ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে শহীদ রায়হান এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিজয় মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নোয়াখালীর মো. রায়হান। এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস হলো। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। ফলাফল দেখে অঝোরে কাঁদছেন মা-বাবা।

মো. রায়হান নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব দুর্গানগর গ্রামের আমজাদ হাজী বাড়ির মো. মোজাম্মেল হোসেন ও আমেনা দম্পতির একমাত্র ছেলে। তিনি রাজধানীর গুলশান কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সোমবার ঢাকা বাড্ডায় বিজয় মিছিলে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রায়হান। এরপর ৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন বাড্ডায় একটা বাড়িতে কেয়ারটেকারের চাকরি করতেন। রায়হানরা পাশেই একটা মেসে থাকতেন।

রায়হানের মা আমেনা খাতুন বলেন, আমার ছেলে বেঁচে নেই, তার এই ফল দিয়ে কী হবে? পাশ করেছে। তা দিয়ে এখন কি করব। তার আরও ভালো রেজাল্ট করার কথা। মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা এখনও কান্না করছেন। নিজেরা না খেয়ে সন্তানকে খাইয়েছি। তাকে ঢাকায় পড়াশোনা করিয়েছি। তার অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন বুলেটে শেষ হয়ে গেছে।

গুলশান কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ এম এ কালাম বলেন, আমাদের কলেজ থেকে এ বছর রায়হানসহ ৩৯৪ জন বাণিজ্য বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তারমধ্যে ৩৮১ জন পাশ করেছে। রায়হান জিপিএ ২.৯২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। তার ফলাফল আরও ভালো হওয়ার কথা। কীভাবে এত খারাপ হলো তা আমাদের জানা নেই। তবে, তার মৃত্যু আমাদের এখনও কাঁদায়। সরকার যেনো তার পরিবারের সঙ্গে থাকে সে আশা করছি।

আরো পড়ুন : শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন শহীদ আবু সাঈদ

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে শহীদ রায়হান এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

আপডেট সময় ০৫:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিজয় মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নোয়াখালীর মো. রায়হান। এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস হলো। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। ফলাফল দেখে অঝোরে কাঁদছেন মা-বাবা।

মো. রায়হান নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব দুর্গানগর গ্রামের আমজাদ হাজী বাড়ির মো. মোজাম্মেল হোসেন ও আমেনা দম্পতির একমাত্র ছেলে। তিনি রাজধানীর গুলশান কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সোমবার ঢাকা বাড্ডায় বিজয় মিছিলে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রায়হান। এরপর ৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন বাড্ডায় একটা বাড়িতে কেয়ারটেকারের চাকরি করতেন। রায়হানরা পাশেই একটা মেসে থাকতেন।

রায়হানের মা আমেনা খাতুন বলেন, আমার ছেলে বেঁচে নেই, তার এই ফল দিয়ে কী হবে? পাশ করেছে। তা দিয়ে এখন কি করব। তার আরও ভালো রেজাল্ট করার কথা। মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা এখনও কান্না করছেন। নিজেরা না খেয়ে সন্তানকে খাইয়েছি। তাকে ঢাকায় পড়াশোনা করিয়েছি। তার অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন বুলেটে শেষ হয়ে গেছে।

গুলশান কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ এম এ কালাম বলেন, আমাদের কলেজ থেকে এ বছর রায়হানসহ ৩৯৪ জন বাণিজ্য বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তারমধ্যে ৩৮১ জন পাশ করেছে। রায়হান জিপিএ ২.৯২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। তার ফলাফল আরও ভালো হওয়ার কথা। কীভাবে এত খারাপ হলো তা আমাদের জানা নেই। তবে, তার মৃত্যু আমাদের এখনও কাঁদায়। সরকার যেনো তার পরিবারের সঙ্গে থাকে সে আশা করছি।

আরো পড়ুন : শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন শহীদ আবু সাঈদ