ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলী খান

বছরের শুরুতেই নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন কদিন—মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন বলিউডের ছোট নবাব সাইফ আলী খান। তখনও কেউ ভাবেনি, সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় ধাক্কা। এবার হারাতে চলেছেন উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পতৌদি পরিবারের ঐতিহাসিক সম্পত্তি। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা!

ভারতীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, সাইফ আলী খানের পরিবারের এই বিশাল সম্পত্তি ভারতের সরকারের হেফাজতে চলে যেতে পারে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর আওতায়। কারণ, গত শুক্রবার (৪ জুলাই) মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে সাইফের করা আবেদন। এর ফলে এই বিপুল সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা এখন প্রকট।

কীভাবে শুরু এই বিতর্ক?
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে, যখন মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করে যে, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তি ‘এনেমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট ১৯৬৮’ অনুযায়ী শত্রু সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ নবাবের কন্যা, সাইফের প্রপিতামহী আবিদা সুলতান ১৯৫০ সাল থেকে পাকাপাকিভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন।

এর বিরোধিতা করে ২০১৫ সালে আদালতে যান সাইফ। দীর্ঘদিন মামলাটি ঝুলে থাকলেও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সেই মামলার স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়। অবশেষে এই বছরের জুলাইয়ে আদালত চূড়ান্তভাবে আবেদন খারিজ করে দেয়।

কী রয়েছে সেই সম্পত্তিতে?
ভোপালের কোহেফিজা থেকে চিকলোড় পর্যন্ত বিস্তৃত জমি, প্রাসাদ, বাড়িঘর মিলিয়ে যার বাজারমূল্য ধরা হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এতদিন পর্যন্ত এগুলো পতৌদি পরিবারের দখলেই ছিল, কিন্তু আইন অনুযায়ী—যারা দেশভাগের সময় পাকিস্তান বা চীনে স্থায়ীভাবে চলে গিয়েছেন, তাদের সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করে তা বাজেয়াপ্ত করতে পারে ভারত সরকার।

সাইফের ভবিষ্যৎ কী?
যদিও এখনো চূড়ান্তভাবে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়নি, তবে আদালতের এই রায় কার্যত শেষ পেরেক ঠুকে দিল পতৌদি পরিবারের ঐতিহ্যবাহী সম্পত্তির কফিনে। সাইফ আলী খানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে বলাই যায়, ২০২৫ সাল অভিনেতার জন্য কেবল শরীরী নয়, মানসিকভাবেও এক কঠিন সময় হয়ে উঠেছে।

মুক্তির আগেই বিশ্বরেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার টু’

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলী খান

আপডেট সময় ০৬:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

বছরের শুরুতেই নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন কদিন—মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন বলিউডের ছোট নবাব সাইফ আলী খান। তখনও কেউ ভাবেনি, সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় ধাক্কা। এবার হারাতে চলেছেন উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পতৌদি পরিবারের ঐতিহাসিক সম্পত্তি। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা!

ভারতীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, সাইফ আলী খানের পরিবারের এই বিশাল সম্পত্তি ভারতের সরকারের হেফাজতে চলে যেতে পারে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর আওতায়। কারণ, গত শুক্রবার (৪ জুলাই) মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে সাইফের করা আবেদন। এর ফলে এই বিপুল সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা এখন প্রকট।

কীভাবে শুরু এই বিতর্ক?
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে, যখন মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করে যে, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তি ‘এনেমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট ১৯৬৮’ অনুযায়ী শত্রু সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ নবাবের কন্যা, সাইফের প্রপিতামহী আবিদা সুলতান ১৯৫০ সাল থেকে পাকাপাকিভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন।

এর বিরোধিতা করে ২০১৫ সালে আদালতে যান সাইফ। দীর্ঘদিন মামলাটি ঝুলে থাকলেও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সেই মামলার স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়। অবশেষে এই বছরের জুলাইয়ে আদালত চূড়ান্তভাবে আবেদন খারিজ করে দেয়।

কী রয়েছে সেই সম্পত্তিতে?
ভোপালের কোহেফিজা থেকে চিকলোড় পর্যন্ত বিস্তৃত জমি, প্রাসাদ, বাড়িঘর মিলিয়ে যার বাজারমূল্য ধরা হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এতদিন পর্যন্ত এগুলো পতৌদি পরিবারের দখলেই ছিল, কিন্তু আইন অনুযায়ী—যারা দেশভাগের সময় পাকিস্তান বা চীনে স্থায়ীভাবে চলে গিয়েছেন, তাদের সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করে তা বাজেয়াপ্ত করতে পারে ভারত সরকার।

সাইফের ভবিষ্যৎ কী?
যদিও এখনো চূড়ান্তভাবে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়নি, তবে আদালতের এই রায় কার্যত শেষ পেরেক ঠুকে দিল পতৌদি পরিবারের ঐতিহ্যবাহী সম্পত্তির কফিনে। সাইফ আলী খানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে বলাই যায়, ২০২৫ সাল অভিনেতার জন্য কেবল শরীরী নয়, মানসিকভাবেও এক কঠিন সময় হয়ে উঠেছে।

মুক্তির আগেই বিশ্বরেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার টু’