ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

মোংলায় ভেজাল সেমাইয়ের ছড়াছড়ি; নজরদারি নেই প্রশাসনের

মাসুদ রানা, মোংলা
ঈদকে সামনে রেখে মোংলায় চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের সেমাই তৈরির ব্যবসা। দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নামে নকল সেমাই প্যাকেটজাতের ব্যবসাও জমে উঠেছে। কিন্তু এটা দেখার যাদের দায়িত্ব, তারা চরম উদাসীন হওয়ায় বেপরোয়া হয়ে পড়েছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মোংলা বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভেজাল, বিষাক্ত আর মানহীন সেমাইয়ের ছড়াছড়ি। বিক্রেতারা সেই সেমাই যেমন বিক্রি করেছেন, ক্রেতারাও না বুঝে তা কিনছেন। মান যাচাইয়ের কোন সুযোগ না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, ঈদে সেমাইয়ের ব্যবহার বেড়ে যায় বিপুলভাবে। এ চাহিদা মেটাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেও গড়ে ওঠে সেমাই কারখানা। মোংলায় এসব কারখানা থেকে প্রতিদিন ভেজাল রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের সেমাই। যার ৯৫ শতাংশের পরিবেশই অস্বাস্থ্যকর।

এদিকে নকল ও ভেজাল সেমাইয়ের ছড়াছড়ি হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন মাথাব্যথা নেই। এ কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা এবং অপরাধ করছেন।

মোংলা উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য মোঃ নুর আলম শেখ বলেন, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের মানুষের অতি মুনাফা এবং লোভের কারণেই দিনে দিনে আমাদেরও মৃতু্যঝুঁকি বাড়ছে। এদের মধ্যে কোনো মানবিক বোধ নেই। বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিষ্ঠুরতাই কাজ করে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু প্রশাসন তা না করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীন বলেন, ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে মানবদেহে অনিরাময়যোগ্য রোগ বাসা বাঁধবে। এ রোগ থেকে নিরাময়ের জন্য আর যেন কোনো রাস্তাই খোলা নেই। এসব জটিল ও অনিরাময়যোগ্য কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই অকালে মারা যাবে। এই জটিল রোগ কিংবা অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী কিন্তু মানুষই।

মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, পৌর শহরে যেসব কারখানায় অবৈধ ও ভেজাল সেমাই তৈরি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কখনো বিএসটিআই এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। অন্তত ঈদকে সামনে রেখে জরুরিভাবে উপজেলা প্রশাসনকে অভিযান চালানোর দাবি করছি।

মোংলা বাজারে ভেজাল ও নকল সেমাইয়ে সয়লাবের বিষয়ে জানাতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে জনস্বার্থে অনুমোদনবিহীন সেমাই কারখানা এবং ভেজাল সেমাই তৈরিকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন : প্রথম নারী ইউএনও পেলো মোংলা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় ভেজাল সেমাইয়ের ছড়াছড়ি; নজরদারি নেই প্রশাসনের

আপডেট সময় ১০:০১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

মাসুদ রানা, মোংলা
ঈদকে সামনে রেখে মোংলায় চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের সেমাই তৈরির ব্যবসা। দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নামে নকল সেমাই প্যাকেটজাতের ব্যবসাও জমে উঠেছে। কিন্তু এটা দেখার যাদের দায়িত্ব, তারা চরম উদাসীন হওয়ায় বেপরোয়া হয়ে পড়েছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মোংলা বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভেজাল, বিষাক্ত আর মানহীন সেমাইয়ের ছড়াছড়ি। বিক্রেতারা সেই সেমাই যেমন বিক্রি করেছেন, ক্রেতারাও না বুঝে তা কিনছেন। মান যাচাইয়ের কোন সুযোগ না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, ঈদে সেমাইয়ের ব্যবহার বেড়ে যায় বিপুলভাবে। এ চাহিদা মেটাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেও গড়ে ওঠে সেমাই কারখানা। মোংলায় এসব কারখানা থেকে প্রতিদিন ভেজাল রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের সেমাই। যার ৯৫ শতাংশের পরিবেশই অস্বাস্থ্যকর।

এদিকে নকল ও ভেজাল সেমাইয়ের ছড়াছড়ি হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন মাথাব্যথা নেই। এ কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা এবং অপরাধ করছেন।

মোংলা উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য মোঃ নুর আলম শেখ বলেন, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের মানুষের অতি মুনাফা এবং লোভের কারণেই দিনে দিনে আমাদেরও মৃতু্যঝুঁকি বাড়ছে। এদের মধ্যে কোনো মানবিক বোধ নেই। বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিষ্ঠুরতাই কাজ করে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু প্রশাসন তা না করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীন বলেন, ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে মানবদেহে অনিরাময়যোগ্য রোগ বাসা বাঁধবে। এ রোগ থেকে নিরাময়ের জন্য আর যেন কোনো রাস্তাই খোলা নেই। এসব জটিল ও অনিরাময়যোগ্য কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই অকালে মারা যাবে। এই জটিল রোগ কিংবা অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী কিন্তু মানুষই।

মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, পৌর শহরে যেসব কারখানায় অবৈধ ও ভেজাল সেমাই তৈরি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কখনো বিএসটিআই এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। অন্তত ঈদকে সামনে রেখে জরুরিভাবে উপজেলা প্রশাসনকে অভিযান চালানোর দাবি করছি।

মোংলা বাজারে ভেজাল ও নকল সেমাইয়ে সয়লাবের বিষয়ে জানাতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে জনস্বার্থে অনুমোদনবিহীন সেমাই কারখানা এবং ভেজাল সেমাই তৈরিকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন : প্রথম নারী ইউএনও পেলো মোংলা