চলমান বার্তা বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তাপের কারণে ব্যবসায়িকভাবে বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে ঢালিউড। দেশের চলমান অস্থিরতায় হুমকির মুখে পড়েছে চলচ্চিত্র শিল্প। লোকসানের শঙ্কায় শিগগিরই নতুন ছায়াছবি মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছেন না প্রযোজক-পরিচালকরা। দেশে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহে দর্শক আশাব্যঞ্জক হবে কিনা সেই দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
গত জুলাই, চলতি আগস্ট ও আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তির পরিকল্পনায় থাকা কয়েকটি ছায়াছবি অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে। এ তালিকায় রয়েছে এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ (সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, দীঘি), মিঠু খান পরিচালিত ‘নীল চক্র’ (আরিফিন শুভ, মন্দিরা চক্রবর্তী), কুসুম সিকদারের ‘শরতের জবা’ (ইয়াশ রোহান), রায়হান রাফী পরিচালিত ‘নূর’ (আরিফিন শুভ, ঐশী), শোয়াইবুর রহমান পরিচালিত ‘নন্দিনী’ (নাজিরা মৌ, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত), আশরাফ শিশিরের ‘৫৭০’ (বাপ্পি চৌধুরী), সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ (পপি, আমিন খান, ইমন), মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘অমানুষ হলো মানুষ’ (ডিপজল), মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেনের ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’।
গেল ঈদুল আজহায় ‘তুফান’সহ পাঁচ সিনেমা মুক্তির প্রায় এক মাস পর সর্বশেষ গত ১২ জুলাই মুক্তি পেয়েছিল শবনম ফেরদৌসী পরিচালিত ‘আজব কারখানা’। কিন্তু পাঁচ দিন না যেতেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময় পেরিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রেক্ষাগৃহ খুললেও দর্শক উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ একক-প্রেক্ষাগৃহ প্রায় দর্শকশূন্য। মাল্টিপ্লেক্স প্রেক্ষাগৃহে দর্শক উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিকের দিকে না যাওয়া পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের আগ্রহী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আরও পড়ুন:কোন গল্প বলবেন চঞ্চল চৌধুরী? উঠে আসবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ?