ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোরবানীর সেকাল-একাল

কোরবানীর সেকাল-একাল
মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

আদমপুত্র হাবিল কাবিল দিয়েছিল কোরবানী
এর ইতিহাস আমরা সবাই অল্প বিস্তর জানি।
হাবিল দিলো গবাদী পশু, কাবিল শস্যদানা
আসমান থেকে আগুন এসে দিলো তাতে হানা।
পুড়িয়ে দিলো হাবিলের পশু কবুল হলো কোরবানী
কাবিলের শস্য তেমনি রইল, বাড়লো ওর গ্লানি।
তখন থেকে সবার কোরবানী রাখা হতো পাহাড়ে
কোরবানীর খাবার কারো থাকতো না আহারে।
তীব্র বেগে আগুন কুণ্ডলী আসমান থেকে এসে
কবুলিয়ত কোরবানী পুড়িয়ে মাটিতে দিতো মিশে।
এভাবেই কোরবানী কবুল জানিয়ে দিতেন প্রভু
এরপরও বেদ্বীন মোনাফেক কোরবানী দিতো তবু।
সবাই জানাতো কোরবানী কবুল হলো কি না
কবুল হতো না কারো কোরবানী খাটি ইমানবীনা।

আমাদের নবীর দোয়ার বরকতে নিয়ম বদলে গেল
তখন থেকে কোরবানীর অবস্থা গোপনীয়তা পেল।
দয়ার সাগর বিশ্বনবী সকল উম্মতের তরে
ভালোবাসা দিয়ে গেলেন হৃদয় উজাড় করে।
এখন হারাম কামাই দিয়েই কেনে বড় বড় গরু
কোরবানীদাতার হৃদয় তাই কাঁপে না দুরু দুরু।
ভাবি মনে এখন যদি থাকতো আগের বিধান
কোরবানী দিতে অনেকের কেঁপে ওঠতো প্রাণ।
জানতো সে কোরবানী কবুল হবে না তার
বলতো হয়তো কোরবানী করার কি দরকার?

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

কোরবানীর সেকাল-একাল

আপডেট সময় ০৯:০১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

কোরবানীর সেকাল-একাল
মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

আদমপুত্র হাবিল কাবিল দিয়েছিল কোরবানী
এর ইতিহাস আমরা সবাই অল্প বিস্তর জানি।
হাবিল দিলো গবাদী পশু, কাবিল শস্যদানা
আসমান থেকে আগুন এসে দিলো তাতে হানা।
পুড়িয়ে দিলো হাবিলের পশু কবুল হলো কোরবানী
কাবিলের শস্য তেমনি রইল, বাড়লো ওর গ্লানি।
তখন থেকে সবার কোরবানী রাখা হতো পাহাড়ে
কোরবানীর খাবার কারো থাকতো না আহারে।
তীব্র বেগে আগুন কুণ্ডলী আসমান থেকে এসে
কবুলিয়ত কোরবানী পুড়িয়ে মাটিতে দিতো মিশে।
এভাবেই কোরবানী কবুল জানিয়ে দিতেন প্রভু
এরপরও বেদ্বীন মোনাফেক কোরবানী দিতো তবু।
সবাই জানাতো কোরবানী কবুল হলো কি না
কবুল হতো না কারো কোরবানী খাটি ইমানবীনা।

আমাদের নবীর দোয়ার বরকতে নিয়ম বদলে গেল
তখন থেকে কোরবানীর অবস্থা গোপনীয়তা পেল।
দয়ার সাগর বিশ্বনবী সকল উম্মতের তরে
ভালোবাসা দিয়ে গেলেন হৃদয় উজাড় করে।
এখন হারাম কামাই দিয়েই কেনে বড় বড় গরু
কোরবানীদাতার হৃদয় তাই কাঁপে না দুরু দুরু।
ভাবি মনে এখন যদি থাকতো আগের বিধান
কোরবানী দিতে অনেকের কেঁপে ওঠতো প্রাণ।
জানতো সে কোরবানী কবুল হবে না তার
বলতো হয়তো কোরবানী করার কি দরকার?