ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা সাড়ে ৯ লাখ টাকার জুতা পরেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার : বিএনপি মহাসচিব জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক সেনাবাহিনীকে সবখানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না: ফখরুল অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির যুক্তরাষ্ট্রে ইউনূস-মোদি বৈঠক হচ্ছে না চয়নিকার সিনেমায় দেবকে নায়ক হিসেবে চান , নায়িকা কে হবেন? ঢাবিতে যুবক ও জাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা: আইন হাতে তুলে না নিতে আহ্বান

‘বিএনপির সাইনবোর্ডে’ চাঁদার নিয়ন্ত্রণ ও দখলের অভিযোগ

সাভারের হেমায়েতপুর। মূল সড়ক থেকে একটু ভেতরে জয়না বাড়ি রোড। এখানকারই স্থানীয় এক বাজারে গিয়ে চাঁদাবাজির তথ্য পাওয়া গেলো।

দোকানিরা জানাচ্ছেন, আগে আওয়ামী লীগের লোকজন চাঁদা তুললেও এখন এর নিয়ন্ত্রণ ‘অন্য গ্রুপের’ হাতে।

প্রতিদিন দোকানপ্রতি তোলা হচ্ছে দুইশত টাকা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বলছিলেন, “আওয়ামী লীগ এখন নাই। কিন্তু এরপরও দুইদিন চাঁদা দিলাম। আইসা কয় টাকা মাফ নাই। হ্যারা নাকি এখন টাকা তুইল্যা অন্য গ্রুপের কাছে দিতাছে।”

অন্য গ্রুপ মানে কী এমন প্রশ্নে অবশ্য খোলাসা করে কিছু বলেননি তিনি।

“আগে যে ম্যানেজার কালেকশন করতো, সে ছিল আওয়ামী লীগের ম্যানেজার। ঐ ম্যানেজারই কালেকশন করতাছে। এখন টাকা নিয়া সে কারে দেয়, সেই প্রশ্ন আর করি নাই।”

আরেকজন দোকানি জানালেন, আগের মতোই তিনি দুইশত টাকা করে চাঁদা দিচ্ছেন।

“আমি একদিন দিছি দুইশত টাকা। পরের দিন দোকান খুলি নাই, টাকাও দেই নাই। আজকে খুলছি, এখন টাকা দেয়া লাগবে।”

বাংলাদেশে কোনো একটি সরকার পরিবর্তনের পর ব্যক্তির বদল ঘটলেও দুর্নীতি, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি কিংবা দখলের যে পুরনো ব্যবস্থা, সেটার পরিবর্তন খুব একটা হয় না।

এবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও কমবেশি একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।

বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, প্রভাব খাটানো এমনকি দখলের মতো অভিযোগ উঠছে বিশেষত বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

যদিও অন্তবর্তীকালীন সরকার তো বটেই খোদ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে এ ধরনের ঘটনায় কোনো ছাড় না দেয়ার কথা।

কিন্তু এতে করে কি চাঁদাবাজি আর দখল বন্ধ হয়েছে? বাস্তবতা অবশ্য সেটা বলছে না।

সাভারের হেমায়েতপুরে সব স্থানে যে চাঁদাবাজি হচ্ছে এমন নয়। বিশেষত মূল সড়ক এবং সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড, টেম্পু স্ট্যান্ড এবং দোকানগুলোতে কেউ চাঁদা চাইতে আসছে না বলেই জানাচ্ছেন দোকানদাররা।

ইমরান আলী নামে একজন পোশাকের দোকানি বলছেন, আগে চাঁদাবাজি হলেও এখন আর কেউ আসছে না।

“এখনতো সবখানে ছাত্র। সবাই বলে গেছে, কেউ চাঁদা নিতে আসলে ফোন করে জানাইতে। এছাড়া মাইকিংও হইছে। ফলে এখনও পর্যন্ত আমরা শান্তিতে আছি।”

তবে হেমায়েতপুরের একটু ভেতরে গেলে চাঁদাবাজির চিত্র স্পষ্ট হয়।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, জয়নাবাড়ি, যাদুরচর, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজির ঘটনা চলছে।

কিন্তু কারা করছে এসব এমন প্রশ্নে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি হলেন না।

তবে গোপনীয়তা রক্ষার শর্তে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এসব চাঁদার পেছনে আছে তাদের ভাষায় ‘বিএনপির লোকজন’।

রমিজ উদ্দিন (ছদ্মনাম) নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, “আগে আওয়ামী লীগের লোকজন দোকান, রিক্সা স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা তুলতো। মূলত. সরকারি জায়গায় যেসব দোকান আছে সেগুলো থেকে ভাড়ার নামে চাঁদা তোলা হয়। এগুলো সব আওয়ামী লীগের ব্যানারে হয়েছে। পট পরিবর্তনের পরে এখন বিএনপির সাইনবোর্ড লাগায়ে ঐ গ্রুপটাই আবার শুরু করছে। তাদের পেছনে আছে বিএনপির লোকজন।”

আওয়ামী লীগের অফিস এখন বিএনপির দখলে
ঢাকার বাইরে যেমন দখল, চাঁদাবাজির চিত্র আছে তেমনই একই অভিযোগ আছে ঢাকার ভেতরেও।

বুধবার ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে গিয়ে দেখা গেলো দখলের দৃশ্য। বাবর রোডে বিহারি ক্যাম্পের কাছেই রাস্তা এবং ফুটপাতের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিলো শ্রমিক লীগের একটি কার্যালয়।

ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সেই কার্যালয়ের দখল নিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা যুবদল।

সরেজমিনে দেখা গেলো, কার্যালয়টি তালাবদ্ধ। কিন্তু জাতীয়তাবাদী যুবদলের একটি ব্যানার ঝুলছে।

খোঁজ নিতেই জানা গেলো, যুবদলের নেতা-কর্মীরা কার্যালয় দখল করলেও সেখানে আপাতত কেউ বসছে না।

স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানালেন, দখলের পর এখানে কাউকে বসতে দেখেননি তিনি।

“শেখ হাসিনা পালাইবার পরে এখানে এখন বিএনপি দখল করছে। কিন্তু ওরা শুধু ব্যানার লাগাইছে, বসে না। যখন ক্ষমতায় আসবে তখন বসবে।”

একই অবস্থা পশ্চিম আগারগাঁও এলাকাতেও। সেখানে কালভার্টের উপর গড়ে তোলা আওয়ামী লীগের কার্যলয় এখন বিএনপির দখলে।

সরেজমিন দেখা যায় নতুন টিন লাগিয়ে কার্যালয় মেরামত করা হয়েছে।

কার্যালয়ের গায়ে সাঁটানো হয়েছে ছাত্রদলের দুর্নীতিবিরোধী পোস্টার।

তবে এখানেও কার্যালয়টি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ৫ই অগাস্ট রাতে কার্যারয়টি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা।

পরের দিন আবার সেটি মেরামত করে নিজেদের দখলে নেয়।

ঢাকা শহরে সবখানেই যে চাঁদা তোলা হচ্ছে এমনটা নয়। একদিনে ঢাকার পাঁচটি স্পটে ঘুরে খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায়, এর মধ্যে চারটি স্পটেই চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা নেই।

মূলত ফুটপাতের হকার, রাস্তার পাশের দোকান, পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব খাতে চাঁদাবাজির তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে মৎস ভবন এলাকায় কয়েকজন টং দোকানি জানিয়েছেন তাদের কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছে।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলছিলেন, গত কয়েকদিনে দুটি গ্রুপ এসে চাঁদা দিতে হবে বলে জানিয়ে গেছে।

“গতকালকে একজন আইসা বইলা গ্যাছে, চাঁদা দেওয়া লাগবো। পরে আবার বিকালে আরেক গ্রুপ আইছে। বলছে ট্যাকা এখন থেইকা আমরা উঠামু, অন্য কাউরে দিবা না। আমি পরে কইছি, আপনারা আগে মিটিং কইরা ঠিক করেন কারে দিমু।”

এর বাইরে বিভিন্ন এলাকায় আছে মার্কেটের দোকান দখল এবং গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার হস্তান্তর চেয়ে হুমকি দেয়ার ঘটনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৈরি পোশাক কারখানার একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তাদের কারখানায় বিএনপির পরিচয়ে এসে ঝুটের ব্যবসা হস্তান্তরের জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “ঝুটের ব্যবসা এখন আমরা করবো। অন্য কাউকে দিবেন না। কারখানায় এসে এইরকম কথা বলে গেছে। হুমকি দিয়ে গেছে। দশটা/বারোটা মোটরসাইকেল নিয়ে কারখানায় ঢুকে। বলে যে বিএনপির অমুক নেতা পাঠিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।”

সূত্র-বিবিসি

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

‘বিএনপির সাইনবোর্ডে’ চাঁদার নিয়ন্ত্রণ ও দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৫৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

সাভারের হেমায়েতপুর। মূল সড়ক থেকে একটু ভেতরে জয়না বাড়ি রোড। এখানকারই স্থানীয় এক বাজারে গিয়ে চাঁদাবাজির তথ্য পাওয়া গেলো।

দোকানিরা জানাচ্ছেন, আগে আওয়ামী লীগের লোকজন চাঁদা তুললেও এখন এর নিয়ন্ত্রণ ‘অন্য গ্রুপের’ হাতে।

প্রতিদিন দোকানপ্রতি তোলা হচ্ছে দুইশত টাকা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বলছিলেন, “আওয়ামী লীগ এখন নাই। কিন্তু এরপরও দুইদিন চাঁদা দিলাম। আইসা কয় টাকা মাফ নাই। হ্যারা নাকি এখন টাকা তুইল্যা অন্য গ্রুপের কাছে দিতাছে।”

অন্য গ্রুপ মানে কী এমন প্রশ্নে অবশ্য খোলাসা করে কিছু বলেননি তিনি।

“আগে যে ম্যানেজার কালেকশন করতো, সে ছিল আওয়ামী লীগের ম্যানেজার। ঐ ম্যানেজারই কালেকশন করতাছে। এখন টাকা নিয়া সে কারে দেয়, সেই প্রশ্ন আর করি নাই।”

আরেকজন দোকানি জানালেন, আগের মতোই তিনি দুইশত টাকা করে চাঁদা দিচ্ছেন।

“আমি একদিন দিছি দুইশত টাকা। পরের দিন দোকান খুলি নাই, টাকাও দেই নাই। আজকে খুলছি, এখন টাকা দেয়া লাগবে।”

বাংলাদেশে কোনো একটি সরকার পরিবর্তনের পর ব্যক্তির বদল ঘটলেও দুর্নীতি, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি কিংবা দখলের যে পুরনো ব্যবস্থা, সেটার পরিবর্তন খুব একটা হয় না।

এবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও কমবেশি একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।

বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, প্রভাব খাটানো এমনকি দখলের মতো অভিযোগ উঠছে বিশেষত বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

যদিও অন্তবর্তীকালীন সরকার তো বটেই খোদ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে এ ধরনের ঘটনায় কোনো ছাড় না দেয়ার কথা।

কিন্তু এতে করে কি চাঁদাবাজি আর দখল বন্ধ হয়েছে? বাস্তবতা অবশ্য সেটা বলছে না।

সাভারের হেমায়েতপুরে সব স্থানে যে চাঁদাবাজি হচ্ছে এমন নয়। বিশেষত মূল সড়ক এবং সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড, টেম্পু স্ট্যান্ড এবং দোকানগুলোতে কেউ চাঁদা চাইতে আসছে না বলেই জানাচ্ছেন দোকানদাররা।

ইমরান আলী নামে একজন পোশাকের দোকানি বলছেন, আগে চাঁদাবাজি হলেও এখন আর কেউ আসছে না।

“এখনতো সবখানে ছাত্র। সবাই বলে গেছে, কেউ চাঁদা নিতে আসলে ফোন করে জানাইতে। এছাড়া মাইকিংও হইছে। ফলে এখনও পর্যন্ত আমরা শান্তিতে আছি।”

তবে হেমায়েতপুরের একটু ভেতরে গেলে চাঁদাবাজির চিত্র স্পষ্ট হয়।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, জয়নাবাড়ি, যাদুরচর, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজির ঘটনা চলছে।

কিন্তু কারা করছে এসব এমন প্রশ্নে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি হলেন না।

তবে গোপনীয়তা রক্ষার শর্তে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এসব চাঁদার পেছনে আছে তাদের ভাষায় ‘বিএনপির লোকজন’।

রমিজ উদ্দিন (ছদ্মনাম) নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, “আগে আওয়ামী লীগের লোকজন দোকান, রিক্সা স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা তুলতো। মূলত. সরকারি জায়গায় যেসব দোকান আছে সেগুলো থেকে ভাড়ার নামে চাঁদা তোলা হয়। এগুলো সব আওয়ামী লীগের ব্যানারে হয়েছে। পট পরিবর্তনের পরে এখন বিএনপির সাইনবোর্ড লাগায়ে ঐ গ্রুপটাই আবার শুরু করছে। তাদের পেছনে আছে বিএনপির লোকজন।”

আওয়ামী লীগের অফিস এখন বিএনপির দখলে
ঢাকার বাইরে যেমন দখল, চাঁদাবাজির চিত্র আছে তেমনই একই অভিযোগ আছে ঢাকার ভেতরেও।

বুধবার ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে গিয়ে দেখা গেলো দখলের দৃশ্য। বাবর রোডে বিহারি ক্যাম্পের কাছেই রাস্তা এবং ফুটপাতের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিলো শ্রমিক লীগের একটি কার্যালয়।

ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সেই কার্যালয়ের দখল নিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা যুবদল।

সরেজমিনে দেখা গেলো, কার্যালয়টি তালাবদ্ধ। কিন্তু জাতীয়তাবাদী যুবদলের একটি ব্যানার ঝুলছে।

খোঁজ নিতেই জানা গেলো, যুবদলের নেতা-কর্মীরা কার্যালয় দখল করলেও সেখানে আপাতত কেউ বসছে না।

স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানালেন, দখলের পর এখানে কাউকে বসতে দেখেননি তিনি।

“শেখ হাসিনা পালাইবার পরে এখানে এখন বিএনপি দখল করছে। কিন্তু ওরা শুধু ব্যানার লাগাইছে, বসে না। যখন ক্ষমতায় আসবে তখন বসবে।”

একই অবস্থা পশ্চিম আগারগাঁও এলাকাতেও। সেখানে কালভার্টের উপর গড়ে তোলা আওয়ামী লীগের কার্যলয় এখন বিএনপির দখলে।

সরেজমিন দেখা যায় নতুন টিন লাগিয়ে কার্যালয় মেরামত করা হয়েছে।

কার্যালয়ের গায়ে সাঁটানো হয়েছে ছাত্রদলের দুর্নীতিবিরোধী পোস্টার।

তবে এখানেও কার্যালয়টি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ৫ই অগাস্ট রাতে কার্যারয়টি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা।

পরের দিন আবার সেটি মেরামত করে নিজেদের দখলে নেয়।

ঢাকা শহরে সবখানেই যে চাঁদা তোলা হচ্ছে এমনটা নয়। একদিনে ঢাকার পাঁচটি স্পটে ঘুরে খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায়, এর মধ্যে চারটি স্পটেই চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা নেই।

মূলত ফুটপাতের হকার, রাস্তার পাশের দোকান, পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব খাতে চাঁদাবাজির তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে মৎস ভবন এলাকায় কয়েকজন টং দোকানি জানিয়েছেন তাদের কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছে।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলছিলেন, গত কয়েকদিনে দুটি গ্রুপ এসে চাঁদা দিতে হবে বলে জানিয়ে গেছে।

“গতকালকে একজন আইসা বইলা গ্যাছে, চাঁদা দেওয়া লাগবো। পরে আবার বিকালে আরেক গ্রুপ আইছে। বলছে ট্যাকা এখন থেইকা আমরা উঠামু, অন্য কাউরে দিবা না। আমি পরে কইছি, আপনারা আগে মিটিং কইরা ঠিক করেন কারে দিমু।”

এর বাইরে বিভিন্ন এলাকায় আছে মার্কেটের দোকান দখল এবং গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার হস্তান্তর চেয়ে হুমকি দেয়ার ঘটনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৈরি পোশাক কারখানার একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তাদের কারখানায় বিএনপির পরিচয়ে এসে ঝুটের ব্যবসা হস্তান্তরের জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “ঝুটের ব্যবসা এখন আমরা করবো। অন্য কাউকে দিবেন না। কারখানায় এসে এইরকম কথা বলে গেছে। হুমকি দিয়ে গেছে। দশটা/বারোটা মোটরসাইকেল নিয়ে কারখানায় ঢুকে। বলে যে বিএনপির অমুক নেতা পাঠিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।”

সূত্র-বিবিসি