ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
টাঙ্গাইলের বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪ আবারো লেবাননে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল সাইবার নিরাপত্তাসহ সকল কালো আইন অবশ্যই বাতিল হবে : আসিফ নজরুল ১০ বছর পর বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল টাইম ম্যাগাজিনের উদীয়মান ১০০ বিশ্বনেতার তালিকায় নাহিদ ইসলাম সরকারের সর্বত্র শেখ হাসিনার ভূতরা সক্রিয় : রিজভী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে বসে এখনও ষড়যন্ত্র করছেন : শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ১০ কোটিতে ডিসি নিয়োগ, কেলেঙ্কারির স্ক্রিনশট ফাঁস ড. ইউনূসের ৬৬৬ কোটি টাকা করের রায়ে বিব্রত হাইকোর্ট, নথি গেলো প্রধান বিচারপতির কাছে দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৮ নির্দেশনা

বিচারপতিদের কাছে বিচার চাইতে আসলে তারা বিব্রতবোধ করেন: আসিফ নজরুলের

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের উদ্দেশে আইন উপদষ্টো অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিচারপতিদের কাছে মানুষ বিচার চাইতে আসে। তারা বিব্রতবোধ করেন। কেন বিব্রতবোধ করেন আপনি? বিব্রতবোধ করবেন যখন আপনার ভাই-বোন বিচার চাইতে আসে। বিচারপ্রার্থী মানুষ কোথাও বিচার না পেয়ে আপনার কাছে এসেছে। আপনি কীভাবে বিব্রতবোধ করেন?

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ঢালাও মামলা এবং বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি থেকে বের হওয়ার কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক মামলা নিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আর্জি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেছিলেন। কেন করেছিলেন? আপনার এটা দায়িত্ব না? আপনার এটা সাংবিধবানিক দায়িত্ব না? আপনি শুনে (শুনানি গ্রহণ করে) রিজেক্ট করে দেন, সমস্যা নেই। আপনি শুনবেনই না। আপনাদের সুনাম কিছু বিচারপতির কারণে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এগুলি আর করবেন না। মানুষ বোকা না। মানুষের বিচার-বুদ্ধি আছে।’

ঢালাও মামলার বিষয়ে ড.আসিফ নজরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার গায়েবি মামলা ও ঢালাও মামলার কালচার শুরু করেছিল। আমরা সেটা থেকে বের হতে চাই। অনেকের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা হয়ে গেছে।’

ন্যায়বিচার নিয়ে আইন উপদষ্টো বলেন, ‘আমরা প্রকৃত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা ঢালাও মামলা, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা মানুষের জীবন জীবিকাকে নিশ্চিহ্ন করা, মানুষের ক্রমাগত ক্ষত, ক্রোধ, কোন্দল সৃষ্টি করা থেকে বের হতে চাই।’

এ সময় আরও ছিলেন– প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অধস্তন আদালতের বিচারকরা।

আরো পড়ুন :

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য পৃথক সচিবালয় করা হবে

সাবেক তিন সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

বিচারপতিদের কাছে বিচার চাইতে আসলে তারা বিব্রতবোধ করেন: আসিফ নজরুলের

আপডেট সময় ০২:১৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের উদ্দেশে আইন উপদষ্টো অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিচারপতিদের কাছে মানুষ বিচার চাইতে আসে। তারা বিব্রতবোধ করেন। কেন বিব্রতবোধ করেন আপনি? বিব্রতবোধ করবেন যখন আপনার ভাই-বোন বিচার চাইতে আসে। বিচারপ্রার্থী মানুষ কোথাও বিচার না পেয়ে আপনার কাছে এসেছে। আপনি কীভাবে বিব্রতবোধ করেন?

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ঢালাও মামলা এবং বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি থেকে বের হওয়ার কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক মামলা নিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আর্জি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেছিলেন। কেন করেছিলেন? আপনার এটা দায়িত্ব না? আপনার এটা সাংবিধবানিক দায়িত্ব না? আপনি শুনে (শুনানি গ্রহণ করে) রিজেক্ট করে দেন, সমস্যা নেই। আপনি শুনবেনই না। আপনাদের সুনাম কিছু বিচারপতির কারণে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এগুলি আর করবেন না। মানুষ বোকা না। মানুষের বিচার-বুদ্ধি আছে।’

ঢালাও মামলার বিষয়ে ড.আসিফ নজরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার গায়েবি মামলা ও ঢালাও মামলার কালচার শুরু করেছিল। আমরা সেটা থেকে বের হতে চাই। অনেকের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা হয়ে গেছে।’

ন্যায়বিচার নিয়ে আইন উপদষ্টো বলেন, ‘আমরা প্রকৃত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা ঢালাও মামলা, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা মানুষের জীবন জীবিকাকে নিশ্চিহ্ন করা, মানুষের ক্রমাগত ক্ষত, ক্রোধ, কোন্দল সৃষ্টি করা থেকে বের হতে চাই।’

এ সময় আরও ছিলেন– প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অধস্তন আদালতের বিচারকরা।

আরো পড়ুন :

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য পৃথক সচিবালয় করা হবে

সাবেক তিন সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা