মাসে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে অনেকেরই হজমজনিত সমস্যা হয়। বিশেষ করে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যাগুলো শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং রোজা পালন কঠিন করে তুলতে পারে। তাই রোজায় পেটের সমস্যা হলে কী করবেন এবং কী খাবেন, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।

রোজায় ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হলে করণীয়
ডায়রিয়া হলে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, যা রোজায় দুর্বলতা বাড়াতে পারে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া, বাসি বা দূষিত খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, দই বা দুধজাতীয় খাবার ঠিকমতো না খাওয়া ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ।

এজন্য সেহরিতে ও ইফতারের পরে বেশি করে পানি পান করুন। ওআরএস বা লবণ-চিনির মিশ্রণ পান করুন। এটি শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখবে। মসলাযুক্ত ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ইসুবগুলের ভুসি খান। এটি হজমে সহায়তা করে এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে। কলা, টোস্ট ও সিদ্ধ আলু খান। এগুলো সহজে হজম হয় ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে করণীয়
অনেকেই রোজায় অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, যা মূলত খালি পেটে অ্যাসিড নিঃসরণের কারণে হয়। খালি পেটে বেশি সময় থাকা, ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া, সেহরিতে চা, কফি বা অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার অন্যতম কারণ।

এজন্য সেহরিতে এবং ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ইফতারে খেজুর, শসা ও দই রাখুন। এগুলো হজমে সাহায্য করে এবং এসিড নিয়ন্ত্রণ করে। লেবু-পানি বা তোকমার শরবত পান করুন। এটি পেটকে ঠাণ্ডা রাখবে। চা, কফি ও সফট ড্রিংক এড়িয়ে চলুন। সেহরিতে আঁশযুক্ত খাবার খান, যেমন-ওটস, ডালিয়া ও সবজি।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়
দীর্ঘ সময় পানিশূন্যতা থাকার কারণে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়, যা পেট ফেঁপে যাওয়া ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে। আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, বেশি ভাজাপোড়া ও মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

এজন্য সেহরি ও ইফতারে বেশি করে পানি ও ফলের রস পান করুন। পেঁপে, আম, কলা, কমলা, খেজুর ও শাকসবজি খান।ইসুবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে পান করুন। ইফতারে বেশি করে সালাদ ও ডাল রাখুন।

পেটে গ্যাস ও ফোলাভাব হলে করণীয়
অনেকেই রোজায় পেট ফাঁপা ও ভারী লাগার সমস্যায় ভোগেন, যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ইফতারে কার্বোনেটেড ড্রিংকস (কোল্ড ড্রিংক) পান করা, খুব দ্রুত খাবার খাওয়া, ডাল বা বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস ও ফোলাভাব হতে পারে।

ধীরে ধীরে খাবার খান ও ভালোভাবে চিবিয়ে খান। সেহরিতে জিরা-গুঁড়া বা আদা-চা পান করুন। এটি গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।ইফতারে চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন ও লেবু-পানি পান করুন। ইফতারে বেশি পরিমাণে প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার খান।

রোজা রাখার ফলে শরীরে যা ঘটে