নিজ সংস্কৃতিকে যে জাতি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না সে জাতির সমৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। বিজাতীয় সংস্কৃতি তাকে গ্রাস করে নেয়। এ থেকে উত্তরণের একটিই পথ তা হচ্ছে সাংস্কৃতিক বিপ্লব। এই বিপ্লব ঘটাতে ব্যর্থ হলে আমাদের জাতিরাষ্ট্র বিপন্ন হবে। জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বিনষ্ট হবে, বলে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেন জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের বক্তারা।
গত শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় কবি আল মাহমুদ স্মরণে কবিতা আড্ডা ও স্মৃতিচারণ সভায় মিলিত হয়ে এমনটিই সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেন তারা। লেখক ফোরামের সভাপতি কবি শাহীন রেজার সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি কবির কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও আল মাহমুদ বিশ্লেষক নাসিম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সত্তরের প্রবল কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল মাহমুদের কাছের মানুষ কবি ও সম্পাদক জাকির আবু জাফর।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, “বিজাতীয় সংস্কৃতির তীব্র থাবা থেকে আমাদেরকে যেকোনো উপায়ে বেরিয়ে আসতে হবে।”
জাকির আবু জাফর বলেন, “আল মাহমুদ মানেই বাংলাদেশ। তার চোখ দিয়েই এ দেশ, এ দেশের মাটি ও মানুষকে দেখতে হবে।”
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কবি ও শিক্ষাবিদ ড. শহিদ আজাদ বলেন, “আল মাহমুদ মানেই একটি বিপ্লব। একটি চেতনার উন্মেষ। এই চেতনাকে আমাদের ধারণ ও লালন করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে কবি শাহীন রেজা বলেন, “আল মাহমুদ জাতীয়তাবাদী চেতনার একটি সফল উচ্চারণ। তার আদর্শ ও চেতনার প্রতি আস্থা রেখেই সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার হাতে জাসাসের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিলেন।”
তিনি বলেন, “এ জাতিকে এগিয়ে নিতে শহীদ জিয়ার যে স্বপ্ন ও অনুভব তাকে আমরা আল মাহমুদে প্রত্যক্ষ করি এবং তাই তিনি আমাদের অগ্রসৈনিক হিসেবে বিবেচিত।”
ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিনের ব্যবস্থাপনা এবং দীপেস আনোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে আলোচনা ও কবিতাপাঠে অংশগ্রহণ করেন, কবি কামরুজ্জামান, ছড়াকার আতিক হেলাল, ক্যামেলিয়া আহমেদ, সৈয়দ রনো, আবীর বাঙালি, মাহবুব শওকত, মঈন মুরসালিন, পলি রহমান, রি হোসাইন, আবুল খায়ের, অ্যাডভোকেট ইকবাল সেলিম, হাসান কামরুল, পারভীন শাহনাজ, রানা হোসেন, নূরুল আবছার, খালেদা সরদার প্রমুখ।