বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধানের নতুন জাত ‘ ব্রি ধান-১০৩’ পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে প্রথমবারের মত চাষাবাদ হওয়া রোপা আমন ধানের নমুনা শস্য আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তন করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বামনকুমার গ্রামে এ শস্য কর্তন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদ।
এ সময় অতিরিক্ত কৃষি অফিসার আবুল কালাম আজাদ, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন, উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মোকসেদ আলী,, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন ও মোঃ শাহীনুর আলম, প্রদর্শনীভূক্ত কৃষক সহ স্থানীয় অন্যান্য কৃষক-কৃষাণীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাক আহমেদ জানান, এবারেই প্রথমবার আমন মৌসুমে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় দু’টি প্রদর্শনীতে চার একর অর্থাৎ ১২ বিঘা জমিতে আবাদ হয়েছে ব্রি ধান-১০৩। আমন মৌসুমে এ ধানটি বীজতলা থেকে ধান কেটে ফসল ঘরে তুলতে মাত্র ১২৮ -১৩৩ দিন সময় লাগে। প্রতি বিঘায় ২৩ – ২৪ মণ ধান ফলন হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী মৌসুমে ব্রি ধান-১০৩ এর চাষাবাদ আরও বাড়বে।
কৃষক তফাজুল জানান, দুই একর জমিতে ব্রি ধান-১০৩ চাষ করেছি। এ ধানে রোগ বালাই খুবই কম হওয়ার কারণে অতিরিক্ত স্প্রে লাগে না। তাই উৎপাদন খরচ কম। বিঘা প্রতি ২৪মণ ধান ফলন হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার জানান,দু’টি প্রদর্শনীতে ১২ বিঘা জমিতে আবাদ এবং স্থানীয় শতাধিক কৃষককে প্রশিক্ষণ চলাকালে ব্রি ধান -১০৩ আবাদে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে। ব্রি ধান-১০৩ এ আধুনিক উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট বিদ্যমান। ধানের দানা লম্বা ও চিকন। আগামীতে নতুন জাতের এই ধানটি আবাদের পরিধি ব্যাপকভাবে বাড়বে বলে আশা করেন তারা।