তেহরানে অবস্থিত ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সদর দপ্তর ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইরান ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আরও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। খবর আল জাজিজার।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এখনও ভাবছেন, এই চলমান যুদ্ধ বাড়লে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে জড়িয়ে পড়বে কিনা।
অন্যদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সতর্ক করে বলেছেন, ইরান কোনো ‘চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ’ মেনে নেবে না। তিনি আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানের ভূখণ্ডে যেকোনো হামলার ‘গুরুতর অপূরণীয় পরিণতি’ হবে।
এই সংঘাতের জেরে হতাহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪০ জনেরও বেশি হয়েছে, যার মধ্যে ৭০ জন নারী ও শিশু। ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ও ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়। পরে ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা করা হয় ইসরায়েলে। এরপর থেকে দুই পক্ষই একে অপরের ওপরে হামলা অব্যাহত রেখেছে।