মোহাম্মদ মোস্তফা, সদর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের এগারো নং দানাপাটুলী ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডে পশ্চিম মাথিয়ার জঙ্গলবাড়ী থেকে ছায়ামদ্দি সর্দারের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া দক্ষিনপাড়া সুজন আহাম্মদের বাড়ি পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু পরিমাণ কাঁদা জমে। তখন যানবাহন দূরের কথা হেঁটে চলাচল করাও অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
এলাকার আশপাশের সব রাস্তা পাকা হলেও এই রাস্তাটি পাকা করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। নির্বাচন এলে রাজনৈতিক নেতারা রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর কেউ কোন খবর রাখেন না।
এ রাস্তার মাঝামাঝি রয়েছে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তার র্পশ্চিমে রয়েছে বাজার পূর্বে রয়েছে আরও দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । রাস্তাটি এই এলাকার ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। বর্ষাকালে মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। মাঠের বাজার, ধুলদিয়া বাজার ও জিগাতলা বাজাররসহ মুরগী ও ফিশারীতে মালামাল পরিবহনে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় খামারীদের। এলাকার লোকদের জিগাতলা বাজারে যেতে হলে এই রাস্তাটি পাড়ি দিতে হয়। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যেতে এ রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এ রাস্তায় চলাচলের বাধা একটাই- এর বেহাল দশা।
রাস্তাটি পাকা হলে এই কষ্ট লাঘব হবে এলাকার কয়েক হাজার মানুষের । ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এবং এ অঞ্চলের মানুষের দিকে তাকিয়ে রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারের উন্নায়নের ধারাকে সফলতা আনতে এই রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ করে গ্রামটিকে র্স্মাট বাংলাদেশ গড়ার স্লোগানকে আরো গণমুখী করতে মাননীয় এমপি’র কাছে সদয় মিনতি করেন এলাকাবাসী ।
বর্তমান সরকার যখন দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই এই ইউনিয়নটি ডিজিটাল বাংলাদেশের বেশির ভাগ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমনকি এলাকাবাসী তাদের মৌলিক অধিকারগুলোও নিশ্চিত করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে কিংবা কোন দুর্ঘটনা ঘটলে, বিশেষ করে পাকা রাস্তা না থাকায় কোনো ধরনের গাড়ি কিংবা অ্যাম্বুল্যান্স চলাচল করে না। আবার বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা সীমাহীন দূর্ভোগ উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। যুগের পর যুগ এভাবেই চলছে মানুষের এই ভোগান্তির জনো জীবন । এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, দ্রুততার সাথে রাস্তাটি সংস্কার করা হোক।