ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটার অভ্যাসে কী কী বদলে যেতে পারে?

ছবি: সংগৃহীত

কাল হোক বা রাত, খাওয়ার পর মাত্র মিনিট দশেক হাঁটলেই রোগবালাই হবে কুপোকাত। প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর অন্তত মিনিট দশেক হাঁটাচলা করলেই জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত রোগগুলিকে বশে রাখা যায়।

কালে ঘুম থেকে উঠে যদিও বা একটু হাঁটতে পারেন, রাতে বাড়ি ফিরে তা একেবারেই সম্ভব নয়। সারা দিনের খাটনির পর বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দেওয়ার চেয়ে ভাল কিছু নেই বলেই মনে হয়। খাবার খেয়েই দুম করে বিছানায় শুয়ে পড়া যে ভাল নয়, তা জানা থাকলেও।

ব্যস্ততার জন্য দিনের অন্যান্য সময়েও শরীরচর্চা করা হয় না। চিকিৎসকেরা বলছেন, আর এই ভুলেই উচ্চ রক্তচাপ, শর্করা, মেদ, মানসিক চাপের মতো নানা রকম রোগ একেবারে জাঁকিয়ে বসে।

দুপুর হোক বা রাত, প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর অন্তত মিনিট দশেক হাঁটাচলা করলেই জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত রোগগুলিকে বশে রাখা যায়। খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটার অভ্যাসে কী কী বদলে যেতে পারে?

১. বাড়ির খাবার খেয়েও হজমের সমস্যা হয়? খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করলে এই উপদ্রব আর থাকবে না। পাশাপাশি পেটফাঁপা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বশে থাকবে।

২. ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ, উৎপাদন এবং কার্যকারিতা সঠিক না হলে রক্তে শর্করা বেড়ে বা কমে যেতে পারে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করতে হবে। তাতে ‘ইনসুলিন সেনসিটিভিটি’ ভাল হয়।

৩. ওজন ঝরাতে গেলে ক্যালোরি ক্ষয় করতে হবে। প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে মেদ জমার প্রবণতা কমে।

৪. মন-মেজাজ ভাল রাখতে হলে এন্ডরফিন হরমোনের মাত্রা সঠিক হওয়া প্রয়োজন। হাঁটাহাঁটি করলে এই হরমোন সঠিক মাত্রায় নিঃসৃত হতে পারে। যা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৫. খাবার খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে বিপাকক্রিয়া ভাল হয়। ফলে বিপাকহারজনিত সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে থাকে। পরোক্ষ ভাবে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

আর ও পড়ুন :৯৯ বছর বেঁচে থাকার রহস্য জানালেন মাহাথির মোহাম্মদ

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটার অভ্যাসে কী কী বদলে যেতে পারে?

আপডেট সময় ০৬:০৮:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

কাল হোক বা রাত, খাওয়ার পর মাত্র মিনিট দশেক হাঁটলেই রোগবালাই হবে কুপোকাত। প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর অন্তত মিনিট দশেক হাঁটাচলা করলেই জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত রোগগুলিকে বশে রাখা যায়।

কালে ঘুম থেকে উঠে যদিও বা একটু হাঁটতে পারেন, রাতে বাড়ি ফিরে তা একেবারেই সম্ভব নয়। সারা দিনের খাটনির পর বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দেওয়ার চেয়ে ভাল কিছু নেই বলেই মনে হয়। খাবার খেয়েই দুম করে বিছানায় শুয়ে পড়া যে ভাল নয়, তা জানা থাকলেও।

ব্যস্ততার জন্য দিনের অন্যান্য সময়েও শরীরচর্চা করা হয় না। চিকিৎসকেরা বলছেন, আর এই ভুলেই উচ্চ রক্তচাপ, শর্করা, মেদ, মানসিক চাপের মতো নানা রকম রোগ একেবারে জাঁকিয়ে বসে।

দুপুর হোক বা রাত, প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর অন্তত মিনিট দশেক হাঁটাচলা করলেই জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত রোগগুলিকে বশে রাখা যায়। খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটার অভ্যাসে কী কী বদলে যেতে পারে?

১. বাড়ির খাবার খেয়েও হজমের সমস্যা হয়? খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করলে এই উপদ্রব আর থাকবে না। পাশাপাশি পেটফাঁপা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বশে থাকবে।

২. ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ, উৎপাদন এবং কার্যকারিতা সঠিক না হলে রক্তে শর্করা বেড়ে বা কমে যেতে পারে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করতে হবে। তাতে ‘ইনসুলিন সেনসিটিভিটি’ ভাল হয়।

৩. ওজন ঝরাতে গেলে ক্যালোরি ক্ষয় করতে হবে। প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে মেদ জমার প্রবণতা কমে।

৪. মন-মেজাজ ভাল রাখতে হলে এন্ডরফিন হরমোনের মাত্রা সঠিক হওয়া প্রয়োজন। হাঁটাহাঁটি করলে এই হরমোন সঠিক মাত্রায় নিঃসৃত হতে পারে। যা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৫. খাবার খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে বিপাকক্রিয়া ভাল হয়। ফলে বিপাকহারজনিত সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে থাকে। পরোক্ষ ভাবে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

আর ও পড়ুন :৯৯ বছর বেঁচে থাকার রহস্য জানালেন মাহাথির মোহাম্মদ