ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এই সফরে তিনি কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও যাবেন। রিয়াদে পৌঁছানোর পর সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। খবর আল-জাজিরার।

হোয়াইট হাউস এই সফরকে ‘মধ্যপ্রাচ্যে ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি ট্রাম্পের প্রথম সরকারি রাষ্ট্রীয় সফর, যেখানে তিনি আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।

হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদার করা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সফরে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।

সফরের মূল লক্ষ্যগুলোর হলো—
আর্থিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করা
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন শিল্পে এক ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। এই বিশাল বিনিয়োগের লক্ষ্য হলো মার্কিন অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। ক্রাউন প্রিন্স এর আগে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা এই নতুন প্রস্তাবের মাধ্যমে আরও বৃদ্ধি পাবে।

আঞ্চলিক কূটনৈতিক উদ্যোগ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং সৌদি আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ আলোচনাসহ আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য এই উদ্যোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা
এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের ওপরও আলোচনা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতে চায়।

এই সফর মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সফরের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের মঙ্গলবারের সময়সূচি
মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগমনের পরপরই ট্রাম্প এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ রিয়াদ বিমানবন্দরের একটি হল কক্ষে একসঙ্গে বসেন।

এনবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প সৌদি রাজকীয় আদালতে আনুষ্ঠানিক স্বাগত অনুষ্ঠান এবং কফি রিসেপশনে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করবেন ট্রাম্প। এছাড়া আনুষ্ঠানিক মার্কিন-সৌদি বৈঠক এবং একটি পরিকল্পিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের হামলায় নিহত সৈনিকের সংখ্যা জানাল পাকিস্তান

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

যে উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আপডেট সময় ০৫:৫৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এই সফরে তিনি কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও যাবেন। রিয়াদে পৌঁছানোর পর সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। খবর আল-জাজিরার।

হোয়াইট হাউস এই সফরকে ‘মধ্যপ্রাচ্যে ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি ট্রাম্পের প্রথম সরকারি রাষ্ট্রীয় সফর, যেখানে তিনি আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।

হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদার করা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সফরে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।

সফরের মূল লক্ষ্যগুলোর হলো—
আর্থিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করা
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন শিল্পে এক ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। এই বিশাল বিনিয়োগের লক্ষ্য হলো মার্কিন অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। ক্রাউন প্রিন্স এর আগে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা এই নতুন প্রস্তাবের মাধ্যমে আরও বৃদ্ধি পাবে।

আঞ্চলিক কূটনৈতিক উদ্যোগ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং সৌদি আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ আলোচনাসহ আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য এই উদ্যোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা
এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের ওপরও আলোচনা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতে চায়।

এই সফর মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সফরের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের মঙ্গলবারের সময়সূচি
মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগমনের পরপরই ট্রাম্প এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ রিয়াদ বিমানবন্দরের একটি হল কক্ষে একসঙ্গে বসেন।

এনবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প সৌদি রাজকীয় আদালতে আনুষ্ঠানিক স্বাগত অনুষ্ঠান এবং কফি রিসেপশনে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করবেন ট্রাম্প। এছাড়া আনুষ্ঠানিক মার্কিন-সৌদি বৈঠক এবং একটি পরিকল্পিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের হামলায় নিহত সৈনিকের সংখ্যা জানাল পাকিস্তান